Home Blog Page 52

অনলাইন ইনকাম সাইট থেকে সার্ভে করে কিভাবে আয় করবেন?

0

আজকে আমি আপনাদের বলব অনলাইনে সার্ভে করে কিভাবে টাকা আয় করা যায়। তবে সেজন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু পেইড সার্ভে ওয়েবসাইট বা পি টি সি সাইট এর ব্যাপারে জানতে হবে যেগুলো থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।

অনলাইন ইনকাম সাইট থেকে সার্ভে করে আয়

আপনার যদি একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল থাকে তাহলে আপনি এই পেইড সার্ভে ওয়েবসাইটগুলো থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

বর্তমানে অনলাইনে টাকা আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। তবে তার মধ্যে অন্যতম উপায় হলো ব্লগিং করে এবং ইউটিউবিং করে টাকা আয় করা। এই দুটোই বর্তমানে অনলাইনে টাকা আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক মাধ্যম।

অবশ্যই পড়ুনঃ ব্লগ লিখে আয় করার সহজ উপায়

অবশ্য এই দুটির মাধ্যমে আপনি যদি টাকায় করতে চান তবে আপনাকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে এবং অনলাইনে অনেক বেশি সময় ব্যয় করতে হবে। এছাড়াও আপনার অনেক জ্ঞান থাকা লাগবে এসব বিষয়ে।

তাই যদি কেউ সহজেই মাত্র দিনে কয়েক ঘন্টা অনলাইনে কাজ করে পার্ট টাইম আয় করার কথা ভাবেন তাহলে অনলাইন সার্ভেতে কাজ করা আপনার জন্য অনেক উপকারী হবে। প্রতিদিন মাত্র দুই থেকে তিন ঘন্টা কাজ করে প্রায় 5 থেকে 10 হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে ফেলা যায়। তাই এই পদ্ধতিটি আপনার জন্য যথেষ্ট সহজ এবং লাভজনক হবে।

ছাত্র-ছাত্রীরা এবং যেসব মানুষ ঘরের কাজ করে তারা চাইলে পড়াশোনা বা ঘরের কাজের পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করে কিছু টাকা আয় করতে পারেন।

আপনি যদি অনলাইন সার্ভেতে কাজ করতে চান তবে মনে রাখবেন ইন্টারনেটে এমন অনেক সার্ভে ওয়েবসাইট আছে যেগুলো ভুয়া এবং আপনাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিবে ঠিকই কিন্তু পরে আপনাকে টাকা দিবেনা।

এজন্য সার্ভে ওয়েবসাইটগুলোতে কাজ করার আগে আপনি ভালো করে জেনে নেবেন যে সেগুলো আসলেই আপনাকে টাকা দিবে নাকি ভুয়া। নাহলে প্রতারিত হতে পারেন।

আপনার মনে হতে পারে এই বিষয়গুলো জানা অনেক কঠিন। কিন্তু এটা সহজেই জানা যায় কোন একটি ওয়েবসাইট ভুয়া নাকি আসল!

একটি ওয়েবসাইট একদম জেনুইন কিনা, ঠিকমতো পেমেন্ট করে কিনা এসব বিষয়গুলো আপনি অনলাইন রিভিউ পড়ে জেনে নিতে পারেন।

যদি দেখেন পজিটিভ রিভিউ সংখ্যা বেশি সে ক্ষেত্রে আপনি ওয়েবসাইটগুলোকে সহজেই বিশ্বাস করতে পারেন। তারপর সেখানে রেজিস্ট্রেশন করে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

তবুও আমরা আপনাদের সুবিধার্থে ৫ টি সেরা এবং জনপ্রিয় অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট বা অনলাইন ইনকাম সাইট সম্পর্কে জানাবো যেগুলোতে সার্ভে করে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।

চাইলে এই আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেনঃ গুগল থেকে টাকা আয় করার কয়েকটি কার্যকরী উপায়

পেইড সার্ভে কি ? (What Is Paid Survey?)

আপনি যদি অনলাইন সার্ভে শুরু করতে চান তবে আপনাকে এটি সম্পর্কে আগে ভালো করে জেনে নিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমেই প্রশ্ন আসে অনলাইন সার্ভেটা আসলে কি?

অনলাইন সার্ভে বা অনলাইন জরিপ হল এমন একটি বিষয় যেখানে কোন একটা কোম্পানি কিছু টার্গেট অডিয়েন্স দের প্রশ্ন করবে এবং অডিয়েন্স হিসেবে আপনি সেগুলোর উত্তর দিবেন। এসব প্রশ্ন বিভিন্ন বিষয়ের উপর হয়ে থাকে যেমন কোম্পানির প্রোডাক্ট কেমন বা সার্ভিস কেমন কিংবা অন্যান্য যে কোন প্রয়োজনীয় বিষয়।

এরকম করার মানে হচ্ছে বেশিরভাগ কোম্পানি তাদের কোম্পানির পণ্য বা বাস সার্ভিস সম্পর্কে মানুষের প্রতিক্রিয়া জানতে চায়। আর এজন্য তারা বিভিন্ন সার্ভে ওয়েবসাইটগুলোতে টাকা ইনভেস্ট করেন।

কোন কোম্পানি টাকা ইনভেস্ট করলে সার্ভে ওয়েবসাইটগুলো সেই কোম্পানির প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন আপনার আমার মত লোকেদের কাছে তুলে ধরে।

আমরা সেগুলোর উত্তর দেই এবং এর মাধ্যমে কোম্পানি সম্পর্কে মানুষের ধারণা কি তা কোম্পানি জানতে পারে। মতামত দেওয়ার জন্য সার্ভে সাইটগুলো আমাদের কিছু টাকা দেয়।

মূলত এই বিষয়টাকে আমরা সার্ভে বলে থাকি।

অনলাইন সার্ভে করে কিভাবে আয় শুরু করবেন?

সার্ভে করে টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে এমন ওয়েবসাইট বের করতে হবে যারা আপনাকে সার্ভের কাজ দেবে। অনলাইনে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা আপনাকে অনলাইন সার্ভের জন্য টাকা দিবে।

তারপর সেগুলো থেকে ভালো একটি ওয়েবসাইট বেছে নিয়ে আপনাকে সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। অ্যাকাউন্ট করা হয়ে গেলে সেই সার্ভে ওয়েবসাইট থেকে আপনাকে প্রত্যেকদিন কিছু না কিছু নতুন সার্ভের কাজ দেওয়া হবে।

প্রতিদিন মাত্র 2-3 ঘন্টা কাজ করলেই আপনি অনেকগুলো সার্ভের উত্তর দিয়ে ফেলতে পারবেন। প্রত্যেকটি সার্ভে সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে আপনাকে তারা তাদের উল্লেখিত টাকার পরিমাণ অনুযায়ী টাকা আপনার একাউন্টে জমা করে দিবে।

একেকটি সার্ভের সম্পন্ন করতে আপনার 5 থেকে 15 মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কতটুকু সময় লাগবে তা নির্ভর করে সার্ভেতে কি পরিমান জিনিস জানতে চাওয়া হয়।

সার্ভেতে উল্লেখিত প্রশ্নের উত্তর বা মতামত দিলে তারা আপনাকে কিছু পরিমাণ টাকা দিবে। কোন সার্ভেতে আপনি কত টাকা পাবেন সেটা আপনাকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে।

আশা করি অনলাইন সার্ভে সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে গেছেন। তো চলুন এখন আমরা সার্ভে ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে পাঁচটি সেরা সার্ভে ওয়েবসাইট সম্পর্কে জেনে নেই যাতে আপনার শুরু করতে সুবিধা হয়।

জনপ্রিয় ৫ টি পেইড সার্ভে ওয়েবসাইট (5 Popular sarvey website)

এখন আপনাদের যে ওয়েবসাইটগুলো সম্পর্কে বলবো সেগুলোর অনলাইন রিভিউ অনেক পজিটিভ। তাই এই অনলাইন ইনকাম সাইট গুলো থেকে আপনি ভালো মানের টাকা পেতে পারেন। এই ওয়েবসাইটগুলো 2019 সালের সেরা সার্ভে ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচিত।

১. Viewpointpanel

পেইড সার্ভে ওয়েবসাইট বা অনলাইন ইনকাম সাইট গুলোর মধ্যে Viewpointpanel অন্যতম। এটা থেকে পেইড সার্ভে করে ইনকাম করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এখানে আপনি বিনামূল্যে একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে আপনার জন্য তারা সার্ভে ইনভিটেশন পাঠাবে। প্রতিটি সার্ভের ইনভিটেশন এ কি পরিমান টাকা দিবে তা উল্লেখ করা থাকবে।

তবে এখান থেকে টাকা তুলতে হলে আপনাকে প্রথমে কমপক্ষে 12.50 ডলার আয় করতে হবে। আপনার আয় করা টাকা আপনি পেপালের মাধ্যমে তুলে নিতে পারবেন।

প্রত্যেকটা সার্ভিস সম্পন্ন করার পর ওয়েবসাইট থেকে আপনি 0.50 ডলার থেকে 10 ডলার পর্যন্ত পেয়ে যেতে পারেন।

ভিজিট ওয়েবসাইটঃ Viewpointpanel

২.  Toluna

Toluna একটি জনপ্রিয় পিটিসি ওয়েবসাইট। একটি ফ্রী একাউন্ট খোলার মাধ্যমে আপনি ওখানে বিভিন্ন ধরনের সার্ভের কাজ পেতে পারেন।

এই সাইটে বিভিন্ন রকম সার্ভের জন্য পয়েন্ট দেওয়া হয়। পয়েন্টের পরিমান সার্ভে ভেদে বিভিন্ন পরিমান হতে পারে। পয়েন্টের পরিমান ১৫ থেকে শুরু ১০ হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

পয়েন্ট ভাঙানোর ক্ষেত্রে প্রতি ৩০০ পয়েন্ট = ১ ডলার। সার্ভে যত বেশি দীর্ঘ পয়েন্টের পরিমান তত বেশি। এই ওয়েবসাইটের সার্ভে মোবাইল দিয়েও করা যায়।

এছাড়া এখানে আপনি বিভিন্ন কনটেন্ট যেমন, Poll বা বিভিন্ন Topic তৈরি করার মাধ্যমে পয়েন্টের পরিমান বাড়াতে পারবেন। পয়েন্ট ভাঙানোর ক্ষেত্রে আপনি PayPal ব্যবহার করতে পারেন।

ভিজিট ওয়েবসাইটঃ Toluna

৩. Ysense

Ysense সম্পর্কে আমরা আগেও বলেছি। এটি নিঃসন্দেহে একটি জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম সাইট। এখান থেকে আয় করা অনেক সহজ কারণ এখানে অধিক পরিমাণ টাকা দেওয়া হয় কিছু কিছু পেট সার্ভের জন্য।

তাছাড়া প্রতিদিন এখানে নতুন নতুন ছাড়বে পাওয়া যায়। এটি সম্পূর্ণ জেনুইন ওয়েবসাইট হওয়াই অনেকে এখান থেকে টাকা আয় করেন।

কেউ যদি এখানে প্রত্যেকদিন 5 থেকে 6 ঘন্টা কাজ করেন তাহলে অনায়াসে তিনি দৈনিক 10 থেকে 20 ডলার পর্যন্ত আয় করে নিতে পারবেন।

Ysense শুধুমাত্র একটি পেইড সার্ভে ওয়েব সাইট নয়। এছাড়াও এখানে অনেক ভাবে ইনকাম করা যায়। যেমন, ক্যাশ অফার, পেইড গেমস, স্মল টাস্ক, রেফারাল ইত্যাদি বিভিন্ন ওয়েতে এখানে আয় করা যায়।

প্রতিটি সার্ভে কমপ্লিট করে আপনি এখান থেকে 0.20 ডলার থেকে 2 ডলার পর্যন্ত কামিয়ে নিতে পারবেন। আয় করা টাকা আপনি পেপাল বা পেওনিয়ারের মাধ্যমে তুলে নিতে পারবেন।

ভিজিট ওয়েবসাইটঃ Ysense

৪. Paidviewpoints

Paidviewpoints এ প্রত্যেক সার্ভের জন্য কিছু পরিমানে টাকা পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়।

তবে এই ওয়েবসাইটের ব্যাপারে বিশেষ কোনো রিভিউ ইন্টারনেটে তেমন পাওয়া যায়না, যদিও কিছু সংখক লোকেরা এখানে সার্ভে করে টাকা আয় করার কথা বলেছেন।

তবে এই ওয়েবসাইট কতটা জেনুইন সেটা বলাটা একটু কঠিন।

এই ওয়েবসাইটে signup বা registration করার সাথে সাথে আপনাকে প্রায় ১ ডলার উপহার হিসেবে দেয়া হয়।

আপনার একাউন্টে সার্ভে করে ১৫ ডলার টাকা জমা হয়ে গেলে PayPal এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন। এখানে দেয়া বেশির ভাগ সার্ভে গুলি ৫ থেকে ৬ মিনিটের ভেতরে থাকে।

ভিজিট ওয়েবসাইটঃ Paidviewpoints

৫. Neobux 

Neobux অনেক জনপ্রিয় এবং ট্রাস্টেড একটি এইট সার্ভিস ওয়েবসাইট। তবে এখানে সার্ভে ছাড়াও টাকা আয় করার আরো কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে। আপনি চাইলে এখানে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে কেউ টাকা আয় করতে পারবেন।

বিভিন্ন অনলাইন রিভিউ থেকে জানা যায় নেওবুক্স একটি বিশ্বস্ত এবং বাল ওয়েবসাইট। এখান থেকে প্রতিমাসে মোটামুটি ভালো মানের টাকা ইনকাম করা যায়।

অন্যান্য পিটিসি সাইট গুলোর মত এখানেও আপনি পারেন সিস্টেম পাবেন। আপনি যত বেশি রেফার করবেন আপনার আয় কত বাড়বে। নিওবাক্স কে মূলত পেইড সার্ভে সাইট এবং বিজ্ঞাপন দেখে আয় করার ফেরা ওয়েবসাইট হিসেবে ধরা হয়।

ভিজিট ওয়েবসাইটঃ Neobux

আরো কিছু আর্টিকেল যেগুলো আপনার কাজে লাগতে পারেঃ


আজ এ পর্যন্তই।আশা করি আপনাদেরকে বিভিন্ন অনলাইন ইনকাম সাইট গুলো থেকে কিভাবে আয় করবেন সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। এরপরও আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখবেন আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

ব্লগ টি ভাল লাগলে ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ।

পিটিসি সাইট থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন?

0

ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। তার মধ্যে অনেকগুলো উপায় ইতোমধ্যেই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আজ আপনাদের বলব পিটিসি সাইট থেকে ইনকামের উপায়।

তবে সব উপায় এর মধ্যে ব্লগ থেকে টাকা আয় এবং ইউটিউব থেকে টাকা আয় এই দুইটি হচ্ছে অনলাইনে ইনকাম করার সবচেয়ে সেরা পদ্ধতি।

এছাড়া যেগুলো আছে সেগুলো থেকেও টাকা ইনকাম করা যায় তবে উপরের দুটোই হচ্ছে সবচেয়ে ভালো উপায়।

আজ আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে পিটিসি ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে ইনকাম করা যায়।

ptc site

আপনি কোন ধরনের দক্ষতা ছাড়াই পিটিসি সাইট থেকে আয় শুরু করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে ইন্টারনেট কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে বেসিক ধারণা থাকতে হবে। কারণ অনলাইনে ইনকাম বিষয়ক সকল কাজে ইন্টারনেটের সাথে জড়িত এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনাকে সে কাজগুলো করতে হবে।

পিটিসি সাইট থেকে আয় করার ক্ষেত্রে শুরুর দিকে আপনার তেমন কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না আপনি চাইলে প্রথম দিন থেকেই আয় করা শুরু করতে পারবেন। কারণ পিটিসি ওয়েবসাইটগুলো থেকে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে শুধু কয়েকটি টাস্ক কমপ্লিট করতে হবে। এটি এত সহজ যে ইন্টারনেট এর সাধারণ জ্ঞান থাকলে যে কেউ এটা করে টাকা আয় করতে পারবে।

চাইলে মহিলারাও ঘরে বসে আয় করার ক্ষেত্রে এ ধরনের পিটিসি সাইটে কাজ করতে পারেন।

তো চলুন এবার আমরা জেনে নেই , পিটিসি সাইট কি এবং কিভাবে এ গুলো থেকে টাকা আয় করা যাবে?

এছাড়াও আমি এখানে কিছু ভালো পিটিসি সাইটের নাম বলব যেগুলো বর্তমানে অনেক বিশ্বস্ত এবং আপনাকে ভালো মানের টাকা দিতে পারে।

আরও পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকাম করার মত সেরা ১০ টি অনলাইন জব

পিটিসি ওয়েবসাইট কি? (What is PTC Website)

পিটিসি সাইট মানে হল পেইড-টু-ক্লিক সাইট। এসব ওয়েবসাইট মূলত অনলাইন বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভরশীল এবং একটি পিটিসি ওয়েবসাইট মুলত আপনাকে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার জন্য এবং বিজ্ঞাপন দেখার জন্য টাকা দিয়ে থাকে।

পিটিসি সাইট গুলো সাধারণত যারা অনলাইনে অ্যাডভার্টাইজ করে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের পণ্য বা সার্ভিস বা ওয়েবসাইট এর বিজ্ঞাপন নিজের ওয়েবসাইটে দেখায় এবং আপনার আমার মত মানুষ যখন সেই সাইটগুলোতে অ্যাকাউন্ট খুলে সেই এডভারটাইজ করা পণ্য বা সার্ভিসে ক্লিক করি বা দেখি তখন তার জন্য পিটিসি ওয়েবসাইট আমাদের কিছু টাকা দেয়। সেগুলোই হল আমাদের আয়।

এই নিয়ম ফলো করে আপনি চাইলে নিজের জিমেইল একাউন্ট দিয়ে পিটিসি ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট বানিয়ে কেবল এড দেখে আর অল্প কিছু কাজ করে ঘরে বসে সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন।

পিটিসি ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন ?

শুধু বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা নয় এছাড়াও পিটিসি সাইট থেকে আয় করার অনেকগুলো উপায় আছে। উপায় গুলো নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলোঃ

  1. অনলাইন সার্ভে করেঃ পিটিসি সাইট গুলো আপনাকে বিভিন্ন সার্ভে করার কাজ দেবে। সার্ভে গুলো এমন হবে যে আপনাকে সেখানে কিছু প্রশ্ন করা হবে এবং আপনার সেগুলোর উত্তর দিতে হবে। সার্ভে পুরোপুরিভাবে কমপ্লিট করলে প্রত্যেক 5 থেকে 10 মিনিটের সার্ভের জন্য তারা সর্ববোচ্চ 2 ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে। সার্ভে নিয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট অবশ্যই পড়ুন এই আর্টিকেলটিঃ অনলাইন ইনকাম সাইট থেকে সার্ভে করে কিভাবে আয় করবেন?
  2. বন্ধুদের রেফার করার মাধ্যমেঃ এসব ওয়েবসাইটে সাধারণত রেফারিং সিস্টেম থাকে। অর্থাৎ আপনি চাইলে কাউকে ওয়েবসাইটে ঢোকার জন্য রেফার করতে পারেন। যদি কেউ আপনার রেফারেল থেকে ওয়েবসাইটে ঢুকে এবং একাউন্ট খুলে সে ক্ষেত্রে আপনি রেফারেল বোনাস পাবেন।
  3. বিভিন্ন টাস্ক কমপ্লিট করেঃ এসব পিটিসি সাইটে বিভিন্ন ধরনের অফার থাকে সেসব অফার থেকে আপনি গেম খেলে বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড করে এবং দৈনন্দিন কিছু টাস্ক কমপ্লিট করে আপনি আয় করতে পারবেন
  4. বিজ্ঞাপন দেখেঃ পিটিসি সাইট থেকে টাকা আয় করার আরেকটি সহজ মাধ্যম হলো বিজ্ঞাপন দেখা। শুধু বিজ্ঞাপন দেখেই আপনি টাকা আয় করা শুরু করতে পারবেন। তবে বিজ্ঞাপন দেখে আয় করা টাকার পরিমাণ অনেক কম হয়ে থাকে তাই যত বেশি বিজ্ঞাপন দেখবেন তত বেশি আপনার আয় হবে।

পিটিসি সাইট থেকে আয় করার ক্ষেত্রে আপনি উপরোক্ত কাজগুলো করতে পারেন। আপনার আয় করা টাকা তোলার জন্য পেপাল (PayPal), পেওনিয়ার, স্ক্রিল ইত্যাদি মাধ্যম রয়েছে। এগুলোতে ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার আয় করা টাকা তুলতে পারবেন।

এখন আমি আপনাদের সেরা 5 টি পিটিসি সাইট সম্পর্কে বলব যেগুলো থেকে আপনি নির্ভরযোগ্যভাবে টাকায় করতে পারবেন।

সেরা এবং লাভজনক পিটিসি সাইট কোনগুলি ? (Top 5)

ইন্টারনেটে আপনি প্রচুর পরিমাণ পিটিসি সাইট পাবেন যেগুলো থেকে অনলাইনে ইনকাম করা যায়। তবে সবগুলো ওয়েবসাইটে কিন্তু আসল নয় এদের মধ্যে অনেক ওয়েবসাইট বউ হতে পারে। ভুয়া ওয়েবসাইটগুলো আপনাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেবে কিন্তু বিনিময়ে আপনি কোন টাকা পাবেন না।

এজন্য নিচে আমি আপনাদের এমন পাঁচটি বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য বিবিসি ওয়েবসাইট সম্পর্কে বলব যেগুলো ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

তাছাড়া আপনার স্বপ্ন যদি হয় ইউটিউব। তবে আপনি একবার হলেও এই আর্টিকেলটি অবশ্যই পড়বেনঃ ইউটিউবে ইনকাম শুরুর আগে আপনাকে যা জানতেই হবে

১. NeoBux 

আপনি যদি পিটিসি সাইট থেকে টাকা আয় করার সিদ্ধান্ত নেন তবে আমি সবার উপরে যেতে রাখবো সেটি হচ্ছে নিওবাক্স। আপনি অনলাইনে ইনকামের ক্ষেত্রে নতুন হয়ে থাকলে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করুন কারণ এই ওয়েবসাইট থেকে টাকা তোলা অনেক সহজ এবং বিশ্বের অনেক মানুষই এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে টাকা আয় করে থাকে।

নিওবাক্স ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করার সাথে সাথে আপনি টাকায় শুরু করতে পারবেন বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে। প্রতিটি বিজ্ঞাপন দেখার বদলে তারা আপনাকে 0.002 ডলার এর মত দিবে। আপনি যত বেশি অ্যাড দেখবেন আপনার ইনকাম তত বাড়বে।

এখান থেকে আয় করা টাকা আপনি সহজেই পেপালের মাধ্যমে নিজের ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন। এখান থেকে আয় করা টাকার পেমেন্ট পাওয়ার জন্য আপনাকে কমপক্ষে দুই ডলার আয় করতে হবে। বাস্তব অর্থে যেটা অনেক কম। কেউ চাইলে কয়েকদিনেই 2 ডলার আয় করে ফেলতে পারবেন।

পিটিসি সাইটগুলোর মধ্যে নেওবুক্স অন্যতম এবং নির্ভরযোগ্য। রেফারেল সিস্টেম থাকার কারণে মানুষ এখান থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারেন।

২. Ysense 

পিটিসি সাইট গলোর মধ্যে আরেকটি নির্ভরযোগ্য সাইট হল লাইসেন্স। পূর্বে এর নাম ছিল ক্লিকসেন্স। এটি অনেক পুরনো ওয়েবসাইট এবং বিশ্বাসযোগ্য। এখানেও আপনি বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় করতে পারবেন।

ক্লিকসেন্স থেকে বেশি টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে বিভিন্ন সার্ভেতে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং তাদের জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এখানে এখানে সার্ভে পূরণ করার মাধ্যমে আপনি 0.2 ডলার থেকে 2 ডলার পর্যন্ত বা আরো বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।

উপরে আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন প্রত্যেকদিন তারা নতুন নতুন ছাড়বে দিয়ে থাকে। সার্ভে গুলো পূরণ করার মাধ্যমে আপনি কত টাকা পেতে পারেন তাও সেখানে লেখা থাকে। জেসার বেটা করলে বেশি টাকা পাওয়া যায় আপনি সব সময় সেটি করার চেষ্টা করবেন তাহলেই ইনকাম করা আরো সহজ হবে।

নিও বাক্সের মতো এখানেও আপনি রেফারেল ফিচারটা পাবেন। যত বেশি বন্ধুদেরকে এই ওয়েবসাইটে রেফার করবেন আপনি তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়াই সেন্সে বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে আপনি 0.2 ডলার পেয়ে যাবেন। এই ওয়েবসাইটে মিনিমাম পে আউট হল 10 ডলার। অর্থাৎ আপনি যদি আপনার টাকা তুলতে চান তাহলে আপনাকে কমপক্ষে 10 ডলার আয় করতে হবে।

৩. Ojooo.com

আপনি যদি শুধু অনলাইনে অ্যাডভার্টাইজ দেখে টাকা আয় করতে চান তবে এই ওয়েবসাইটটি কিন্তু আপনার জন্য ভালো সমাধান। Ojooo.com আপনাকে প্রত্যেকটি বিজ্ঞাপন দেখার বদলে 0.005 ডলার দিবে। আশার কথা হলো এখানে আপনি ইচ্ছামত বিজ্ঞাপন দেখতে পারবেন কোন ধরনের রেস্ট্রিকশন নেই।

চাইলে আপনি শুধু মোবাইল দিয়েও বিজ্ঞাপন দেখে এই ওয়েবসাইট থেকে আস্তে আস্তে টাকা আয় করতে পারবেন।

অন্য ওয়েবসাইটগুলোর পাতা সাইটটিতেও আপনি রেফারেল ফিচারটি পাবেন। অন্যদের যত বেশি রেফার করবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন।

এখানে আপনাকে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য কমপক্ষে দুই ডলার আয় করতে হবে। আয় করা টাকা আপনি পেপাল বা পেয়ে যায় এর মাধ্যমে তুলে নিতে পারবেন।

৪. PaidVerts 

বিজ্ঞাপন দেখে আয় করার একটি ওয়েবসাইট হল পেইডভার্টস। এখান থেকে আপনি শুধু বিজ্ঞাপন দেখেই আয় করতে পারবেন।

এটি একটি সিম্পল পিটিসি সাইট। বিজ্ঞাপন দেখার বিনিময় এখানে টাকা দেওয়া হয়। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও দেখার জন্য আপনি 0.005 ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন।

পেট ভারত ওয়েবসাইটের পেট আর্ণার্স পেজে গিয়ে আপনি তাদের পেমেন্ট প্রুফ এবং বর্তমানে কে সবচেয়ে বেশি টাকা আয় করতেছে তা জানতে পারবেন।

৫. Inboxdollars

Inboxdollars হল আর একটি পিটিসি সাইট যেখানে আপনি বিভিন্ন রকমের সহজ কাজ করার মাধ্যমে টাকা আয় করতেে পারবেন। এখানেে আপনি অনলাইন টিভি দেখে অনলাইন সার্ভে করে ইমেইল পড়ার মাধ্যমে এবং আরও বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য টাকাা পেতে পারেন।

আশার কথা হল প্রথমবার অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সাথে সাথে তারা আপনাকে 5 ডলার বোনাস দেবে।

আপনার আয় 30 ডলার হওয়ার পর আপনি সেখান থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

নিচের আর্টিকেল গুলো আপনার উপকারে আসতে পারেঃ


তো আজ এই পর্যন্তই থাকলো। আপনার খুব শীঘ্রই আপনাদের সামনে আরেকটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হব। সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন। আর পোস্টটি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে কিংবা কোন কিছু জানার থাকলে নিচের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যথা সম্ভব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব ধন্যবাদ।

আর হ্যাঁ পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

স্যাটেলাইট কি? স্যাটেলাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

স্যাটেলাইট সম্পর্কে আমাদের অনেকের মনেই নানা প্রশ্ন। আসলে স্যাটেলাইট কি? এত টাকা খরচ করে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্যই বা কি? কিংবা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কী কী সেবা ভোগ করা যায়?

স্যাটেলাইট সম্পর্কিত এমন অসংখ্য প্রশ্ন আমাদের মনে থেকেই যায়। এই ব্লগে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করা যায় এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক কৌতুহলের সমাধান পাবেন। তো চলুন শুরু করা যাক।

স্যাটেলাইটের ছবি

স্যাটেলাইট কি?

সৌর জগতের প্রধান গ্রহ আটটি। তার মধ্যে বুধ আর শুক্র এর কোন উপগ্রহ নেই। পৃথিবীর ১টি, মঙ্গলের ২ টি, বৃহস্পতির ৭৯ টি, শনির ৮২ টি, ইউরেনাস এর ২৭টি, আর নেপচুনের ১৪ টি উপগ্রহ আছে। অর্থাৎ উপগ্রহ আমরা সবাই চিনি। তবে এই উপগ্রহ দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা-
১. প্রাকৃতিক উপগ্রহ (Natural Satellite) এবং
২. কৃত্রিম উপগ্রহ (Artificial Satellite)

আর এই কৃত্রিম উপগ্রহ-ই হল স্যাটেলাইট যা মানব সৃষ্ট। এ সকল স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ আমাদের পৃথিবী কে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত ঘুরছে। চাঁদ ব্যতীত পৃথিবীর সকল উপগ্রহ-ই কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট। একটি স্যাটেলাইটের আমাদের পুরো পৃথিবী কে একবার প্রদক্ষিণ করতে 24 ঘন্টা সময় লাগে।


মূলত পৃথিবীপৃষ্ঠের উন্নত ম্যাপিং করার জন্য সর্বপ্রথম স্যাটেলাইটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তাছাড়া তারবিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ইমেজিং, ফটোগ্রাফি, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, বিভিন্ন দুর্গম এলাকার ম্যাপিং, দূরবর্তী টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ইন্টারনেট, টিভি চ্যানেল সম্প্রচার ইত্যাদি ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট প্রযুক্তি‌ আমাদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।

স্যাটেলাইটের (Satellite) কাজ কি?

স্যাটেলাইটের কাজ বা প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই কিছুটা ধারণা পেয়েছি।
তবে অনেকের মনে আবার প্রশ্ন জাগতে পারে, টাওয়ার বসিয়ে বা সাবমেরিন ক্যাবল দিয়েই তো যোগাযোগ করা যায়। তাহলে স্যাটেলাইটের দরকার কি?

এখন মনে করুন আপনি বন্যাকবলিত কোন এলাকায় রয়েছেন যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে আপনি শুধুমাত্র টাওয়ারের উপর নির্ভরশীল হলে যোগাযোগ করতে পারবেন না।

অথবা মনে করুন আপনি বিশাল সমুদ্রের মধ্যে আছেন বা অ্যামাজন বন কিংবা সাহারা মরুভূমির মতো কোন নির্জন স্থানে আছেন। অর্থাৎ এই সকল জায়গা থেকে পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে যাবে কিন্তু আপনার কাছে যদি একটি স্যাটেলাইট ফোন থাকে তবে আপনি অতি সহজেই আপনার কাঙ্খিত যে কোন জায়গার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।

আমরা সবাই কমবেশি গুগল ম্যাপ ব্যবহার করি। গুগল ম্যাপের মাধ্যমে কোন রাস্তার ছবি বা অনেক সময় আমরা নিজেদের অবস্থান বা আমাদের বাড়ির অবস্থান খুঁজে বের করি। এসবই সম্ভব হয়েছে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে।

আবার মনে করুন আপনি বাংলাদেশ থেকে কোন ইনফরমেশন বা ছবি আমেরিকাতে আপনার বন্ধুর কাছে পাঠাতে চান। এক্ষেত্রে আপনি যদি টাওয়ার বা সাবমেরিন ক্যাবলের যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা চিন্তা করেন তাহলে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকাতে ইনফর্মেশন যাওয়ার পথে অনেক ডাটা লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে স্যাটেলাইটগুলো বাংলাদেশ এবং আমেরিকার মধ্যে যোগাযোগের জন্য একটি সেতুর মতো কাজ করে।

স্যাটালাইটের ইতিহাস

স্যাটেলাইট-২


মহাকাশ নিয়ে মানুষের কৌতুহল হাজার বছরের পুরনো হলেও মহাকাশ যাত্রার ইতিহাস কিন্তু খুব একটা পুরোনো নয়। 1957 সালের 4 অক্টোবর মাসে সর্বপ্রথম সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাকাশ যাত্রা করেন।

তখন তারা স্পুটনিক-1 নামক একটি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেন। একই বছর 2 নভেম্বর স্পুটনিক-2 নামে অন্য আরেকটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেন। তার পরের বছর অর্থাৎ 1958 সালের 2 ফেব্রুয়ারি এক্সপ্লোরার-১ নামক একটি কৃত্রিম উপগ্রহ আমেরিকা উৎক্ষেপণ করেন।

তারপর 1961 সালের 12 এপ্রিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্য একটি কৃত্রিম উপগ্রহ ভস্টক-1 এ চড়ে ইউরি গ্যাগারিন প্রথম মানুষ হিসেবে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন। পরবর্তীতে 1966 সালে স্টক-1 নামক কৃত্রিম উপগ্রহে চড়ে ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা প্রথম সোভিয়েত মহিলা হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণ করেন।

বাণিজ্যিকভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সর্বপ্রথম ইনটেলসেট-1 নামক কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হয়। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য 1975 সালে অ্যাপোলো-সয়োজ টেস্ট প্রজেক্ট নামে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়।

1957 সালে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হলেও এ পর্যন্ত প্রায় সহস্রাধিক কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। এসকল কৃত্রিম উপগ্রহের মধ্যে বর্তমানে কয়েক শত সচল আছে এবং প্রায় হাজার হাজার কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে ধ্বংসাবশেষ হিসেবে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।

স্যাটেলাইট যে সকল উপাদান নিয়ে গঠিত

একটি স্যাটেলাইট সাধারণত নিম্নোক্ত উপাদান গুলো নিয়ে গঠিত হয়। তবে বিশেষ কাজের জন্য বিভিন্ন স্যাটেলাইটে আরো অসংখ্য টেকনোলজির ব্যবহার করা হয়।
সাধারণত যে সকল উপাদান থাকে, সেগুলো হলোঃ

1. Band Pass Filter
2. Low Noise Amplifier
3. Frequency Translator
4. Microwave shift oscillator
5. Radio Frequency Mixer
6. Power Amplifier
7. High Resoluted Camera
8. Processor with high clock speed
9. High power Transmitting antenna
10. High power receiving Antenna

স্যাটেলাইটের প্রকারভেদ

স্যাটেলাইট ২

বিভিন্ন কাজের উপর এবং কক্ষপথের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের স্যাটেলাইট ডিজাইন করা হয়।কক্ষপথ এর ভিত্তি করে স্যাটেলাইট সিস্টেম কে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

1. LEO ( Low Earth Orbit ): সাধারণত পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ১৬০-২০০০ কি.মি. উপরে এ ধরনের স্যাটেলাইট অবস্থিত। পৃথিবীপৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি তাকে বলে এ ধরনের স্যাটেলাইটকে টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেটের জন্য ব্যবহার করা হয়। আন্তর্জাতিক স্পেস ষ্টেশন (ISS) এই কক্ষপথে অবস্থিত।

2. MEO ( Medium Earth Orbit): এ ধরনের স্যাটেলাইট সাধারণত পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ২০০০০ কি.মি. উপরে অবস্থিত। নেভিগেশন এবং সামরিকবাহিনীদের কাজে লাগে এ ধরনের মন্থর গতির স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়। জিপিএস স্যাটেলাইটগুলো এই কক্ষপথে অবস্থান করে

3. GEO (Geostationary Earth Orbit): পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ৩৫০০০ কি.মি. উপরে GEO স্যাটেলাইটগুলো অবস্থিত। এদেরকে সাধারণত রেডিও এবং টিভি এর ট্রান্সমিশনের কাজে ব্যাবহার করা হয়।

নির্দিষ্ট কাজের উপর ভিত্তি করে স্যাটেলাইটকে আরো কয়েক ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা-

1. ওয়েদার স্যাটেলাইট (weather satellite): পৃথিবীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের কাজে সাধারণত এ ধরনের স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের স্যাটেলাইট পৃথিবীর আবহাওয়া বিষয়ক বিভিন্ন ছবি এবং তথ্য ধারণ করে। যেমন-

  • COSMOS
  • COSMOS
  • GEOS ইত্যাদি

2. কম্যুনিকেশন স্যাটেলাইট (communication satellite): পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত এবং সহজবোধ্য করতে কম্যুনিকেশন স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের সিগন্যাল, তথ্য এবং ব্রডকাস্টিং সমূহ এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

কম্যুনিকেশন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এসকল তথ্য আদান-প্রদান হয় বলে একে স্পেস কম্যুনিকেশনও বলা হয়। এই স্যাটেলাইট সিস্টেমে মূলত উচ্চ কম্পাংকের তরঙ্গকে স্যাটেলাইটে প্রেরণ করা হয় এবং স্যাটেলাইটে সকল তরঙ্গকে বিবর্ধিত করে পৃথিবীতে স্থাপিত গ্রাহক স্টেশনে পাঠায়।

3. জিওস্টেশনারী স্যাটেলাইটঃ ভূ-স্থির উপগ্রহগুলোই হল মূলত জিওস্টেশনারী স্যাটেলাইট। এ ধরনের স্যাটেলাইটসমূহ 24 ঘন্টায় পৃথিবী কে একবার ঘুরে আসে আর যেহেতু পৃথিবী তার নিজ অক্ষের চারদিকে ঘুরে আসতে 24 ঘন্টা সময় লাগে, তাই এদেরকে ভূ-স্থির উপগ্রহ বলা হয়। এ স্যাটেলাইটসমূহ 35,786 কি.মি উচ্চতা থেকে পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে।

বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-1 ও কিন্তু একটি ভূ-স্থির উপগ্রহ বা জিওস্টেশনারী স্যাটেলাইট। পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য জিওস্টেশনারী স্যাটেলাইটসমূহ সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। যেহেতু পৃথিবী গোলাকার এবং এ সকল স্যাটেলাইটসমূহ তাদের কক্ষপথে স্থির অবস্থায় থাকে, তাই সম্পূর্ণ পৃথিবী কভার করতে 120 ডিগ্রি কোণে তিনটি জিওস্টেশনারী স্যাটেলাইট লাগে।

4. ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট: এ ধরনের স্যাটেলাইট বিমান ও সমুদ্রগামী জাহাজের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে। GPSNAVSTAR স্যাটেলাইট হলো এ ধরনের স্যাটেলাইটের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

তাছাড়া আমরা জিপিএস সিস্টেম এর কথা শুনেছি। জিপিএস হলো এ ধরনের স্যাটেলাইটভিত্তিক নেভিগেশন সিস্টেম। 24 টি স্যাটেলাইট নিয়ে একটি জিপিএস সিস্টেম গঠিত হয়। জিপিএস সিস্টেম এর মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে যেকোনো আবহাওয়ায় পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে তথ্য ও ছবি পাঠানো সম্ভব।

5. পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী স্যাটেলাইট: প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে এবং পৃথিবী পৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলতে এ ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবহার করা হয়।

6. মিলিটারী স্যাটেলাইট: রাডার ইমেজিং, ফটোগ্রাফি, নিউক্লিয়ার মনিটরিং এবং শত্রুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণে এ ধরনের সামরিক কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবহার করা হয়।

যেভাবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়

সাধারণত উৎক্ষেপণ যন্ত্র বা Launch Vehicle এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্যাটেলাইটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়। দুই ধরনের উৎক্ষেপণ যন্ত্রের মাধ্যমে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়।
১. অপচয়যোগ্য রকেট
২. মহাশূন্য শাটল

অপচয়যোগ্য রকেটগুলো মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপনের পর ধ্বংস হয়ে যায়। অপরদিকে মহাশূন্য শাটল ব্যবহার করে বারবার রকেট উৎক্ষেপণ করা যায়।

কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপন তথা রকেট উৎক্ষেপণের সময় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় অভিকর্ষজ ত্বরণের। কারণ অভিকর্ষজ ত্বরণ আমাদেরকে সব সময় পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে। তাই রকেট এর গতির সমতা রক্ষা করে স্যাটেলাইটসমূহ উৎক্ষেপণ করতে হয়।

স্যাটেলাইটে পাওয়ার সরবরাহ করার জন্য প্রত্যেক স্যাটেলাইট 32,000 মাউন্টেড করা তাকে, যারা সাধারণত 520 ওয়াট পাওয়ার সরবরাহ করতে পারে। তাছাড়াও ব্যাক-আপ হিসেবে ক্যাডমিয়াম বাটারি রাখা হয়।

তবে মাঝে মাঝে নিউক্লিয়ার পাওয়ার সোর্স ও ব্যবহার করা হয়। স্যাটেলাইটের পাওয়ার সহ একে নিয়ন্ত্রণ এবং বিভিন্ন সিস্টেমকে মনিটর করার জন্য এতে একটি অন বোর্ড কম্পিউটার সংযুক্ত করা তাকে।

এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে স্যাটেলাইট যেহেতু পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে, এটি ভূপৃষ্ঠে পড়ে যায় না কেন?


এর উত্তরটিও খুব সহজ। আমরা সবাই কেন্দ্রমুখী বল এবং কেন্দ্রবিমুখী বল সম্পর্কে কম-বেশি জানি। অর্থাৎ কোন বস্তু যখন অন্য কোন বস্তুকে কেন্দ্র করে তার চারদিকে ঘুরতে থাকে, তখন কেন্দ্রের দিকে একটি বল কাজ করে যাকে কেন্দ্রমুখী বল বলা হয়।

অন্য আরেকটি বল ঘূর্ণায়মান বস্তুটিকে ঘূর্ণন অক্ষ থেকে ছিটকে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রের বিপরীত দিকে কাজ করে যাকে কেন্দ্রবিমুখী বল বলা হয়। অর্থাৎ কোন ঘূর্ণায়মান বস্তুর ওপর দুটি বল কাজ করে। কেন্দ্রের দিকে কেন্দ্রমুখী বল এবং কেন্দ্রের বিপরীত দিকে কেন্দ্রবিমুখী বল কাজ করে।

কেন্দ্রমুখী বল এবং কেন্দ্রবিমুখী বল সমান হওয়ায় বস্তুটি ছিটকে না গিয়ে এক-ই অক্ষ বরাবর ঘুরতে থাকে। যেমন একটি সুতার মাথায় কোন বস্তু বেঁধে হাতের অঙ্গুল দিয়ে ঘুরালে বস্তুটি হাতের আঙ্গুল কে কেন্দ্র করে ঘুরতে দেখা যায়। এক্ষেত্রেও কেন্দ্রমুখী বল এবং কেন্দ্রমুখী বল সমান হয় এরকম ঘটে।


স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে বলে স্যাটেলাইট তার কক্ষপথ থেকে ছিটকে পৃথিবীপৃষ্ঠে পরে না বা মহাকাশে হারিয়ে যায় না।

বিভিন্ন দেশের মোট স্যাটেলাইটের সংখ্যা

1957 সালে সর্বপ্রথম সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাকাশে স্যাটেলাইটপ্রেরণ করার পর তাদের অনুসরণ করে বিভিন্ন দেশ মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠায়।

বিশ্বের 57 তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠায়। বর্তমানে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার স্যাটেলাইট ঘুরছে।

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও এর গতিবিধি নিয়ে কাজ করে এন২ওয়াইও.কম ওয়েবসাইটের তথ্য মতে,

১. যুক্তরাষ্ট্রের ১৬১৬টি
২. সোভিয়েত রাশিয়া ভূক্ত দেশগুলোর স্যাটেলাইটের সংখ্যা ১৫০৪টি
৩. চীনের ২৯৮টি
৪. জাপানের ১৭২টি
৫. ভারতের ৮৮টি
৬. ফ্রান্সের ৬৮টি
৭. ব্রিটেনের ৪২টি
৮. দক্ষিণ কোরিয়ার ২৪টি
৯. স্পেনের ২৩টি
১০. তুরস্কের ১৪টি
১১. সৌদি আরবের ১৩টি
১২. পাকিস্তানের ৩টি
১৩. বাংলাদেশের ১ টি

বাংলাদেশের স্যাটেলাইটটির নাম বঙ্গবন্ধু-১

এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার অনেকগুলো স্যাটেলাইট বর্তমানে কক্ষপথে অবস্থান করছে।

আজ এ পর্যন্তই। আমাদের প্রযুক্তি বিষয়ক অন্যান্য পোস্ট পড়তে নিচের চাইলে এখানে ক্লিক করুন

আর পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করতে ভুলবেন না।ধন্যবাদ।

ব্লগ কি? ব্লগ লিখার নিয়ম ও ব্লগিং করে টাকা আয় করবেন কীভাবে?

3

আপনি যদি অনলাইনে আয় করার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে ব্লগ শব্দটি হয়তো আপনি অনেকবার শুনেছেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ব্লগ মানেটা আসলে কি এবং কিভাবে ব্লগিং করে আয় করা যায়।

তো চলুন জেনে নিই ব্লগ মানে কি এবং কিভাবে আপনি ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন।

ব্লগ কি? ব্লগ লিখার নিয়ম ও ব্লগিং করে টাকা আয় করবেন কীভাবে?
ব্লগ কি? ব্লগ লিখার নিয়ম ও ব্লগিং করে টাকা আয় করবেন কীভাবে?

ব্লগ শব্দ টা একেক জনের কাছে একেক রকম। কারো কাছে ব্লগ হচ্ছে আয় করার মাধ্যম আবার কারো কারো কাছে ব্লগ জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম।

আপনি যেহেতু এই পোস্টটি পড়তে এসেছেন তো ধরে নিচ্ছি আপনি ব্লগিংকে টাকা আয়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চান। তবে ব্লগ থেকে আয় করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে ব্লগিং সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে হবে। তবেই আপনি একজন ভাল ব্লগার হতে পারবেন এবং ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং সম্পর্কে পুরো ধারণা পেতে আপনাকে যা যা জানতে হবে তা হল: ব্লগ মানে কি, একটা ব্লগ কিভাবে বানাতে হয় এবং ব্লগগুলি থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়। এই জিনিসগুুলো ভালোভাবে জানতে পারলে আপনি ভাল একজন ব্লগার হতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, চীন, জাপান এবং আমেরিকার অনেক মানুষই ব্লগিংকে তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছেে নিয়েছে। শুধু তাই নয় ব্লগিং করে আয় এর পাশাপাশি নিজের ব্লগিং অফিসও চালাচ্ছেন।

আর আপনাকে এই বিষয়ে বিস্তারিত ধারনা দেওয়ার জন্যই আমার আজকের এই পোস্ট। এই পোস্টে আমি আপনাদের বলব ব্লগ কি এবং ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়।

ব্লগ মানে কি? (What is Blog?)

সোজা ভাবে বলতে গেলে, ব্লগ হচ্ছে অনেকটা ডায়েরির মতন। একটা ডাইরিতে যেমন আপনি আপনার ইচ্ছামত জিনিস লিখতে পারেন তেমনি একটি ব্লগেও আপনি আপনার ইচ্ছা মত আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

আপনার ব্লগে আপনি কোন স্টোরি, কোন এক বিষয়ে টিউটোরিয়াল, বিভিন্ন মজার এসএমএস, কবিতা, গান, সংবাদ যেকোনো কিছুই লিখতে পারেন। সেটা নির্ভর করে আপনার কোন বিষয়ে আগ্রহ বেশি। কারণ আগ্রহের বিষয়গুলো নিয়ে সারাদিন কাজ করলেও বিন্দুমাত্র খারাপ লাগেনা।

তবে যাই লিখেন না কেন তা হতে হবে সাবলীল এবং পরিচ্ছন্ন লেখা। তবেই মানুষ আপনার লেখা পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে এবং আপনি বেশি বেশি ভিজিটর পাবেন।

তাছাড়া আপনার লেখা আর্টিকেল যদি কারো ভালো ই না লাগে কিংবা যদি কেউ ঠিকমতো পড়তে না পারে তাহলে আপনি ব্লগিংয়ে কখনোই ভালো করতে পারবেন না। তাই যদি আপনার ব্লগিংয়ে ভালো করার ইচ্ছা থাকে তবে অবশ্যই আপনার লেখার মান ভালো করতে হবে।

পার্সোনাল ডাইরির মত ব্লগ কিন্তু আপনি হাতে কলমে লিখতে পারবেন না। ব্লগ লেখার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় দুটি জিনিস অবশ্যই লাগবে। তারমধ্যে একটি হলো ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং অপরটি হলো ইন্টারনেট কানেকশন। আর যে বিষয়ে আপনি ব্লগ লিখবেন সে বিষয়ের উপর আপনার যথেষ্ট জ্ঞান তো থাকাই লাগবে।

এই দুটি জিনিস যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে আপনি আজ থেকেই আপনার ব্লগিং যাত্রা শুরু করতে পারবেন। কারণ ইন্টারনেটে এমন কিছু প্লাটফর্ম বা ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আপনাকে ফ্রিতে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করার সুযোগ দিবে।

সবকিছুই যখন হয়ে যায় তখন মনের মাঝে একটি প্রশ্ন বাসা বাঁধে। সবাই ভাবে আমার বানানো ব্লগে মানুষ বা ট্রাফিক আসবে কোথা থেকে বা কিভাবে?

এর উত্তর হলো সার্চ ইঞ্জিন। হ্যাঁ সার্চ ইঞ্জিন এবং সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য ব্লগ থেকে আপনি ট্রাফিক বা ভিজিটর পাবেন। অনলাইনের জনপ্রিয় কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে গুগল, বিং এবং ইয়াহু। আর সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম অন্যতম। এই মাধ্যমগুলো থেকে আপনি সহজেই আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা ভিজিটর পাবেন।

অন্য একটি আর্টিকেল এ আমি আপনাদের বলবো কিভাবে গুগল সার্চ এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপনার ব্লগে হাজার হাজার ট্রাফিক পাবেন। আপাতত এইটুকু জেনে রাখুন যে ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনার ব্লগে প্রচুর পরিমান ভিজিটর লাগবে। আর ব্লগে আপনি শুধু বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগল, বিং, ইয়াহু এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি থেকেই পাবেন।

আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন ব্লগ মানে কি। এবার আমরা শিখব কিভাবে একটি ফ্রি ব্লগ সাইট বানানো যায়।

ব্লগিং কি?

ব্লগ ইংরেজি শব্দ। Blog এর আভিধানিক অর্থ হলো ভার্চুয়াল ডায়েরী বা ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত দিনলিপি। এটি আবার Weblog এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ১৯৯৭ সালে মার্কিন নাগরিক জোম বার্গার সর্বপ্রথম Weblog শব্দটি উদ্ভাবন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের এপ্রিল বা মার্চের দিকে পিটার মেরহোলজ তার নিজস্ব ব্লগ পিটার্ম ডট কমে কৌতুক করে Weblog শব্দটিকে ভাগ করে Blog রাখেন। এর পর থেকেই Blog শব্দের প্রসার ঘটে।

প্রায় সব ব্লগই একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে সব রকমের খবরাখবর প্রকাশ করে থাকে। অন্যগুলো ব্যক্তিগত অনলাইন দিনলিপি। BlogBlog হলো লিখা, ছবি, অন্য ব্লগ, ওয়েব পেইজ ইত্যাদির সমাহার। ব্লগের অন্যতম একটি দিক হলো পাঠকদের মন্তব্য করার সুযোগ দেওয়া। মূলত সব ধরণের ব্লগই টেক্সট ভিত্তিজ। তবে কিছু কিছু ব্লগ আবার শিল্প, ছবহ, ভিডিও, সঙ্গীত, অডিও ইত্যাদির উপর গড়ে উঠে। তাছাড়া মাইক্রোব্লগিং ও আরেক ধরণের ব্লগিং যেখানে তুলনামূলকভাবে ছোট আকারের পোস্ট থাকে।

ব্লগার (Blogger) কাকে বলে?

যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলা হয়। এরা নিয়মিত তাদের সাইটে কন্টেন্ট পাবলিশ করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখান থেকে তাদের প্রয়োজন অনুসারে তথ্য নেন এবং তাদের মন্তব্য প্রকাশ করেন। তাছাড়া বর্তমানে ব্লগিং, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতার একটি অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ব্লগাররা নিয়মিত আপডেট করেন।

অনেকে ওয়েবসাইট ও ব্লগকে এক মনে করেন। কিন্তু দুটোর মাঝে পার্থক্য রয়েছে। ওয়েবসাইট ও ব্লগের মাঝে মূল পার্থক্য হলো ওয়েবসাইট নিয়মিতভাবে আপডেট করা হয় না, আর ব্লগ নিয়মিতভাবে আপডেট করা হয়।

একটি ব্লগ বানাবেন কিভাবে? (How to make a blog?)

একটি ব্লগ আপনি অনেক ভাবে তৈরি করতে পারেন। তবে সব উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেগুলা জনপ্রিয় সেগুলো হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগার ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি।

আপনি চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে একটি সেল্ফ হোস্টেড ওয়াডপ্রেস (Self Hosted WordPress) ব্লগ অথবা ব্লগারের মাধ্যমে ফ্রি ব্লগার ব্লগ তৈরি করতে পারেন।

ওয়ার্ডপ্রেস দুইভাবে খোলা যায়। একটি হচ্ছে wordpress.com ব্যবহার করে অন্যটি হচ্ছে wordpress. org ব্যবহার করে। এদের মধ্যে wordpress. org হচ্ছে সেল্ফ হোস্টেড ওয়াডপ্রেস (Self Hosted WordPress)

আপনি যদি সেল্ফ হোস্টেড ওয়াডপ্রেস (Self Hosted WordPress) এ ব্লগ সাইট বানিয়ে আর্টিকেল লিখতে চান সেক্ষেত্রে শুরুতে আপনার কিছু টাকা খরচ হবে। কারণ এখানে আপনার হোস্টিং এবং ডোমেইন কিনতে হবে যার জন্য কিছু টাকা খরচ হবে। তবে এই খরচের পরিমাণ খুব বেশি নয়। মাত্র ১ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে আপনি হোস্টিং এবং ডোমেইন নিয়ে নিতে পারবেন।

তবে ফ্রী ব্লগার সাইটে ব্লগ বানাতে আপনার একটা টাকাও খরচ করতে হবে না। সেখানে আপনি একদম বিনামূল্যে আপনার একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।

ব্লগারের ফ্রি ব্লগ সাইট বানাতে চাইলে আপনার একটি গুগল অ্যাকাউন্ট লাগবে। কারণ blogger.com হচ্ছে গুগলের একটি প্রোডাক্ট বাস সার্ভিস।

Blogger.com এ আপনি যদি একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে blogger.com ভিজিট করতে হবে। সাইটে ঢুকে আপনি উপরের ছবির মত একটি ইন্টারফেস দেখতে পারবেন। সেখানে “CREAT YOUR BLOG” বাটনটি চাপুন।

তারপর সেখানে জিমেইল আইডি দিয়ে লগইন করতে হবে। লগইন করা হয়ে গেলে আপনি সেখানে এটি সেটআপ পেজ দেখতে পারবেন। তারপর প্রয়োজনীয় ধাপ অনুসরন করে কন্টিনিউটি ব্লগার (continue to blogger) লিংকে ক্লিক করুন।

এরপর আপনি আপনার নিজের ব্লগ ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন।

ড্যাশবোর্ড থেকে “Create Blog” লিংকে ক্লিক করে আপনি আপনার ব্লগ লেখা শুরু করতে পারেন।

ব্লগার সাইটে ব্লক কিভাবে বানানো যায় তা সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা আশা করি আপনাদের দিতে পেরেছি। তো চলুন এবার জেনে নেই ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়?

ব্লগে কি আর্টিকেল লিখব এবং আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন

একটি ব্লগ বানানোর পর সবথেকে জরুরি জিনিসটাই হলো আমাদের বানানো ব্লগে আমরা কি আর্টিকেল লেখবো। সোজাভাবে বললে, ব্লগে কি লিখব বা কি বিষয়ে (topic বা subject) ব্লগে আর্টিকেল লিখবো।

এখন এইটা অবশই মনে রাখবেন যে, আপনি নিজের ব্লগে যা লিখবেন সেটা যদি লোকেরা পছন্দ করে এবং সার্চ ইঞ্জিন থেকে আশা ভিসিটর্স বা ট্রাফিক আপনার আর্টিকেল পরে ভালো পান তাহলে আপনি অনেক কম সময়ের মধ্যে ব্লগ বানিয়ে success হতে পারবেন এবং তার থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

কিন্তু, আপনার লেখা আর্টিকেল লোকেদের কেবল তখন ভালো লাগবে যদি আপনি নিজের ব্লগে কিসের ওপরে লিখবেন সেটা আগের থেকেই বুঝে রেখে ব্লগ বানান বা ব্লগে লেখবেন। এর সাথেই, ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানাটাও অনেক জরুরি জিনিস যদি আপনি নিজের ব্লগ টাকে successful চান।

ব্লগে কিসের ওপরে আর্টিকেল লিখবেন ? ব্লগে কি লিখবেন

যেকোনো একটি বিষিয়ে বা topic এ লিখুন ব্লগ

মনে রাখবেন নিজের ব্লগে সব সময় যেকোনো একটি (বিষয়) topic, subject, niche এর ওপরে লিখবেন। মানে, যদি আপনি education বা টেকনোলজির বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন বলে ভেবেছেন তাহলে সবসমই education বা technology বিষয়ে ব্লগে আর্টিকেল লিখবেন।

কখনোই, ব্লগে যেকোনো বিষয়ে লিখে তাকে খিচুড়ি লাবড়া বানাবেননা। এতে, আপনার ব্লগে আশা লোকেরা confused হয়ে যাবে এবং আপনার ব্লগে তারা রুচি পাবেন। এর বাইরে, যেকোনো একটি বিষয়ে বা subject এর বিষয়ে ব্লগে লিখলে গুগল সার্চ থেকে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স অনেক সহজ ভাবে পাওয়া যায়।

তাই, নিজের ব্লগে প্রথম আর্টিকেল লেখার আগেই এইটা অবশই ভেবেনিন যে আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সেই বিষয়ে বা সেই topic এর ওপরে আপনি ভবিষতে আরো আর্টিকেল লিখতে পারবেন কি না।

উদাহরণ স্বরূপে, আপনি নিজের ব্লগে যদি Android apps এর বিষয়ে লিখছেন তাহলে ভব্যিষতের সব আর্টিকেল Android এর উপরেই লিখবেন। এতে আপনার ব্লগের subject বা topic Android থাকবে এবং এতে আপনার ব্লগে আশা ভিসিটর্স বা ট্রাফিক সব সময় আপনার আর্টিকেল এ রুচি রাখবেন।

কারণ, আপনার ব্লগে ভিসিটর্স আসছেন android এর ওপরে আর্টিকেল পড়তে। এবং, আপনি যদি তাদের android এর ওপরেই নতুন নতুন সমাধান বা knowledge দেন তাহলে তারা অবশই আপনার ব্লগে বার বার ঘুরে আসবেন।

তাই, আপনি অনেক কিছুর ওপরে নিজের ব্লগ আরম্ভ করতে পারবেন। এরকম অনেক subject, topic বা বিষয় আছে যেগুলির ওপরে আপনি অনেক কিছু নিজের ব্লগে লিখতে পারবেন।

যেমন,

  1. Android
  2. Android apps
  3. Internet
  4. Technology
  5. Blogging
  6. Educational
  7. Sports
  8. Food
  9. Story

আরো অনেক এমন লাভজনক বিষয় আছে যেগুলির বিষয়ে আপনি নিজের ব্লগে অনেক কিছুই লিখতে পারবেন। মনে রাখবেন, আপনি একটা বিষয়ে বা topic এ যতটা ভালো ভালো আর্টিকেল লিখতে থাকবেন আপনার ব্লগে মানুষ ততোটাই তীব্র গতিতে আশা শুরু করবে।

ব্লগের topic বা subject এর ওপরে জ্ঞান

মনে রাখবেন, আপনি কেবল একটি বা দুটি আর্টিকেল লিখে ব্লগ থেকে কামাই করতে পারবেননা। বা সহজ ভাবে বললে, ব্লগে একটি দুটি আর্টিকেল লিখে বসে থাকলে তাতে ভিসিটর্স বা ট্রাফিক আসবেনা। আপনি নিজের ব্লগে যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন ভেবেছেন সেই বিষয়ে ডেইলি নাহলেও সপ্তায় ৩ বা ৪ টি করে আর্টিকেল লিখতে হবে। কেবল তাহলেই আপনার ব্লগে গুগল সার্চ এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ট্রাফিক বা ভিসিটর্স আসবেন।

কিন্তু, এখন প্রশ্ন হলো, “আপনি একেই টপিক বা বিষয়ে এতগুলি আর্টিকেল regular কিভাবে লিখবেন? 

এটার উত্তর হলো,

নিজের লিখা বিষয়ে বা টপিক নিয়ে পুরো ভাবে জ্ঞান থাকা বা রাখা। হে, আপনি নিজের ব্লগে কেবল ওই বিষয়ে বা subject এ লিখবেন জেতার ওপরে আপনার পুরো ভাবে জ্ঞান বা knowledge থাকে। এতে আপনি নিজের জ্ঞান বা জানা subject এর বিষয়ে অনেক কিছু এক এক করে লিখতে পারবেন।

উদাহর হিসেবে, 

যদি আপনি একটি ব্লগ বানিয়েছেন তাহলে তাতে কেবল এমন আর্টিকেল লিখবেন বা এমন বিষয়ে লিখবেন যেটা আপনি অনেক ভালো করে জানেন।

যদি আপনি কম্পিউটারের বিষয়ে জানেন তাহলে কম্পিউটারের ওপরেই লিখতে থাকুন। আপনি যদি, android, মোবাইল, ইন্টারনেট বা যেকোনো বিষয়ে ভালো করে জানেন বা এর বিষয়ে অনেক কিছু লোকেদের শিখতে পারবেন তাহলেই সেই বিষয়ে ব্লগে লিখবেন।

এতে আপনার ব্লগে আশা লোকেরা বা ভিসিটিওর্স বার বার আপনার ব্লগে ঘুরে আসবেন সেই বিষয়ে কিছু নতুন শিক্ষার জন্য।

এখন আপনি অবশই বুঝেগেছেন যে নিজের ব্লকে কি লিখবেন বা কি বিষয়ে ব্লগ লিখবেন। হে আপনি ঠিক বুঝেছেন। আপনি যেকোনো বিষয়ে ব্লগ লিখতে পারবেন। কিন্তু, সেই বিষয়ে আপনার পুরো জ্ঞান থাকতে হবে এবং আপনি কেবল সেই একটি বিষয়ে ব্লগ লিখতে হবে।

তাহলে চলেন এখন আমরা আরো একটি জরুরি জিনিস মেনেনেই। নিজের ব্লগে আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন।

ব্লগে আর্টিকেল কীভাবে লিখতে হয় বা ব্লগ লিখার নিয়ম?

একটি ব্লগ সফলভাবে আগিয়ে নিতে হলে আপনি তাতে কি লিখছেন এবং কিভাবে লিখছেন তাতে ধ্যান অবশই দেয়াটা জরুরি।  তাই আমি আপনাদের আমার নিজের ব্যক্তিগত experience (অনুভব) থেকে ৫ টি এমন নিয়ম বলবো যেগুলি একটি ব্লগে আর্টিকেল লেখার আগে আপনাদের জেনে রাখা অনেক জরুরি। সোজাভাবে বললে, এই ৫ টি হলো একটি আকর্ষণীয় ব্লগ লেখার নিয়ম।

১. Expert হিসেবে আর্টিকেল লিখুন (পুরো জ্ঞান নিয়ে )

মনে রাখবেন, আপনি যে বিষয়ে ব্লগে লিখছেন সেই বিষয়ে অনেকেই আগেথেকে ব্লগ লিখে রেখেছেন। আপনি একবার গুগল সার্চ করলেই বুঝাযাবেন যে আপনার বেচেনিয়া বিষয়ে কতটি আর্টিকেল আগেথেকেই ইন্টারনেটে লিখা হয়ে গেছে।

তাই, এখন প্রশ্ন হলো , আপনার লেখা ব্লগ মানুষে কেন পড়বেন বা সার্চ ইঞ্জিনে আপনার আর্টিকেল কেন লোকেদের দেখানো হবে ?

এটার একটি সহজ এবং সাধারণ সমাধান হলো, যাই লিখবেন expert হিসেবে লিখুন। মানে, আপনি জন বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন তার বিষয়ে ভালোকরে জেনে একটি একটি কথা detail এ লিখুন। আপনার লেখা বিষয়ে আপনার পুরো জ্ঞান থাকতে হবে।

আপনার লিখা আর্টিকেলের বিষয়ে আপনি যতটা ভালোকরে লিখতে পারবেন, যতটা detailes এ জিনিষগুলি বুঝিয়ে বলতে পারবেন ততোটাই ভিসিটর্স বা ট্রাফিক আপনার ব্লগে আসবেন। কারণ লোকেরা আপনার ব্লগে সেই বিষয়ের ওপর সবকিছুই ভালোকরে জানতে পারছেন।

উদাহরণ স্বরূপে, 

যদি আপনি “Android মোবাইল ৰূট” এর ওপর আর্টিকেল লিখছেন তাহলে লোকেরা আপনার আর্টিকেল তখন ভালো পাবে যখন আপনি মোবাইল ৰূট এর বেপারে সবটাই ভালোকরে বুঝিয়ে বলবেন। যেমন, ৰূট কাকে বলে ? ৰূট করলে কি লাভ হয় ? ৰূট কিভাবে করনে ? আরো অনেক।

এতে ইন্টারনেটে অন্যদের লেখা আর্টিকেল থেকে আপনার আর্টিকেল লোকেরা বেশি ভালো পাবেন। কারণ আপনি একটি আর্টিকেলে তাদের মনে আশা সব প্রশ্ন সমাধান দিয়ে দিচ্ছেন।

২. সোজাভাবে ব্লগ / আর্টিকেল লিখবেন

মনে রাখবেন, আপনার ব্লগে আর্টিকেল পড়তে আশা লোকেরা যদি আপনার লেখা বুঝতেই না পারে বা তাদের বুঝতে অসুবিধে হয়, তাহলে আপনার ব্লগ লেখার কোনো মানেই হয়না। এতে আপনি কখনোই সফল হতে পারবেননা।

তাই, সব সময় সহজ সরল ভাষাতে ব্লগ লেখবেন যাতে জেকেও অনেক সহজেই বুঝে নিতে পারে যে আপনি কি লিখেছেন। এর বাইরেও, এইটাও মনে রাখবেন যাতে আপনি ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ (paragraph) করে লিখুন। যত বোরো প্যারাগ্রাফ করে আপনি লিখবেন ততটাই অসুবিধে হবে আপনার লেখা আর্টিকেল পড়তে।

আপনি আমার এই আর্টিকেলটি দেখতে পারেন, আমি যতটা সম্ভব ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে লিখেছি যাতে আপনাদের পড়তে এবং বুঝতে সুবিধে হয়। এর সাথেই, জাগায় জাগায় কমা বা প্রশ্ন ছিন্ন ব্যবহার করুন।

৩. Bold Heading, কমা, প্রশ্ন ছিন্ন ব্যবহার করুন

আপনি হয়তো আমার এই আর্টিকেলে দেখেছেন যে, আমি জাগায় জাগায় Bold heading, কমা বা প্রশ্ন ছিন্ন আদি ব্যবহার করছি। আর আপনিও অবশই নিজের লেখা আর্টিকেলে এইগুলির ব্যবহার অবশই করবেন। এতে, আর্টিকেল পড়তে এবং বুঝতে অনেক সুবিধে হয় আর search engine যেমন Google search ও এমন আর্টিকেল পছন্দ করেন।

অবশই মনে রাখবেন , আর্টিকেল লেখার সময়, একটি H1 BOLD HEADING একটি H2 BOLD HEADING এবং কয়েকটি (৩ থেকে ৪ টি) H3 বা H4 heading অবশই ব্যবহার করবেন। এতে আপনার লেখা আর্টিকেল অনেক আকর্ষণীয় এবং পড়তে সহজ হয়ে যাবে।

৪. আর্টিকেলে ছবি (images) অবশই ব্যবহার করুন

নিজের ব্লগের আর্টিকেলে ছবি (images) অবশই ব্যবহার করবেন। কিন্তু তা বলে যেকোনো ছবি নয়। আপনার আর্টিকেলের সাথে মেল্ খাওয়া (related) ছবি ব্যবহার করবেন।

মনে রাখবেন, ব্লগ আর্টিকেলে ছবি ব্যবহার করলে লোকেদের আপনার আর্টিকেল পরে অনেক ভালো লাগবে কারণ তাতে তাদের সেই বিষয়ে দেখার ও অনেক কিছু থাকবে।

আপনি যদি কোনো টিউটোরিয়াল আর্টিকেল লিখছেন যেমন, “ব্লগ কিভাবে বানাতে হয় বা অনলাইন শপিং কিভাবে করবেন” তাহলে তাতে যদি আপনি ছবি ব্যবহার করে বুঝিয়ে লিখেন তাহলে আপনার লেখা আর্টিকেল জেকেও অনেক সহজে বুঝতে পারবেন। একটা ছবি আমাদের অনেক কিছুই বুঝিয়ে দিতে পারে।

তাই, যতটা সম্ভব আর্টিকেলে ছবি বা স্ক্রিনশট ব্যবহার করবেন।

৫. Regular ব্লগে আর্টিকেল লিখবেন

নিজের ব্লগে রেগুলার (regular) কমেও সপ্তাহে ৩ বা ৪ টি করে আর্টিকেল লিখে পোস্ট করবেন। এইটা অনেকেই জানেনা যে regular ব্লগে না লিখলে Google search থেকে ফ্রি ভিসিটর্স বা ট্রাফিক পাওয়ার সুযোগ হারাতে হয়। কারণ, Google চায় আপনি আপনার ব্লগে নতুন নতুন আর্টিকেল লিখে পোস্ট করতে থাকুন কমেও ৩ টি করে সপ্তাহে।

গুগল সার্চ এর সোজা কথা, যেগুলি ব্লগ ঘনে ঘনে আর্টিকেল লিখে নিজের ব্লগ কে regualr update করেন সেগুলিকে বেশি চে বেশি ভিসিটর্স বা ট্রাফিক দিতে কোনো দশ নেই। তাই, যদি আপনি নিজের ব্লগে google search থেকে ফ্রি traffic বা visitors পেতে চান, তাহলে নিজের ব্লগ regular update করবেন তাতে নতুন আর্টিকেল লিখে।

ব্লগে regular নতুন নতুন আর্টিকেল লিখলে কেবল Google search এ নয়, কিন্তু আপনার ব্লগে আশা প্রত্তেকজন লোকেরা আপনার ব্লগে এসে ভালো পাবেন।

এর কারণ অনেক সোজা, আপনি যখন নতুন নতুন আর্টিকেল ব্লগে continue বা regular লিখবেন তখন আপনার ব্লগে আশা ভিসিটর্সরাও সব সময় কিছু নতুন জিনিস পড়তে এবং জানতে পারবেন। ফলে, ব্লগে আশা আভিসিটর্সরা বার বার আপনার ব্লগে ঘুরে আসবেন কিছু নতুন জানার উদ্দেশে।

ব্লগিং করে আয় করার উপায়? (Best ways to earn money from Blogging)

একটি ব্লগ সাইট থেকে আয় করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। তবে এখানে আমি সবচেয়ে সহজ এবং ভালো কয়েকটি উপায় সম্পর্কে আপনাদের বলবো।

ব্লগ থেকে টাকা আয় এর তিনটি উপায় সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হবে। উপায়গুলো হলো: গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে এবং প্রডাক্ট প্রমোট করে।

ব্লগিং করে আয় করার উপায়? (Best ways to earn money from Blogging)
ব্লগিং করে আয় করার উপায়? (Best ways to earn money from Blogging)

চলেন উপরোক্ত তিনটি প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

১. গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা আয়

একটি ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব যাই বলেন না কেন এইসব প্ল্যাটফর্ম থেকে টাকা আয় করার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হচ্ছে গুগলের এডসেন্স।

অ্যাডসেন্সে বিভিন্ন ধরনের এড দেওয়া যায় সেটা হতে পারে টেক্সট অ্যাড, ইমেজ অ্যাড কিংবা লিংক অ্যাড।

আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব এ যখন গুগল এডসেন্স একটিভ করা হবে তখন গুগল অ্যাডসেন্স দ্বারা আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ সাইটে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। বিজ্ঞাপন গুলিতে যখন কেউ ক্লিক করবে তখন আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে কিছু পরিমাণ টাকা জমা হবে।

আপনার আপনার ব্লগ সাইটে ভিজিটর যত পারবে আপনি তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। প্রথম প্রথম অ্যাডে ক্লিক কিছুটা কম আসবে কিন্তু যখন অডিয়েন্স বেড়ে যাবে অর্থাৎ আপনার প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক আসবে তখন অ্যাড ক্লিক এর পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে এবং দিন দিন তা বাড়তেই থাকবে।

আপনার এডসেন্স একাউন্টে 100 ডলার জমা হলে এডসেন্স কর্তৃক তা আপনার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করতে চাইলে আপনার ব্লগে ট্রাফিক বা ভিজিটর বেশি হতে হবে। যত বেশি ভিজিটর ততবেশি টাকা।

তাই আপনাকে যাওয়ার আগে যেটা ভাবতে হবে সেটা হচ্ছে কিভাবে আপনার ব্লগ সাইটে প্রতিনিয়ত ভিজিটর সংখ্যা বাড়ানো যায়।

২. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

ব্লগিং করে আয় করার ক্ষেত্রে গুগল এডসেন্স এর পর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।

এখন প্রশ্ন আসে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে করা যায়?

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? 

এফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক সহজ একটা টার্ম। এটার মানে হচ্ছে যে, আপনি অন্যের বিজনেস বা প্রোডাক্ট প্রমোট করে দিবেন সেখান থেকে আপনি কিছু টাকা কমিশন হিসেবে পাবেন।

অনলাইনে এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং সাপোর্ট করে। অর্থাৎ আপনি তাদের প্রডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে আপনার ব্লগে লিখবেন বা প্রচার করবেন। সেখান থেকে যদি কেউ ওই প্রোডাক্ট কিনে তবে আপনি সেখান থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।

এটিই মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং।

অনলাইনের অনেক নামিদামি স্টোর যেমন, অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট এবং এছাড়া আরো অনেক অনেক কোম্পানি আছে তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট আপনার ব্লগে পোস্ট করতে হবে।

এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর এড গুলো বিভিন্ন এফিলিয়েট লিংক দ্বারা ব্লগে পোস্ট করা হয়। আপনি যদি ওই অনলাইন স্টোরগুলোতে অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট খুলেন তবে আপনাকেও একটি এফিলিয়েট লিংক দেওয়া হবে।

এরপর আপনার এফিলিয়েট লিংক থেকে যদি কেউ কিছু কিনে তাহলে সেই প্রত্যেকটি পণ্যের উপর আপনি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন পাবেন। এভাবে আপনি আপনার ব্লগে বিভিন্ন এফিলিয়েট লিংক পাবলিশ করে অনেক কমিশন পেতে পারেন।

৩. Local product promote করে টাকা আয় করুন

গুগল অ্যাডসেন্স এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ছাড়াও আরেকটি ভালো উপায় আছে টাকায় করার। সেটি হল লোকাল প্রোডাক্ট প্রমোটিং।

তবে এটা তখনই সম্ভব হবে যখন আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমান ভিজিটর আসতে থাকবে।

লোকাল প্রোডাক্ট ফরমেট করার ক্ষেত্রে আপনাকে দোকানের মালিক বা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ম্যানেজারদের সাথে কথা বলতে হবে।

যদি আপনার ওয়েবসাইটে অনেক বেশি ট্রাফিক থাকে তাহলে তারা আপনাকে এড দিতে আপত্তি করবে না এবং ভালো পরিমাণ টাকা আপনাকে দিবে।

আপনি জানেন কিনা জানি না, বর্তমানে লোকাল দোকান থেকে শুরু করে প্রায় সবাই অনলাইন অ্যাডভার্টাইজমেন্ট কে অনেক লাভজনক মনে করে। তাই তারা অনলাইনে এড দিতে আগ্রহী হয়।

আরো কিছু আর্টিকেল যেগুলো আপনার কাজে লাগতে পারেঃ


আজ এ পর্যন্তই।আশা করি আপনাদেরকে ব্লগ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। এরপরও আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখবেন আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

ব্লক টি ভাল লাগলে ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ।

ডায়োড কি? ডায়োড সম্পর্কে বিস্তারিত

0

আপনার যদি ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে ন্যূনতম কিছু ধারণা থেকে থাকে তবে আপনাকে আর ডায়োড এর বহুল ব্যবহার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নাই। আমাদের হাতে এখন যত উন্নত প্রযুক্তি আমরা দেখতে পায় সেখানে ডায়োড ব্যপক স্থান দখল করে বসে আছে।

ডায়োড (Diode) কি

সঙ্গাঃ ডায়োড একটি দুই প্রান্তবিশিষ্ট ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যা সার্কিটে কারেন্টকে একদিকে প্রবাহিত করে এবং বিপরীত দিক দিয়ে কারেন্ট যেতে বাধা দেয়। এর একদিকের রোধ প্রায় শূন্য এবং বিপরীত দিকের রোধ অনেক অনেক বেশি। তাই বিপরীত দিক দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারেনা।

এতে দুটি ইলেকট্রোড থাকে, এর একটি হচ্ছে অ্যানোড এবং অপরটি ক্যাথোড। ডায়োড মূলত অর্ধপরিবাহী সিলিকন এবং জার্মেনিয়াম দিয়ে তৈরি। একটি পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর এবং একটি এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরকে পরস্পরের সাথে যুক্ত করে ডায়োড তৈরি করা হয়। দুই সেমিকন্ডাক্টরের সংযোগস্থানকে p-n জাংশন বলে।

সেমিকন্ডাক্টর ডায়োডে p-রিজিওন এবং n-রিজিওন দুইটি ভিন্ন রিজিওন পাশাপাশি স্থাপন করে ডায়োড তৈরি করা হয়। ডায়োডের p-রিজিওনকে অ্যানোড এবং এবং n-রিজিওনকে ক্যাথোড বলে। এই ডায়োড শুধু ফরওয়ার্ড বায়াসে কারেন্ট পরিবহন করে। রিভার্স বায়াসিং এ এটি কারেন্ট পরিবহন করে না। ডায়োড যেহেতু এক দিকে কারেন্ট প্রবাহিত করে তাই একে একমুখী সুইচ বলে।

সাধারণ ডায়োডের কাজ হল কারেন্টকে ফরোয়ার্ড ডিরেকশনে প্রবাহিত করা। অন্যদিকে কারেন্ট যদি রিভার্স ডিরেকশনে প্রবাহিত করানো হয় তখন এটি কারেন্টকে বাধা দেয়। এভাবে ডায়োড একমুখী হিসেবে কাজ করে।

ডায়োডের বিভিন্ন টার্ম (Terms of Diode)

ডায়োড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে ডায়োডের বিভিন্ন টার্ম সম্পর্কে ভাল করে জানতে হবে। চলুন এবার সেগুলো সম্পর্কে অল্প করে জেনে নেই।

ফরোয়ার্ড বায়াসিং (Forward Biasing)

যদি ডায়োডের p-n জাংশনের p প্রান্তের সাথে পজিটিভ সোর্স এবং p-n জাংশনের n-প্রান্তের সাথে নেগেটিভ সোর্স সংযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়াকে ফরোয়ার্ড বায়াসিং বলে। এর ফলে সোর্স ভোল্টেজ পটেনশিয়াল ব্যারিয়ারকে অতিক্রম করে এবং জাংশনে কারেন্ট প্রবাহিত হয়।

রিভার্স বায়াসিং (Reverse Biasing)

যদি ডায়োডের p-n জাংশনের p প্রান্তের সাথে নেগেটিভ সোর্স এবং p-n জাংশনের n-প্রান্তের সাথে পজিটিভ সোর্স সংযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়াকে রিভার্স বায়াসিং বলে। এর ফলে সোর্স ভোল্টেজ পটেনশিয়াল ব্যারিয়ারকে অতিক্রম করে এবং এ কারণে জাংশনে কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারেনা।

নী ভোল্টেজ বা অফসেট ভোল্টেজ (Knee Voltage)

p-n জাংশন ডায়োড ফরওয়ার্ড বায়াসে সর্বনিম্ন যে ভোল্টেজে কারেন্ট প্রবাহ শুরু হয় তাকে নী-ভোল্টেজ বলে। সিলিকনের নী-ভোল্টেজ 0.7 এবং জার্মেনিয়ামের নী-ভোল্টেজ 0.3 ভোল্টেজ।

ব্রেকডাউন ভোল্টেজ (Brakdown Voltage)

p-n জাংশন ডায়োডে রিভার্স বায়াসিং করার পর, রিভার্স ভোল্টেজ বৃদ্ধি করতে থাকলে একটি নির্দিষ্ট ভোল্টেজ অতিক্রম করার পর p-n জাংশনটি ভেঙ্গে যায় এবং অত্যাধিক পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত হতে থাকে। ডায়োডের এই অবস্থাকে ব্রেক ডাউন বলে এবং এ সময়ের ভোল্টেজকে বলা হয় ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ

বিভিন্ন রেটিং এর ডায়োডের ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ বিভিন্ন হয়।

পিক ইনভার্স ভোল্টেজ (Peak inverse Voltage)

পিক ইনভার্স ভোল্টেজ হল ডায়োডের সর্বোচ্চ রিভার্স ভোল্টেজ।

ডায়োডের প্রকারভেদ

নিচে বিভিন্ন ধরনের ডায়োডের নাম দেওয়া হলঃ

  • সেমিকন্ডাক্টর ডায়োড
  • লাইট এমিটিং ডায়োড
  • জেনার ডায়োড
  • টানেল ডায়োড
  • ক্রিস্টাল ডায়োড
  • ফটো ডায়োড
  • পিন ডায়োড

সেমিকন্ডাক্টর ডায়োড (Semiconductor Diode)

যে ডায়োডের মধ্য দিয়ে ফরোয়ার্ড বায়াসে কারেন্ট প্রবাহিত হয় কিন্তু রিভার্স বায়াসে কারেন্ট প্রবাহিত হয়না তাকে সেমিকন্ডাক্টর ডায়োড বলে।

লাইট এমিটিং ডায়োড (Light Emitting Diode or LEDs)

লাইট এমিটিং ডায়োড একটি বিশেষ ধরনের p-n জাংশন ডায়োড যা ফরোয়ার্ড বায়াসে কাজ করে। এটি বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসে ইন্ডিকেটর হিসেবে কাজ করে।

জেনার ডায়োড (Zener Diode)

জেনার ডায়োড হল অধিক মাত্রায় ডোপিংকৃত p-n জাংশন ডায়োড। এটি সিলিকন বা জার্মেনিয়ামের তৈরি। এটি একটি বিশেষ ধরনের ডায়োড যার উভয়দিক দিয়েই কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারে। এদের একটি নির্দিষ্ট ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ থাকে।

এটি একটি প্রটেকটিভ ডিভাইস হিসেবে ওভার ভোল্টেজ প্রটেকশনে ব্যাবহার করা হয়। এটি সাধারণত সার্কিটে রিভার্স বায়াসে সংযোগ করতে হয়। যখন নির্দিষ্ট ভোল্টেজ অতিক্রম করার ফলে ডায়োডের ভোল্টেজ ব্রেকডাউন হয় অতিরিক্ত ভোল্টেজ শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে গ্রাউন্ডে চলে যায়। ভোল্টেজ একবার ব্রেকডাউন হলে এর ভোল্টেজ আর বাড়েনা অর্থাৎ ভোল্টেজ নির্দিষ্ট থাকে। কিন্তু কারেন্টের পরিমাণ বাড়ে। এই প্রোপার্টির উপর ভিত্তি করে জেনার ডায়োড তৈরি করা হয়।

টানেল ডায়োড (Tunnel Diode)

টানেল ডায়োড এমন একটি p-n সেমিকন্ডাক্টর ডায়োড যা অত্যাধিক ডোপিংকৃত । এটি সাধারণ ডায়োডের চেয়ে প্রায় 1000 গুণ বেশি মাত্রায় ডোপিং করা হয়। এজন্য এর জাংশন অনেক পাতলা হয় এবং অল্প পরিমাণ রিভার্স ভোল্টেজে ব্রেক ডাউন হয়।

ফরোয়ার্বাড বায়াসে অল্প ভোল্টেজে কারেন্ট দ্রুত বেড়ে যায়। একটি নির্দিষ্ট ভোল্টেজ পর্যন্ত কারেন্ট বাড়তে থাকলেও এরপর ভোল্টেজ বাড়ালেও কারেন্ট কমে যায়।

পিন ডায়োড (Pin Diode)

পিন ডায়োড মূলত উচ্চতর ফ্রিকুয়েন্সিতে কাজ করে। কম ফ্রিকুয়েন্সিতে এটি সাধারণ ডায়োডের মত আচরণ করে। পিন ডায়োডগুলি সাধারণত আরএফ সুইচ , অ্যাটেনুয়েটর , ফটোডিটেক্টর এবং ফেজ শিফটার হিসাবে কাজ করে।

ডায়োডের বৈশিষ্ট্য

সাধারণত একটি ডায়োডে নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো থাকে।

  1. ফরোয়ার্ড বায়াসে শূন্য রেজিস্ট্যান্স দেখায়।
  2. রিভার্স বায়াসে অসীম রেজিস্ট্যান্স দেখায়।
  3. দুইটি স্টেবল অন এবং অফ স্টেট থাকে।

ডায়োডের ব্যবহার

ডায়োডের ব্যবহার নিচে দেওয়া হলঃ

  1. রেকটিফায়ার হিসেবে কাজ করে।
  2. ডিটেক্টর হিসেবে কাজ করে।
  3. সুইচ হিসেবে কাজ করে।
  4. ওয়েভ শেপিং সার্কিটে ব্যবহার করা হয়।
  5. মডুলেশন হিসেবে কাজ করে।
  6. রিভার্স ভোল্টেজ প্রটেকশন হিসেবে কাজ করে।
  7. হাই ভোল্টেজ প্রটেকশন হিসেবে কাজ করে।
  8. ক্লাম্পিং
  9. ক্লিপিং
  10. লজিক সার্কিটে ব্যবহার করা হয়।

কারেন্ট-ভোল্টেজ বৈশিষ্ট্যরেখা (I-V Characteristics)

কারেন্ট ভোল্টেজ বৈশিষ্ট্য রেখা খুব সহজ একটি বিষয়। ডায়োডের বৈশিষ্ট্য প্রদান করে এমন গ্রাফ বা রেখাই হচ্ছে কারেন্ট ভোল্টেজ বৈশিষ্ট্য রেখা। এটি তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। ফরোয়ার্ড বায়াস, রিভার্স বায়াস এবং জিরো বায়াস।

উপরের চিত্র থেকে দেখা যাচ্ছে

ফরোয়ার্ড বায়াসের ক্ষেত্রে

রেকটিফায়ার

যে সার্কিট অলটারনেটিং বা AC কারন্টকে ডাইরেক্ট বা DC কারেন্টে রূপান্তর করে তা রেকটিফায়ার। যে পদ্ধতিতে রেকটিফাই করা হয় তাকে রেকটিফিকেশন বলে।

এটি  মূলত AC কারেন্টকে পালসেটিং DC তে রূপান্তর করে। অধিকাংশ ইলেকট্রিক সার্কিট লো-ভোল্টেজ এবং লো-ডি.সি. কারেন্টে চলে। এই বিপুল পরিমাণ পাওয়ারের চাহিদা মেটাতে সেল ব্যবহার সাশ্রয়ী নয়। তাই এ.সি. কে প্রয়োজনীয় মানে কমিয়ে ডি.সি. তে রূপান্তরিত করে ব্যবহার করা হয়।

  1. হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার
  2. ফুল ওয়েভ রেকটিফায়ার
  3. ব্রিজ রেকটিফায়ার

হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার

যে রেকটিফায়ার সার্কিট ইনপুট এ.সি. সাপ্লাই এর অর্ধ সাইকেলকে ডি.সি. তে রূপান্তর করে তাকে হাফ ওয়েভ রেকটিফায়ার (Half Wave Rectifier) বলে। সার্কিটের ডিজাইনের উপর নির্ভর করে নেগেটিভ বা পজেটিভ অর্ধ সাইকেলকে রেকটিফাই করে।

ফুল ওয়েভ রেকটিফায়ার

যে রেকটিফায়ার সার্কিট ইনপুট এ.সি. সাপ্লাই এর পূর্ণ সাইকেলকে ডি.সি. তে রূপান্তর করে এবং আউটপুট, ট্রান্সফরমারের সেকেন্ডারির সেন্টার ট্যাপ থেকে নেওয়া হয় তাকে সেন্টার ট্যাপ ফুল ওয়েভ রেকটিফায়ার বলে।

ব্রিজ(ফুল ওয়েভ) রেকটিফায়ার রেকটিফায়ার

যে রেকটিফায়ারে ব্রীজ ডায়োডের মাধ্যমে ইনপুট এ.সি. সাপ্লাইকে ডি.সি. সাপ্লাই এ রূপান্তর করা হয় তাকে ব্রীজ ফুল ওয়েভ রেকটিফায়ার বলে।

এতে চারটি ডায়োডের মাধ্যমে ব্রীজ তৈরি করে রেকটিফাই করা হয়। ট্রান্সফরমারের A1 প্রান্ত যখন পজেটিভ অর্ধ সাইকেল পায় তখন ”ডায়োড ৪” এবং ”ডায়োড ২” ফরওয়ার্ড বায়াস পায় এবং কন্ডাকশন করে। পোলারিটি অনুসারে ”ডায়োড ৪”, লোড এবং ”ডায়োড ২” এর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয়ে সার্কিট কমপ্লিট হয়। যখন ট্রান্সফরমারের A2 প্রান্ত পজেটিভ অর্ধ সাইকেল পায় তখন ”ডায়োড ৩” এবং ”ডায়োড ১” ফরওয়ার্ড বায়াস পায় এবং কন্ডাকশন করে। পোলারিটি অনুসারে ”ডায়োড ৩”, লোড এবং ”ডায়োড ১” এর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয়ে সার্কিট কমপ্লিট হয়। রেকটিফায়ারের ইনপুটের পোলারিটি যাই হোক না কেন আউটপুট পোলারিটি পরিবর্তন হবে না। রেকটিফায়ার সার্কিট পাওয়ার সাপ্লাই সার্কিটে বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয়।

অনলাইনে জিআরই প্রিপারেশনের জন্য সেরা ১০ টি ওয়েবসাইট!

ভাল লাগলে অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

অনলাইনে জিআরই প্রিপারেশনের জন্য সেরা ১০ টি ওয়েবসাইট!

কারো জীবনে সবচেয়ে কার্যকর এবং গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ হল শিক্ষা। প্রয়োজনের সময়, এটি আপনাকে কেবলমাত্র বৌদ্ধিকভাবেই নয়, আর্থিকভাবেও আপনাকে সাহায্য করে।আপনি যখন ইনঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসা, আইন বা অন্য কোনও গ্রেড স্কুলের জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা করছেন তখন জিআরই পরীক্ষা আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

আপনি কোন স্কুলে ভর্তি হতে চান, তার জন্য কেমন স্কোর প্রয়োজন এগুলো দেখে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

যেহেতু আপনি আপনার পছন্দের স্কুলের জন্য কোন সেকশনে কেমন স্কোর দরকার তা দেখে আবেদন করতে পারবেন, সেহেতু আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া অনেকাংশেই আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।

বর্তমানে জিআরই পরীক্ষার আগ্রহীদের জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং কোর্স চালু রয়েছে, যেগুলো আপনাকে জিআরই পরীক্ষার ভাল প্রস্তুতি জন্য সার্বিকভাবে সাহায্য করবে। তবে অধিক ওয়েবসাইটের জন্য কোন ওয়েবসাইটটি একজন নতুন আগ্রহীর জন্য ভাল, তা নির্বাচন করতে অনেক সময় বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়।

জিআরই প্রস্তুতির জন্য আপনাকে কয়েকটি সাহায্যকারী ওয়েবসাইটের নাম বলার আগে, প্রথমে পরীক্ষাটি কী তা জেনে নেওয়া যাক।

জিআরই পরীক্ষা কী?

জিআরই (GRE: Graduate Record Examination) পরীক্ষায় একজন প্রার্থীর Mathematics, Writing এবং Vocabulary’ এর দক্ষতা যাচাই করা হয়। যারা স্নাতক প্রোগ্রামগুলোতে ভর্তি খুঁজছেন (Admission to graduate programs) বা এমবিএ (MBA) বা পিএইচডি (Ph.D) করার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য এটি সর্বাধিক গৃহীত একটি পরীক্ষা।

জিআরই পরীক্ষা দুটি ধরণের হয়। যথা-

১.জিআরই জেনারেল টেস্ট (GRE General Test) এবং
২. জিআরই সাবজেক্ট টেস্ট (GRE Subject Test).

জিআরই জেনারেল টেস্টটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে এমএস (MS) কোর্সে ভর্তির সন্ধানকারী শিক্ষার্থীরা করে থাকে। এই নির্দিষ্ট পরীক্ষায় একজন প্রার্থীকে তার Verbal reasoning, Analytical writing এবং quantitative ability বিশ্লেষণ করা হয়।

জিআরই সাবজেক্ট টেস্ট নামটি-ই এটি সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয়। এতে মূলত পরীক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে তাদের যোগ্যতা বিশ্লেষণ করা হয়। বিশেষভাবে বিশেষায়িত কোন নির্দিষ্ট কোর্সে ভর্তির সন্ধানীদের এই টেস্ট নেওয়া হয়।

বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কুলগুলি জিআরই জেনারেল টেস্টের স্কোর এর উপর ভিত্তি করে বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়। বিদেশের নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জিআরই একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।

জিআরই (GRE) তে যেভাবে ৩২০+ স্কোর করবেন!
অথবা, How to score 320+ in GRE?

অনলাইন প্রস্তুতির জন্য সেরা ১০ টি ওয়েবসাইটঃ

আমরা জিআরই প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রার্থীরা মানসম্মত প্রস্তুতি নিতে পারে এমন সেরা ১০ টি ওয়েবসাইটের একটি তালিকা তৈরি করেছি। এই ওয়েবসাইটগুলে কেবলমাত্র একটি অনলাইন প্রস্তুতি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে না, এগুলো সারাবিশ্বে সকল প্রার্থীরা জিআরই প্রস্তুতিতে সার্বিকভাবে সাহায্য করে থাকে।

1. Greenlight Test Prep

জিআরই প্রস্তুতির জন্য একটি বিস্তৃত ওয়েবসাইট হল Greenlight Test Orep. এই সাইটে প্রায় 500 টি ভিডিও রয়েছে, যেগুলো পরীক্ষার্থীকে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করে। এটি প্রার্থীদের শেখার এবং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েকটি অনুশীলন মূলক প্রশ্ন সরবরাহ করে। ওয়েবসাইটটি জিআরই prep club থেকে 5 star রেটিং প্রাপ্ত এবং এটি এর সদস্যদের সুবিধার্থে মানসম্মত সার্বিক অধ্যয়ন পরিকল্পনা সরবরাহ করে।

প্রধান সুবিধা সমূহঃ
• এটি পরীক্ষার প্রস্তুতির কৌশল থেকে শুরু করে quantitative comparisons, algebra, analytical writing, reading comprehension সহ আরও অনেক কিছুর জন্য বিনামূল্যে (free) এবং অর্থ প্রদান (paid) উভয়ের মাধ্যনেই ভাল সংখ্যক ভিডিও সরবরাহ করে।
• এটি জিআরই প্রার্থীদের প্রস্তুতির প্রয়োজনীয় কৌশল এবং প্রয়োজনীয় অধ্যয়নের টিপস সরবরাহ করে।
• শিক্ষার্থীরা ইমেলের মাধ্যমে জিআরই প্রশ্ন পেয়ে থাকে।
• এখানে বিনামূল্যে বা টাকা দিয়ে উভয় পদ্ধতিতে আপনি প্রেক্টিস টেস্টে অংশ নিতে পারবেন।
• শিক্ষার্থীরা তাদের প্রশিক্ষকের কাছ থেকে প্রাইভেট টিউটরিং চয়ন করারও বিকল্প পদ্ধতি রয়েছে।
• আপনি প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত প্রেক্টিস প্রশ্ন এবং আর্টিকেলগুলোতে ঢুকার অনুমতি পাবেন।
• আপনার জিআরই টেস্টে ভাল প্রস্তুতির জন্য এখানে 31+ ঘন্টারও বেশি ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে।

মূল্যঃ 49থেকে 1,450 পর্যন্ত।

2.kaplan

এই ওয়েবসাইটে জিআরই প্রার্থীদের প্রস্তুতির নেওয়ার জন্য প্রচুর পরিষেবা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে online tutoring, self-paced preparation, unlimited preparation সহ আরো অনেক পরিষেবা। শুধুমাত্র এসকল পরিষেবা-ই নয়, এসব পরিষেবার পাশাপাশি এটি আপনাকে জিআরই স্কোর বাড়ানোর জন্য প্রস্তুতিমূলক কৌশলও সরবরাহ করে।

প্রধান সুবিধা সমূহঃ
• এটি বিনামূল্যে অসংখ্যক প্রেক্টিস এবং ইভেন্ট সরবরাহ করে।
• এটিতে অনলাইনে জিআরই প্রস্তুতির নির্দেশিকা এবং প্রেক্টিসের জন্য 180+ ঘন্টারও বেশি সময়ের ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে।
• আপনি 5000+ এরও বেশি প্রেক্টিস প্রশ্নাবলীর সাথে প্রশ্নব্যাঙ্কের অ্যাক্সেস পাবেন।
• আপনি বিষয়, দক্ষতা এবং প্রশ্নসংখ্যা নির্বাচন করে আপনার প্রেক্টিস কুইজগুলো নিজের মতো করে তৈরি করতে পারেন।
• কোর্স বাদেও আপনি অভিজ্ঞ পরামর্শদাতাদের কাছ থেকে অনলাইন টিউটরিং বেছে নিতে পারবেন।
মূল্যঃ 449

*** QuickLaTeX cannot compile formula:
থেকে শুরু।
<!-- /wp:paragraph -->

<!-- wp:heading {"level":3} -->
<h3>3. Manhattan Prep<img class="alignnone size-medium wp-image-1697" src="https://noproblembd.com/wp-content/uploads/2020/06/20200615_224628-175x300.jpg" alt=""></h3>
<!-- /wp:heading -->

<!-- wp:paragraph -->
যদি আপনি ইতিমধ্যে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে থাকেন এবং আপনার দক্ষতা এবং প্রস্তুতিকে আরো বাড়িয়ে তুলতে চান তবে এটি আপনার জন্য সেরা ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। Manhattan Prep ওয়েবসাইট বিনামূল্যে ক্লাস, ব্লগ, অফিসিয়াল গাইড ট্র্যাকার, প্রেক্টিস পরীক্ষা এবং আরও অনেক কিছুর পরিষেবাদি সরবরাহ করে। আপনার পরীক্ষার ভাল স্কোরের কৌশল সম্পর্কে আপনি একটি প্রস্তুতিমূলক গাইডলাইন পাবেন।
<!-- /wp:paragraph -->

<!-- wp:paragraph -->
<strong>প্রধান সুবিধা সমূহঃ</strong>• এখানে আপনি নিজে নিজে বা কোন ভাল প্রশিক্ষকের সাহায্যেও জিআরই প্রস্তুতি নিতে পারবেন।• আপনি সাবজেক্ট-স্পেসিফিকেশন, প্রেক্টিস এবং আরও অনেক কিছু পরিষেবা নিয়ে তৈরি একটি সম্পূর্ণ কোর্স পাবেন।• এর একটি বৃহৎ ফেসবুক কমিউনিটি রয়েছে, যেখানে আপনি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।• যেকোন জায়গা থেকে প্রস্তুতির জন্য আপনি এর মোবাইল অ্যাপটিও ডাউনলোড করতে পারেন।
<!-- /wp:paragraph -->

<!-- wp:paragraph -->
মূল্যঃ 559

*** Error message:
Unicode character থ (U+09A5)
leading text: $থ
Unicode character ে (U+09C7)
leading text: $থে
Unicode character ক (U+0995)
leading text: $থেক
Unicode character ে (U+09C7)
leading text: $থেকে
Unicode character শ (U+09B6)
leading text: $থেকে শ
Unicode character ু (U+09C1)
leading text: $থেকে শু
Unicode character র (U+09B0)
leading text: $থেকে শুর
Unicode character ু (U+09C1)
leading text: $থেকে শুরু
Unicode character । (U+0964)
leading text: $থেকে শুরু।
Missing $ inserted.
Missing $ inserted.
leading text: ...d.com/wp-content/uploads/2020/06/20200615_
Missing $ inserted.
Unicode character য (U+09AF)
leading text: য
Unicode character দ (U+09A6)

4. Princeton Review

জিআরই প্রশিক্ষণের জন্য সেরা 10 টি ওয়েবসাইটের তালিকার মধ্যে অন্যতম আরেকটি ওয়েবসাইট হলো Princeton Review, আপনি এখানে নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিতে পারেন অথবা প্রশিক্ষণের জন্য শ্রেণীকক্ষও বেছে নিতে পারেন। আপনি ভিডিও নির্দেশনা, কোর্স ডেমো, ফ্ল্যাশকার্ডস (flashcards), মোবাইল অ্যাপ সহ আরো অসংখ্য পরিষেবা পাবেন। আপনি যদি কোর্সে সন্তুষ্ট না হন তবে এটি আপনার টাকা-ফেরতের গ্যারান্টিও দেয়।

প্রধান সুবিধা সমূহঃ
• এই ওয়েবসাইটে সম্পূর্ণ প্রস্তুতির জন্য প্রেক্টিস পরীক্ষার প্রশ্নগুলো প্রকৃত জিআরই পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।
• আপনার বিষয়ভিত্তিক স্কোর রিপোর্টের ভিত্তিতে আপনি আপনার প্রস্তুতির পরিকল্পনা করতে পারবেন।
• চূড়ান্ত কোর্সে 8 টি প্রেক্টিস পরীক্ষা, 3500+ প্রেক্টিস প্রশ্নাবলী এবং 470+ অনলাইন প্রস্তুতি সামগ্রী রয়েছে। এটি আপনার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির জন্য 180+ ঘন্টা ভিডিও টিউটোরিয়াল সরবরাহ করে থাকে।।
• আপনি বিনামূল্য অসংখ্য পরিষেবা এবং অনলাইন প্রেক্টিস পরীক্ষা পাবেন।

মূল্যঃ 499

*** QuickLaTeX cannot compile formula:
(ডিসকাউন্ট রয়েছে)
<!-- /wp:paragraph -->

<!-- wp:heading {"level":3} -->
<h3>5. examPAL<img class="alignnone size-medium wp-image-1699" src="https://noproblembd.com/wp-content/uploads/2020/06/20200616_063639-240x300.jpg" alt=""></h3>
<!-- /wp:heading -->

<!-- wp:paragraph -->
examPAL ওয়েবসাইটের সেরা বৈশিষ্ট্যটি হল এটি আপনাকে real-time feedback সরবরাহ করে যাতে আপনি আপনার প্রস্তুতির উন্নতি করতে পারেন। এটি একটি অত্যন্ত সংগঠিত জিআরই প্রস্তুতির ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার মতো করে এবং আপনার সুবিধার্থে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
<!-- /wp:paragraph -->

<!-- wp:paragraph -->
প্রধান সুবিধা সমূহঃ• এটি আপনাকে কম সময়ে জটিল প্রশ্ন সমাধানের কৌশল এবং পদ্ধতিগুলো শিখতে সহায়তা করবে।• আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুসারে আপনি কোর্সটি আপনার মতো করে সাজাতে পারবেন।• এখানের ভিডিওগুলো অানলিমিটেড এবং সিরিয়ালি সুন্দরভাবে সাজানো আছে। আপনি আপনার প্রস্তুতি সম্পর্কে real-time feedback পাবেন।• কোর্সগুলো আপনি সাশ্রয়ী ক্রয় করতে পারবেন।• এতে আপনি ইমেল বা লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে আপনার সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।• আপনার কোর্সটি ভাল না লাগলে, এটি 30 দিনের মধ্যে টাকা ফেরতের গ্যারান্টি দেয়।
<!-- /wp:paragraph -->

<!-- wp:paragraph -->
মূল্যঃ 279

*** Error message:
Unicode character ড (U+09A1)
leading text: $(ড
Unicode character ি (U+09BF)
leading text: $(ডি
Unicode character স (U+09B8)
leading text: $(ডিস
Unicode character ক (U+0995)
leading text: $(ডিসক
Unicode character া (U+09BE)
leading text: $(ডিসকা
Unicode character উ (U+0989)
leading text: $(ডিসকাউ
Unicode character ন (U+09A8)
leading text: $(ডিসকাউন
Unicode character ্ (U+09CD)
leading text: $(ডিসকাউন্
Unicode character ট (U+099F)
leading text: $(ডিসকাউন্ট
Unicode character র (U+09B0)
leading text: $(ডিসকাউন্ট র
Unicode character য় (U+09DF)
leading text: $(ডিসকাউন্ট রয়
Unicode character ে (U+09C7)

(ডিসকাউন্ট রয়েছে)

6. Magoosh

জিআরই প্রশিক্ষণের জন্য সেরা ওয়েবসাইট সম্পর্কে কথা বলার সময় Magoosh ওয়েবসাইট সম্পর্কে বলতে ভুলতে পারি না। এটি সর্বাধিক ব্যবহার-বান্ধব ওয়েবসাইট যা আপনাকে পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। এটিতে প্রতিটি বিষয়ের উপর নজর দেওয়া হয়েছে যা সময়ে সময়ে প্রতিনিয়ত আপডেট করা হয়। এছাড়াও, আপনি একটি সাপ্তাহিক স্টাডি পরিকল্পনা পাবেন এখানে এবং নিজে নিজে অধ্যয়নের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম একটি।

প্রধান সুবিধা সমূহঃ

• এটি প্রার্থীদের জন্য প্রায় 250 টি lessons, 1200+ প্রশ্ন এবং ভিডিও ব্যাখ্যা সরবরাহ করে।
• এটি প্রার্থীর পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত করতে টেক্সট মেসেজ পাঠায়।
• প্রেক্টিস পরীক্ষাগুলো প্রার্থীকে আসল জিআরই পরীক্ষার একটি অভিজ্ঞতা দেয়।
• এটি 7 দিনের মধ্য টাকা ফেরতের গ্যারান্টি দেয়।
• কোর্সটি সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়।

মূল্যঃ 149

*** QuickLaTeX cannot compile formula:
(ডিসকাউন্ট রয়েছে)
<!-- /wp:paragraph -->

<!-- wp:heading {"level":3} -->
<h3>7. ETS<img class="alignnone size-medium wp-image-1703" src="https://noproblembd.com/wp-content/uploads/2020/06/20200616_072838-233x300.jpg" alt=""></h3>
<!-- /wp:heading -->

<!-- wp:paragraph -->
আপনি যদি কম খরচে জিআরই প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান এমন সেরা ওয়েবসাইটের সন্ধান করেন, তবে ETS আপনার পক্ষে সঠিক পছন্দ। আপনি এই সাইটে বিনামূল্যে পরীক্ষার প্রস্তুতির কৌশল পাবেন এবং যদি আপনি আরো বেশি কিছু চান তাহলে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে আরো অধিক পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এখানের সমস্ত কোর্স-ই বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে এবং প্রায় ছয় সপ্তাহ সময় লাগে একটি পূর্ণাঙ্গ কোর্স শেষ হতে।
<!-- /wp:paragraph -->

<!-- wp:paragraph -->
<strong>প্রধান সুবিধা সমূহঃ</strong>• এটি পরীক্ষার জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে এবং কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত গাইডলাইন সরবরাহ করে।• কুইজ, ভিডিও সহ অধ্যয়নের উপাদানগুলো এতে খবুই আকর্ষনীয়ভাবে সাজানো আছে।• এটি আগ্রহীদের তাদের নিজেদের স্তর পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন প্রেক্টিস পরীক্ষার সরবরাহ করে।• আপনি বিনামূল্যে অধ্যয়নের উপাদান বা টাকা দিয়েও কোর্স বেছে নিতে পারেন।
<!-- /wp:paragraph -->

<!-- wp:paragraph -->
মূল্যঃ ফ্রি
<!-- /wp:paragraph -->

<!-- wp:heading {"level":3} -->
<h3>8. The Economist<img class="alignnone size-medium wp-image-1702" src="https://noproblembd.com/wp-content/uploads/2020/06/20200616_072430-300x279.jpg" alt=""></h3>
<!-- /wp:heading -->

<!-- wp:paragraph -->
জিআরই প্রস্তুতির আকর্ষনীয় টিউটোরিয়াল, লাইভ সাপোর্ট, দক্ষ টিউটর সাপোর্ট সহ অসংখ্য উন্নত মানের পরিষেবার জন্য The Economist ওয়েবসাইট সেরা। এটি আপনাকে ভাল জিআরই স্কোর করার গ্যারান্টি দিবে।
<!-- /wp:paragraph -->

<!-- wp:paragraph -->
প্রধান সুবিধা সমূহঃ• এটি 5000 টিরও বেশি প্রেক্টিস প্রশ্ন সরবরাহ করে।• আপনার প্রয়োজন অনুসারে আপনি কোর্সটি কাস্টমাইজ করতে পারেন।• এটি এমন এক উন্নত প্রযুক্তি মাধ্যমে তৈরি করা, যা আপনার একাডেমিক দুর্বলতা এবং দক্ষতার সাথে খাপ খায়।
<!-- /wp:paragraph -->

<!-- wp:paragraph -->
মূল্যঃ 200

*** Error message:
Unicode character ড (U+09A1)
leading text: $(ড
Unicode character ি (U+09BF)
leading text: $(ডি
Unicode character স (U+09B8)
leading text: $(ডিস
Unicode character ক (U+0995)
leading text: $(ডিসক
Unicode character া (U+09BE)
leading text: $(ডিসকা
Unicode character উ (U+0989)
leading text: $(ডিসকাউ
Unicode character ন (U+09A8)
leading text: $(ডিসকাউন
Unicode character ্ (U+09CD)
leading text: $(ডিসকাউন্
Unicode character ট (U+099F)
leading text: $(ডিসকাউন্ট
Unicode character র (U+09B0)
leading text: $(ডিসকাউন্ট র
Unicode character য় (U+09DF)
leading text: $(ডিসকাউন্ট রয়
Unicode character ে (U+09C7)

থেকে 476
*** QuickLaTeX cannot compile formula:

<!-- /wp:paragraph -->

<!-- wp:heading {"level":3} -->
<h3>9.PrepScholar GRE Prep<img class="alignnone size-medium wp-image-1701" src="https://noproblembd.com/wp-content/uploads/2020/06/20200616_072122-300x166.jpg" alt=""></h3>
<!-- /wp:heading -->

<!-- wp:paragraph -->
এটি এমন একটি ওয়েবসাইট যা আপনাকে কেবল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করে না, তার পাশাপাশি আপনাকে পরীক্ষার প্রতিটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করবে। PrepScholar Prep জিআরই প্রস্তুতির জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রার্থীদের সেরা প্রস্তুতির ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে একটি। প্রদত্ত কোর্সগুলো কিনে নেওয়া ছাড়াও, আপনি বিনামূল্যে প্রস্তুতির উপাদান এবং ই-বুকগুলো বেছে নিতে পারবেন।
<!-- /wp:paragraph -->

<!-- wp:paragraph -->
<strong>প্রধান সুবিধা সমূহঃ</strong>• এটি আপনাকে আপনার দক্ষ এবং দুর্বলতাগুলো সনাক্ত করে আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতি অধিক ভাল করতে সহায়তা করে।• আপনি 72+ ইন্টারেক্টিভ ভিডিও, 2017 অভিযোজিত প্রশ্ন, 300+ প্রেক্টিস প্রশ্ন, প্রেক্টিস পরীক্ষা এবং আরও অনেক কিছু সুবিধা পাবেন।• আপনি ইন্টারেক্টিভ পাঠ, কুইজ এবং প্রেক্টিস পরীক্ষাযর অ্যাক্সেস পাবেন।• আপনি জিআরই পরীক্ষায় ভাল স্কোর করার মতো কিছু উপায়/কৌশল শিখতে পারবেন।
<!-- /wp:paragraph -->

<!-- wp:paragraph -->
মূল্যঃ 345

*** Error message:
Missing $ inserted.
Missing $ inserted.
leading text: ...d.com/wp-content/uploads/2020/06/20200616_
Missing $ inserted.
Unicode character এ (U+098F)
leading text: এ
Unicode character ট (U+099F)
leading text: এট
Unicode character ি (U+09BF)
leading text: এটি
Unicode character এ (U+098F)
leading text: এটি এ
Unicode character ম (U+09AE)
leading text: এটি এম
Unicode character ন (U+09A8)
leading text: এটি এমন
Unicode character এ (U+098F)
leading text: এটি এমন এ
Unicode character ক (U+0995)
leading text: এটি এমন এক
Unicode character ট (U+099F)
leading text: এটি এমন একট
Unicode character ি (U+09BF)
leading text: এটি এমন একটি

(ডিসকাউন্ট রয়েছে)

10. GREedge

GREedge হল ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক এবং শেখার জন্য উন্নত প্ল্যাটফর্ম উভয়ের একটি শক্তিশালী সমন্বয়। এর উন্নত প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রার্থীদের জিআরইয়ের জন্য ভালভাবে প্রস্তুত করতে সহায়তা করে এবং স্কোর বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

প্রধান সুবিধা সমূহঃ

• এখানে আপনি জিআরই প্রস্তুতির জন্য ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক পাবেন।
• এটিতে আপনার জিআরই সম্পর্কে ‘সন্দেহ জিজ্ঞাসা করুন’ নামক একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেখানে আপনি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে আপনার সন্দেহগুলো পরিষ্কার করতে পারবেন।
• এটি বিভিন্ন বিষয়ে 3000+ এরও বেশি প্রশ্ন সরবরাহ করে।
• বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে একের পর এক প্রতিক্রিয়া মেসেজ পাবেন যা আপনাকে আপনার জিআরই প্রস্তুতির উন্নতি করতে সহায়তা করবে।

মূল্যঃ 13,000 থেকে 15,000 রুপি

উপসংহার


সেরা ওয়েবসাইটটি বাছাই করার জন্য প্রথমে পরীক্ষার্থীদের আসন্ন জিআরই পরীক্ষার জন্য কী কী সহায়তা প্রয়োজন তা বিশ্লেষণ করতে হবে। আপনি যদি নিজে নিজে প্রস্তুতি নিতে পছন্দ করেন, তবে নিজে নিজে প্রস্তুতি নেওয়া যায় এমন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ওয়েবসাইটটি নির্বাচন করুন। তবে অবশ্যই, আপনার অনলাইন জিআরই প্রশিক্ষণের জন্য যে টাকা খরচ করতে হবে তার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অবশেষে, সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ওয়েবসাইটগুলোর পূর্ববর্তী প্রার্থীদের রিভিউগুলো ভালভাবে পড়ে দেখেন এবং আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ওয়েবসাইটটি আপনি নির্বাচন করুন।

জিআরই (GRE) তে যেভাবে ৩২০+ স্কোর করবেন?

উচ্চ শিক্ষার জন্য, বিশ্বজুড়ে দেশগুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়োগের জন্য বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা করে। প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলো প্রোগ্রাম এবং বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা ভাগ করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা নেয়, জিআরই (GRE) এর মধ্যে একটি। বিশ্ববিদ্যালয় বা ব্যবসায়িক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এটি খুবই প্রয়োজনীয়। ইটিএসের (ETS) তথ্য অনুসারে, 1 জুলাই, 2015 থেকে 30 জুন, 2018 পর্যন্ত প্রায় 2 মিলিয়ন মানুষ এই পরীক্ষা দিয়েছে।

আমাদের জিআরই (GRE) প্রস্তুতির ব্লগ তাদের জন্য যারা জিআরইয়ের জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন তা ভাবছেন। এই ব্লগে আপনি জিআরই কী, জিআরই প্রস্তুতির টিপস, জিআরই বিষয় সমূহ , পরীক্ষার কাঠামো, অধ্যয়নের উপাদান এবং নিবন্ধকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিশদ বিবরণ পাবেন।

gre

জিআরই কী?

জিআরই (GRE: Graduate Record Examinations) একটি কম্পিউটার ভিত্তিক প্রমিত পরীক্ষা যা ইটিএস (ETS: Educational Testing Service) দ্বারা ডিজাইন করা এবং নিয়ন্ত্রণ করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং জার্মানির পাশাপাশি আরও 180 টি দেশ জিআরই পরিচালনা করে। আমেরিকা একটি শিক্ষানীতি এবং গবেষণা ভিত্তিক কেন্দ্র সিএফএটি (CFAT: Carnegie Foundation for the Advancement of Teaching) 1936 সালে জিআরই প্রতিষ্ঠা করে। এটি verbal reasoning, quantitative reasoning, analytical writing এবং critical thinking এর পরিমাপ করে সার্টিফিকেট প্রদান করে।

সিলেবাস এবং জিআরই কাঠামো

জিআরই verbal reasoning, quantitative reasoning এবং analytical writing skill এই তিনটি মূল বিষয় নিয়ে গঠিত। এই সমস্ত বিষয়গুলোর বিষয়বস্তু এবং কাঠামো বর্ণনা করা হলেঃ

Verbal Reasoning

Verbal reasoning অংশে অনুচ্ছেদ বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা (ability to analyze passages), প্রধান ধারণাগুলোর সংক্ষিপ্তকরণ (summarize main ideas), ক্রিটিক্যাল পয়েন্টগুলি সনাক্তকরণ (identify critical points) এবং শব্দ, বাক্য এবং সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদের অর্থ বোঝার ক্ষমতা পরিমাপ করা হয়। নিচে বিষয়গুলো নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করা হলোঃ

1. Reading Comprehension: Reading comprehension অংশটির ডিজাইন করা হয়েছে মূলত গদ্যের ধরণগুলি পড়ার এবং বোঝার দক্ষতা যাচাই করার জন্য। এই অংশটি নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর সমন্বয়ে গঠিতঃ • 1 টি বড় অনুচ্ছেদ থেকে (passage) 4 টি প্রশ্ন থাকবে। • 5-6 টা ছোট অনুচ্ছেদের প্রত্যেকটি থেকে 1-2 টা প্রশ্ন থাকবে। • 2-3 টা মিডিয়াম অনুচ্ছেদের প্রত্যেকটি থেকে 2-3 টা প্রশ্ন থাকবে। • 3-4 টা ক্রিট্রিক্যাল প্রশ্ন থাকবে (short paragraphs).

2. Sentence Equivalence: জিআরইতে প্রায় 8-9 টি sentence equivalence প্রশ্ন থাকে। এই অংশে মূলত আংশিক তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রশ্নের উত্তর কীভাবে সম্পন্ন করা উচিত সে সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর দক্ষতা পরীক্ষা করা হয়।

3. Text Completions (T.C): • 2-4 single-blank T.Cs • 4-6 double-blank T.Cs • 2-4 triple-blank T.Cs

Quantitative Reasoning

এই অংশে গাণিতিক ফরমুলা বয়বহার করে সমস্যা সমাধান করার দক্ষতা যাচাই করা হয়। এই অংশে যা যা থাকেঃ

1. বীজগণিতঃ • Expressions and equations • Variables and constants • Inequalities • Functions • Coordinate systems • Coordinate geometry • Lines and slopes • Factorization

2. পাটিগণিতঃ • Basic operations (addition, subtraction, multiplication, and division) • Integers, fractions, and decimals • PEMDAS (order of operations) • Exponents and square roots • Absolute values • Prime numbers • Even and odd numbers • Percents and percent changes • Sequences • Ratios, proportions, and cross multiplication

3. ডাটা বিশ্লেষণঃ • Distribution of data and frequency • Graphical representations of data, including bar graphs, pie charts, scatterplots, time plots, and histograms • Statistics, including mean (average), median, mode, and range • Quartiles and percentiles • Standard deviation • Factorials, permutations, and combinations • Probability • Bell curve and normal distribution

4. জ্যামিতিঃ • Lines, parallel lines, and perpendicular lines • Relationships among angles • Types of angles • Polygons, including triangles, rectangles, squares, trapezoids, and parallelograms • special right triangles and the Pythagorean theorem • Circles • Arcs and sectors • 3-D objects, including rectangular solids and right circular cylinders • Perimeter, area, circumference, volume, and surface area • Similar shapes • Inscribed shapes

Analytical Writing Skill

এই অংশে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা (critical thinking) এবং বিশ্লেষণী লেখার (analytical writing) দক্ষতা পরিমাপ করা হয়। আপনাকে ” Analyze an Issue” এবং ” Analyze an Argument” শীর্ষক দুটি পৃথক প্রবন্ধ লিখতে বলা হবে।

প্রতিটি কাজের জন্য আপনাকে 30 মিনিট বরাদ্দ দেওয়া হবে এবং আপনার লেখার দক্ষতা এবং ধারণাগুলো পরিষ্কারভাবে উপস্থাপনের দক্ষতা মূল্যায়ন করা হবে।

GRE পরীক্ষা পদ্ধতি

অনলাইন এবং সরাসরি উভয় মাধ্যমে জিআরই পরীক্ষা পরিচালিত হয়। যদিও উভয় মাধ্যমের প্যাটার্ন প্রায় একই রকম, উল্লেখযোগ্য কিছু ছোট পার্থক্য রয়েছে। যেমন-

1. সরাসরি পরীক্ষা পদ্ধতিঃ

gre test

2.অনলাইন ভিত্তিক পরীক্ষা পদ্ধতিঃ

gre test

কিভাবে প্রিপারেশন নিবেন?

জিআরই বা অন্য যে কোন পরীক্ষার জন্য এই সাইকোমেট্রিক পরীক্ষার ধরণ অনুসরণ করে নিচে উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো আপনাকে আপনার প্রস্তুতি শুরু করতে সাহায্য করবে।

1. অধ্যয়নের পরিকল্পনা তৈরি করুনঃ অধ্যয়নের পরিকল্পনা তৈরি করা আপনার প্রস্তুতি সহজ করে তুলবে। এটি আপনাকে জিআরইয়ের জন্য প্রস্তুতি শুরু করার জন্য একটি দিকনির্দেশ দেবে। পরীক্ষার তারিখ, আপনার বর্তমান স্তর এবং জিআরই স্কোর অনুযায়ী আপনার পরিকল্পনা করা উচিত।

2. পরীক্ষার ফর্ম্যাটের সাথে পরিচিত হন এবং শিডিউল তৈরি করুনঃ পরীক্ষার ফর্ম্যাটিং, প্রশ্নের ধরণ এবং স্কোরিং বুঝুন এবং সেই অনুসারে আপনার শিডিউল সেট আপ করুন। আপনার প্রস্তুতিকে উৎকর্ষ করার জন্য পরীক্ষার ফরম্যাট সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

3. পরীক্ষার তারিখের দুই সপ্তাহ আগে আপনার প্রস্তুতি শুরু করবেন নাঃ জিআরই তে ভাল স্কোর করা সহজ কাজ নয়, জিআরই প্রস্তুতির জন্য দুই সপ্তাহ যথেষ্ট নয়। এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়নি যে দুই সপ্তাহের অনুশীলনের ফলে আপনি ভাল স্কোরকে করতে পারবেন। পরীক্ষার আগে আপনার কমপক্ষে 8-10 সপ্তাহ অনুশীলন করা দরকার।

সাপ্তাহিক ছুটির জন্য অপেক্ষা করবেন না; আপনার স্কোর ভাল করতে আপনাকে নিয়মিত অধ্যয়ন করতে হবে। জিআরই প্রেক্টিস টেস্টে অংশ নিন এবং আপনার জিআরই স্কোর পরীক্ষা করুন। আপনি যা প্রত্যাশা করেছিলেন যদি এমন রেজাল্ট না হয় তাহলে আরো বেশি সময় নিয়ে অনুশীলন শুরু করুন। মনে রাখবেন, হতাশ হওয়া যাবে না, লেগে থাকতে হবে।

4. শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট বিভাগে ফোকাস করবেন নাঃ এটি বেশিরভাগ জিআরই প্রত্যাশীদের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ সমস্যা, এবং তারা কেবল সেই বিভাগটিতে ফোকাস দেয় যা তারা কঠিন বলে মনে করে। আপনার অধ্যয়নের ভারসাম্য রক্ষা করা এবং অন্যান্য বিভাগেও সমান সময় দেওয়া ভাল স্কোরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

যদি আপনি একটি বিভাগ একটু দূর্বল মনে করেন তবে আপনি এটিতে আরও সময় এবং প্রচেষ্টা দিতে পারেন, তবে অন্যান্য বিভাগের অবমূল্যায়ন আপনার জিআরই স্কোরকে প্রভাবিত করতে পারে।

৫. কোয়ান্ট’কে সহজ মনে করবেন নাঃ জিআরই সম্পর্কে অন্য একটি ধারনা হল, অনেকে শিক্ষার্থী মনে করে কোয়ান্ট সেকশন ভারবাল সেকশনের চেয়ে সহজ কিন্তু এটি সত্য না। কোয়ান্ট সেকশনটি আপনার প্রতিষ্ঠানে পড়ানো গণিত নয় এবং এটি কোন ভাবেই সহজ নয়।

Quantitative reasoning সেকশনটি পরিসংখ্যান, জ্যামিতি, বীজগণিত, ডাটা পর্যবেক্ষণ, অনুপাত, ভগ্নাংশ ইত্যাদি সমস্যার সংমিশ্রণ। কোয়ান্টের জন্য ভাল প্রস্তুতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, এটাকে আপনি কখনো মনে করবেন না এটি একটি সহজ সেকশন।

6. পূর্ণাঙ্গ জিআরই প্রেক্টিস পরীক্ষায় অংশ নিনঃ আপনার বর্তমান কোয়ান্ট এবং ভারবাল (verbal) স্কোর সম্পর্কে ধারণা পেতে একটি পূর্ণাঙ্গ জিআরই প্রেক্টিস পরীক্ষায় অংশ নিন। একটি পূর্ণাঙ্গ প্রেক্টিস পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি কেবল আপনার স্কোর সম্পর্কেই ধারণা পাবেন না বরং আপনার দুর্বল এবং ভাল পার্ফরমেন্সের দিকগুলোও জানতে পারবেন।

এই রেজাল্ট আপনাকে আপনার অধ্যয়ন পরিকল্পনা, জিআরই ফর্ম্যাট, পরীক্ষার সময় এবং পড়ার জন্য শিডিউল তৈরি করতে সহায়তা করবে। আপনার জিআরই স্কোর পরীক্ষা করার জন্য আপনি বিনামূল্যে ইটিএস (ETS), মাগুশ(Magoosh) বা কাপলান (Kaplan) ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রেক্টিস টেস্টে অংশ নিতে পারেন।

7. ইন্টারনেট ব্যবহার করুনঃ অর্ধেকেরও বেশি জ্ঞান এবং প্রস্তুতি আপনি ইন্টারনেটে নিতে পারবেন। অধ্যয়নের উপাদান, ভিডিও, প্রেক্টিস পরীক্ষা, নমুনা পরীক্ষা, পরীক্ষার টিপস, প্রশ্ন ব্যাংক ইত্যাদির জন্য মাগুশ (Magoosh), কাপলান (Kaplan) বা ইটিএস (ETS) ওয়েবসাইটে বেশি বেশি ভিজিট করুন।

৮. সঠিক বইপত্র নিয়ে অধ্যয়ন করুনঃ সঠিক বইপত্র নিয়ে অধ্যয়ন করা জরুরি। আপনি প্রস্তুতি শুরু করার আগে, নিশ্চিত করুন যে আপনি সঠিক অধ্যয়নের উপকরণ এবং বই দিয়ে শুরু করেছেন। কিছু প্রস্তাবিত অধ্যয়নের উপকরণগুলো হলঃ

প্রস্তুতির জন্য সেরা বই সমূহ

a) Quant সেকশনের জন্য সেরা বই সমূহঃ

  1. Manhattan 5LB Book of Practice Problems.
  2. ETS Official GRE Quantitative Reasoning Practice Questions.
  3. GRE Math Prep Course from Nova’s GRE Prep Course.
  4. Kaplan GRE Math Workbook.

b) Verbal সেকশনের জন্য সেরা বই সমূহঃ

  1. ETS Official GRE Verbal Reasoning Practice Questions.
  2. GRE Verbal Grail – Aristotle Prep.
  3. Kaplan GRE Verbal Workbook.
  4. Manhattan 5LB Book of Practice Problems.

c) Analytical writing সেকশনের জন্য সেরা বই সমূহঃ

  • Vibrant Publishers GRE Analytical Writing
  • ETS Official Guide to the GRE Revised General Test

d) Vocabulary সেকশনের জন্য সেরা বই সমূহঃ

  1. Word Power Made Easy – Norman Lewis.
  2. Barron’s 1100 Words You Need to Know.
  3. Magoosh GRE Vocabulary eBook.
  4. Manhattan 500 Essential Words for GRE and Manhattan 500 Advanced Words for GRE.

9. জিআরই পরীক্ষার আগের দিনঃ

আগের দিন কোনও চাপ নেবেন না এবং পড়াশোনায় আপনার পুরো সময় দেওয়ার পরিবর্তে বিশ্রাম নিন, হাঁটতে বেরোন, স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন এবং সময়মতো শুতে যাবেন। একটি স্বাস্থ্যকর এবং চিন্তামুক্ত মন একটি চাপযুক্ত মনের চেয়ে আপানকে অনেক ভাল সঞ্চালন করবে। আপনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন; এখন সময় এসেছে সমস্ত চাপ ছেড়ে দেওয়ার এবং পরীক্ষায় ফোকাস করার।

শেষ কথা

জিআরই প্রস্তুতির জন্য প্রেক্টিস, ধৈর্য্য, অধ্যয়নের সঠিক বইপত্র, কাঠামোগত অধ্যয়ন পরিকল্পনা এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞার প্রয়োজন। আপনি যদি সমস্ত সঠিক কৌশল অনুসরণ করেন এবং কমপক্ষে দুই মাস ধরে নিয়মিত অধ্যয়ন করেন তবে জিআরই আপনার জন্য কঠিন নয়।

আমরা ইতিমধ্যে জিআরই প্রস্তুুতি টিপস, অধ্যয়নের উপাদান, পরীক্ষার কাঠামো এবং ওয়েবসাইটগুলি উল্লেখ করেছি। একটি জিনিস মনে রাখবেন; কোনও কিছুই শুরুর করে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।

চাইলে এটিও পড়তে পারেনঃ নাসার আসন্ন ৫ টি মিশন | 5 upcoming missions of NASA

ডায়োড কি এবং ডায়োড কিভাবে কাজ করে?

4

আমরা যারা বিজ্ঞানের ছাত্র তারা মোটামুটি সকলেই ডায়োড সম্পর্কে কিছু না কিছু জানি। আজ আমরা ডায়োড সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। তো চলুন শুরু করা যাক।

ডায়োড কি? (What is Diode?)

সঙ্গাঃ ডায়োড একটি দুই প্রান্তবিশিষ্ট ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যা সার্কিটে কারেন্টকে একদিকে প্রবাহিত করে এবং বিপরীত দিক দিয়ে কারেন্ট যেতে বাধা দেয়।

এর একদিকের রোধ প্রায় শূন্য এবং বিপরীত দিকের রোধ অনেক অনেক বেশি। তাই বিপরীত দিক দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারেনা।

বিভিন্ন ধরনের ডায়োড

এতে দুটি ইলেকট্রোড থাকে, এর একটি হচ্ছে অ্যানোড এবং অপরটি ক্যাথোড। ডায়োড মূলত অর্ধপরিবাহী সিলিকন এবং জার্মেনিয়াম দিয়ে তৈরি।

একটি পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর এবং একটি এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরকে পরস্পরের সাথে যুক্ত করে ডায়োড তৈরি করা হয়। দুই সেমিকন্ডাক্টরের সংযোগস্থানকে p-n জাংশন বলে।

সেমিকন্ডাক্টর ডায়োডে p-রিজিওন এবং n-রিজিওন দুইটি ভিন্ন রিজিওন পাশাপাশি স্থাপন করে ডায়োড তৈরি করা হয়। ডায়োডের p-রিজিওনকে অ্যানোড এবং এবং n-রিজিওনকে ক্যাথোড বলে।

এই ডায়োড শুধু ফরওয়ার্ড বায়াসে কারেন্ট পরিবহন করে। রিভার্স বায়াসিং এ এটি কারেন্ট পরিবহন করে না। ডায়োড যেহেতু এক দিকে কারেন্ট প্রবাহিত করে তাই একে একমুখী সুইচ বলে।

সাধারণ ডায়োডের কাজ হল কারেন্টকে ফরোয়ার্ড ডিরেকশনে প্রবাহিত করা। অন্যদিকে কারেন্ট যদি রিভার্স ডিরেকশনে প্রবাহিত করানো হয় তখন এটি কারেন্টকে বাধা দেয়। এভাবে ডায়োড একমুখী হিসেবে কাজ করে।

ডায়োডের প্রতীক (Symbol of Diode)

ডায়োডের প্রতীক

উপরের ছবিতে ডায়োডের একটি প্রতীক দেখানো হয়েছে। ফরোয়ার্ড বায়াসের ক্ষেত্রে তীরচিহ্নটি কারেন্ট প্রবাহের দিক নির্দেশ করে। এখানে অ্যানোড কানেক্ট করা হয় ডায়োডের p সাইডের সাথে এবং ক্যাথোড কানেক্ট করা হয় n সাইডের সাথে।

আমরা সিলিকন বা জার্মেনিয়ামের সাথে ত্রিযোজী বা গ্রহীতা পরমাণু কিংবা পঞ্চযোজী বা দাতা পরমাণু ভেজাল হিসেবে মিশিয়ে p-n জাংশন ডায়োড তৈরি করতে পারি।এই ডোপিং সেমিকন্ডাক্টরে p-n জাংশন তৈরি করে।

এছাড়া p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর এবং n-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর একসাথে যুক্ত করেও আমরা p-n জাংশন তৈরি করতে পারি। যে প্রান্তে p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর থাকে সে প্রান্তকে বলা হয় অ্যানোড আর যে প্রান্তে n-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর থাকে সে প্রান্তকে বলা হয় ক্যাথোড।

ডায়োড যেভাবে কাজ করে (How Diode works)

একটি ডায়োড p-টাইপ এবং n-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের সমন্বয়ে কাজ করে। একটি p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরে প্রচুর পরিমাণে হোল থাকে এবং খুবই নগন্য পরিমাণ মুক্ত ইলেকট্রন থাকে।

এজন্য p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরে হোলকে বলা হয় মেজোরিটি চার্জ ক্যারিয়ার এবং মুক্ত ইলেকট্রনকে বলা হয় মাইনোরিটি চার্জ ক্যারিয়ার।

অপরদিকে একটি n-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরে প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রন থাকে এবং খুবই নগন্য পরিমাণ হোল থাকে। এজন্য n-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরে ইলেকট্রনকে বলা হয় মেজোরিটি চার্জ ক্যারিয়ার এবং হোলকে বলা হয় মাইনোরিটি চার্জ ক্যারিয়ার।

আনবায়াসড ডায়োড (Unbiased Diode)

যখন একটি এন-টাইপ অঞ্চল (Region) এবং একটি পি-টাইপ অঞ্চল পরস্পরের সংস্পর্শে আসে তখন ঘনত্বের পার্থক্যের কারণে, ব্যপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেজোরিটি চার্জ ক্যারিয়ারগুলি একপাশ থেকে অন্যপাশে চলে যায়।

হোলের ঘনত্ব পি-টাইপ অঞ্চলে বেশি এবং এন-টাইপ অঞ্চলে কম হওয়ায়, হোলগুলি পি-টাইপ অঞ্চল থেকে এন-টাইপ অঞ্চলের দিকে সরে যেতে থাকে।

আনবায়াসড ডায়োড

একইভাবে, ইলেকট্রনের ঘনত্ব এন-টাইপ অঞ্চলে বেশি এবং পি-টাইপ অঞ্চলে কম হওয়ায়, ইলেকট্রনগুলি এন-টাইপ অঞ্চল থেকে পি-টাইপ অঞ্চলের দিকে সরে যেতে থাকে।

ফ্রি ইলেক্ট্রনগুলি ব্যপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এন-টাইপ অঞ্চল থেকে পি-টাইপ অঞ্চলের দিকে যায় এবং হোলের সাথে মিলিত হয়।

ফলে পি-টাইপ অঞ্চলে উন্মুক্ত নেগেটিভ আয়ন সৃষ্টি হয়। একইভাবে, হোলগুলি ব্যপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পি-টাইপ অঞ্চল থেকে এন-টাইপ অঞ্চলের দিকে যায় এবং ইলেকট্রনের সাথে মিলিত হয়। ফলে এন-টাইপ অঞ্চলে উন্মুক্ত পজিটিভ আয়ন সৃষ্টি হয়।

এইভাবে, পি-টাইপ অঞ্চলে নেগেটিভ আয়নের একটি স্তর তৈরি হয় এবং এন-টাইপ অঞ্চলে পজিটিভ আয়নের একটি স্তর তৈরি হয় যা পি টাইপ এবং এন টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের সংযোগ স্থলের মাঝখানে অবস্থান করে।

উন্মুক্ত পজিটিভ আয়নের স্তর এবং উন্মুক্ত নেগেটিভ আয়নের স্তরটি ডায়োডের মাঝখানে এমন একটি অঞ্চল (Region) তৈরি করে যেখানে কোনও চার্জ ক্যারিয়ার থাকেনা। চার্জ ক্যারিয়ারের অভাবের কারণে এই অঞ্চলটিকে ডিপ্লেশন অঞ্চল এবং এই লেয়ারকে বলা হয় ডিপ্লেশন লেয়ার।

ডিপ্লেশন অঞ্চল তৈরি হয়ে গেলে একপাশে থাকে আরেকপাশে যাওয়ার মত আর কোন চার্জ অবশিষ্ট থাকেনা। এর কারণ হচ্ছে ডিপ্লেশন অঞ্চলজুড়ে ইলেকট্রিক ফিল্ডের প্রভাব যা চার্জ ক্যারিয়ারের একদিক থেকে অন্য দিকে স্থানান্তরকে বাধা দেয়।

ফরোয়ার্ড বায়াসিং (Forward Biasing)

ডায়োডের p-n জাংশনের p প্রান্তের সাথে পজিটিভ সোর্স এবং p-n জাংশনের n-প্রান্তের সাথে নেগেটিভ সোর্স সংযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়াকে ফরোয়ার্ড বায়াসিং বলে। এর ফলে সোর্স ভোল্টেজ পটেনশিয়াল ব্যারিয়ারকে অতিক্রম করে এবং জাংশনে কারেন্ট প্রবাহিত হয়।

ফরোয়ার্ড বায়াস

যদি কোন ভোল্টেজ সোর্সের পজিটিভ প্রান্তের সাথে ডায়োডের p-প্রান্ত এবং ভোল্টেজ সোর্সের নেগেটিভ প্রান্তের সাথে ডায়োডের n-প্রান্ত সংযুক্ত করি এবং সোর্স ভোল্টেজ শূন্য থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে বৃদ্ধি করতে থাকি।

তখন সেখানে তড়িৎ ক্ষেত্র (ইলেকট্রিক্যাল ফিল্ড) বিদ্যমান থাকার পরও শুরুর দিকে আমরা সেখানে কোন কারেন্ট ফ্লো বা কারেন্ট প্রবাহ দেখতে পাবোনা। কেননা মেজোরিটি চার্জ ক্যারিয়ারগুলোর ডিপ্লেশন লেয়ার ভাঙার মত পর্যাপ্ত শক্তি পায়না।

এই ডিপ্লেশন লেয়ারকেই বলা হয় পটেনশিয়াল ব্যারিয়ার যা মেজোরিটি চার্জ ক্যারিয়ারের বিরুদ্ধে কাজ করে। আর এই পটেনশিয়াল ব্যারিয়ারকেই বলা হয় ফরোয়ার্ড পটেনশিয়াল ব্যারিয়ার।

মেজোরিটি চার্জ ক্যারিয়ারগুলি তখনই পটেনশিয়াল ব্যারিয়ার অতিক্রম করে যেতে পারে যখন সোর্স ভোল্টেজের মান ফরোয়ার্ড পটেনশিয়াল ব্যারিয়ার এর চেয়ে বেশি হয়।

সিলিকনের ক্ষেত্রে ফরোয়ার্ড পটেনশিয়াল ব্যারিয়ার হল 0.7 ভোল্ট এবং জার্মেনিয়ামের এর ক্ষেত্রে এটি 0.3 ভোল্ট। যখন সোর্স ভোল্টেজ ফরোয়ার্ড পটেনশিয়াল ব্যারিয়ারে চেয়ে বেশি হয় তখন মুক্ত অবস্থায় থাকা মেজোরিটি চার্জ ক্যারিয়ারগুলি পটেনশিয়াল ব্যারিয়ার অতিক্রম করার মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহ শুরু করে দেয়।

এ ক্ষেত্রে ডায়োডটি শর্ট সার্কিট হিসেবে কাজ করে এবং কারেন্ট প্রবাহ কন্ট্রোল করার জন্য আলাদা রেজিস্টরের প্রয়োজন পড়ে।

রিভার্স বায়াসিং (Reverse Biasing)

ডায়োডের p-n জাংশনের p প্রান্তের সাথে নেগেটিভ সোর্স এবং p-n জাংশনের n-প্রান্তের সাথে পজিটিভ সোর্স সংযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়াকে রিভার্স বায়াসিং বলে। এর ফলে সোর্স ভোল্টেজ পটেনশিয়াল ব্যারিয়ারকে অতিক্রম করে এবং এ কারণে জাংশনে কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারেনা।

রিভার্স বায়াস

যদি কোন ভোল্টেজ সোর্সের নেগেটিভ প্রান্তের সাথে ডায়োডের p-প্রান্ত এবং ভোল্টেজ সোর্সের পজিটিভ প্রান্তের সাথে ডায়োডের n-প্রান্ত সংযুক্ত করি এবং সোর্স ভোল্টেজ শূন্য থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে বৃদ্ধি করতে থাকি।

তখন সোর্সের নেগেটিভ ভোল্টেজের কারনে সেখানে ইলেকট্রোস্ট্যাটিক আকর্ষণের সৃষ্টি হয়। ফলে পি টাইপ অঞ্চলের হোলগুলি জাংশন থেকে আরও দূরে সরে যায় এবং জাংশনে আরও উন্মুক্ত নেগেটিভ আয়ন তৈরি হয়।

একইভাবে, এন টাইপ অঞ্চলের মুক্ত ইলেকট্রনগুলি জাংশন থেকে আরও দূরে সরে যায়। ফলে জাংশনে আরও উন্মুক্ত পজিটিভ আয়ন তৈরি হয়।

উপরোক্ত ঘটনার ফলে ডিপ্লেশন এরিয়া আরো প্রশস্ত হয়। ডায়োডের এই অবস্থাকেই রিভার্স বায়াস বলা হয়। এই অবস্থাতে কোন মেজোরিটি ক্যারিয়ার ডায়োডের পি এন জাংশন অতিক্রম করতে পারেনা বরং তারা জাংশন থেকে আরো দূরে চলে যায়।

সুতরাং আমরা বলতে পারি কোন ডায়োড রিভার্স বায়াসে কানেক্ট করা হলে ডায়োডের ভিতর দিয়ে কোন কারেন্ট প্রবাহ চলতে পারেনা।

তবে রিভার্স বায়াসে যদি নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি ভোল্টেজ অর্থাৎ ডায়োডের সহ্য ক্ষমতার চেয়ে বেশি ভোল্টেজ এপ্লাই করা হয় তখন ডায়োডের ডিপ্লেশন এরিয়া ভেঙে যায় এবং অধিক মাত্রায় কারেন্ট প্রবাহিত হয়।

এই প্রবাহ যদি আলাদা রেজিস্টর দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা না হয় তবে ডায়োডটি স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ডায়োডের প্রকারভেদ (Types of Diode)

নিচে বিভিন্ন ধরনের ডায়োডের নাম দেওয়া হলঃ

  • সেমিকন্ডাক্টর ডায়োড
  • লাইট এমিটিং ডায়োড
  • জেনার ডায়োড
  • টানেল ডায়োড
  • ক্রিস্টাল ডায়োড
  • ফটো ডায়োড
  • পিন ডায়োড

ডায়োডের বৈশিষ্ট্য(Characteristics of Diode)

সাধারণত একটি ডায়োডে নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো থাকে।

  1. ফরোয়ার্ড বায়াসে শূন্য রেজিস্ট্যান্স দেখায়।
  2. রিভার্স বায়াসে অসীম রেজিস্ট্যান্স দেখায়।
  3. দুইটি স্টেবল অন এবং অফ স্টেট থাকে।

ডায়োডের ব্যবহার (Uses of Diode)

ডায়োডের ব্যবহার নিচে দেওয়া হলঃ

  1. রেকটিফায়ার হিসেবে কাজ করে।
  2. ডিটেক্টর হিসেবে কাজ করে।
  3. সুইচ হিসেবে কাজ করে।
  4. ওয়েভ শেপিং সার্কিটে ব্যবহার করা হয়।
  5. মডুলেশন হিসেবে কাজ করে।
  6. রিভার্স ভোল্টেজ প্রটেকশন হিসেবে কাজ করে।
  7. হাই ভোল্টেজ প্রটেকশন হিসেবে কাজ করে।
  8. ক্লাম্পিং
  9. ক্লিপিং
  10. লজিক সার্কিটে ব্যবহার করা হয়।

আপনার জন্য আরো কিছু আর্টিকেলঃ


আজ এ পর্যন্তই। ভাল লাগলে অবশ্যই আপনার ফেসবুকে শেয়ার করে রাখুন। ধন্যবাদ।

সেমিকন্ডাক্টর কি? সেমিকন্ডাক্টর সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

0

আজ আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো তা হচ্ছে সেমিকন্ডাক্টর। এটি সম্পর্কে আমরা সবাই কিছু না কিছু জানি। কারণ দৈনন্দিন জীবনে আমাদের ব্যবহৃত প্রায় সকল ডিভাইসেই সেমিকন্ডাক্টর বিদ্যমান। প্রত্যাহিক জিবনে এর গুরুত্ব কতটুকু তা আমরা নিশ্চয় জানি। তাই আজ আমরা সেমিকন্ডাক্টর সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।

সেমিকন্ডাক্টর

সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহী কি?

সেমিকন্ডাক্টর এমন একটি পদার্থ যা বৈদ্যুতিক ডিভাইস এবং সরঞ্জামগুলিতে কারেন্টের প্রবাহ কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়।

সঙ্গাঃ সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহী এমন একটি পদার্থ যার পরিবাহীতা (Conductivity) পরিবাহী (Conductor) পদার্থের চেয়ে কম এবং অপরিবাহী (Insulator) পদার্থের চেয়ে বেশি। অর্থাৎ এর পরিবাহিতা বা কন্ডাক্টিভিটি পরিবাহী এবং অর্ধপরিবাহীর মাঝামাঝি। উদাহরনঃ কার্বন, সিলিকন, জার্মেনিয়াম।

সেমিকন্ডাক্টরের রোধের (Resistance) মান সাধারণত ০.৫ থেকে ৫০ ওহমের মাঝামাঝি হয়ে থাকে।

সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইসসমূহ

সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস
সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস
  1. রেজিস্টর (Resistor)
  2. ক্যাপাসিটর (Capacitor)
  3. ডায়োড (Diode)
  4. Op-Amp = অপারেশনাল এমপ্লিফায়ার (Operational amplifier)
  5. ICs = ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ()
  6. ট্রানজিস্টর (Transistor)

এগুলো ছাড়াও সেমিকন্ডাক্টরের তৈরি অনেক ডিভাইস আমাদের নিয়মিত ব্যবহার করতে হয়।

সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদানসমূহ

আসুন দুটি উপাদান সম্পর্কে জেনে নেই যেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহী তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

সিলিকন

সিলিকন এমন একটি উপাদান যা পৃথিবীতে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। এটি পৃথিবীর ভূত্বকে অক্সিজেনের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রাপ্ত মৌল (পৃথিবীর ভরের হিসেবে প্রায় ২৮%)। তবে এটি প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়না। এটি মূলত ধুলি, বালি গ্রহাণুপুঞ্জ এবং গ্রহসমুহে সিলিকনের অক্সাইড (সিলিকা) বা সিলিকেট আকারে থাকে। ইলেকট্রনিক শিল্পে সিলিকনের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

জার্মেনিয়াম

জারিনিয়াম এমন একটি রাসায়নিক উপাদান যা সিলিকনের মতো দেখতে একই রকম, এবং এটিও প্রকৃতিতে মুক্ত উপাদান হিসাবে পাওয়া যায় না। পৃথিবীপৃষ্ঠে সহজে পাওয়া যায় এমন মৌলের মধ্যে জার্মেনিয়ামের অবস্থান ৫০তম।

জার্মিনিয়াম তার তাপ সংবেদনশীলতা এবং ব্যয়ের কারণে সিলিকনের চেয়ে তুলনামূলক কম প্রয়োজনীয় তবে এটি এখনও কিছু উচ্চ-গতির ডিভাইসে ব্যবহারের জন্য সিলিকনের সাথে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া এবং বেলজিয়াম সহ অন্যান্য বড় উত্পাদকদের পাশাপাশি চীনও জার্মেনিয়াম উত্পাদনে শীর্ষস্থানীয়।

সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহীর বৈশিষ্ট্য

  1. এর সর্ববহিস্থ স্তরে 4 টি ইলেকট্রন থাকে।
  2. এর পরিবাহিতা (Conductivity) পরিবাহির তুলনায় কম এবং অপরিবাহীর (Insulator) তুলনায় বেশি।
  3. এতে বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে এর পরিবাহিতা বাড়ানো বা কমানো যায়।

ডোপিং

বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টরের সাথে প্রয়োজনমত ভেজাল পরমাণু বা অপদ্রব্য মেশানোর পদ্ধতিকে ডোপিং বলা হয়।

ডোপিং কেন করা হয়?

বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টরে যথেষ্ট পরিমাণে মুক্ত ইলেকট্রন এবং হোল থাকে না। তাই চাহিদা মত কারেন্ট প্রবাহ সৃষ্টি করা যায় না। এজন্য বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টরের পরিবাহিতা বৃদ্ধি করার জন্য এর সাথে প্রয়োজনমত ভেজাল বা অপদ্রব্য মেশানো হয় যাতে যখন যেমন কারেন্ট প্রয়োজন তখন তেমন পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহ সৃষ্টি করা যায়।

সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহীর প্রকারভেদ

সেমিকন্ডাকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহী দুই প্রকার।

  1. বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টর (Intrinsic Semicondctor)
  2. ভেজাল মিশ্রিত বা Extrinsic সেমিকন্ডাক্টর

ভেজাল মিশ্রিত সেমিকন্ডাক্টরকে আবার ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

  1. p-type সেমিকন্ডাক্টর
  2. n-type সেমিকন্ডাক্টর

বিশুদ্ধ বা ইনট্রিনসিক সেমিকন্ডাক্টর

যেসব সেমিকন্ডাক্টরে কোন ভেজাল উপাদান বা অপদ্রব্য মেশানো থাকেনা তাদেরকে ইনট্রিনসিক সেমিকন্ডাক্টর বলে। যেমন, বিশুদ্ধ সিলিকন,জার্মেনিয়াম।

ইনট্রিনসিক সেমিকন্ডাক্টরের ক্ষেত্রে, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ইলেকট্রন সংখ্যা = হোল সংখ্যা ( উপরের চিত্রে )

ভেজাল মিশ্রিত বা এক্সট্রিনসিক সেমিকন্ডাক্টর

বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টরের সাথে প্রয়োজনমত ত্রিযোজী বা পঞ্চযোজী পরমাণু অপদ্রব্য বা ভেজাল উপাদান মিশিয়ে যে সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা হয় তাকে ভেজাল মিশ্রিত বা এক্সট্রিনসিক Semi-conductor বলে।

p-type সেমিকন্ডাক্টর

বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টরের সাথে প্রয়োজনমত ত্রিযোজী ভেজাল উপাদান মিশিয়ে যে সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা হয় তাকে p-type সেমিকন্ডাক্টর বলে।

বিশুদ্ধ সিলিকন বা জার্মেনিয়াম পরমাণুর সাথে একটি ত্রি-যোজী পরমাণু ভেজাল হিসেবে যুক্ত করলে ত্রি-যোজী পরমাণু্র তিনটি ভ্যালেন্স ইলেকট্রন নিকটবর্তী তিনটি সিলিকনের ভ্যালেন্স ইলেকট্রনের সাথে শেয়ারিং এর মাধ্যমে সমযোজী বা কো-ভ্যালেন্ট বন্ড সৃষ্টি করে।

কিন্তু ত্রিযোজী পরমাণুর যোজ্যতা স্তরে একটি ইলেকট্রনের ঘাটতি থাকায় সিলিকনের চতুর্থ ইলেকট্রনের সাথে বন্ধন তৈরি করতে পারে না। ফলে একটি ফাঁকা স্থান বা হোল সৃষ্টি হয়।

এরকমভাবে প্রত্যেকবার ত্রি-যোজী পরমাণু মেশানোর ফলে একটি করে হোল সৃষ্টি হয়। আর এই হোল পজেটিভ চার্জ বহন করে বলে এই নতুন সেমিকন্ডাক্টরকে বলা হয় p-type সেমিকন্ডাক্টর।

এভাবে যত বেশি অপদ্রব্য বা ভেজাল ডোপিং করা হয় তত বেশি হোল উৎপন্ন হয়। এজন্য পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরে মেজোরিটি চার্জ ক্যারিয়ার হল হোল বা ফাকা স্থান এবং ইলেকট্রন হচ্ছে মাইনোরিটি চার্জ ক্যারিয়ার।

ত্রি-যোজী পরমাণুকে একসেপ্টর বা গ্রহীতা পরমাণুও বলা হয়, কারণ রিকম্বিনেশনের সময় প্রতিটি হোল একটি করে ইলেকট্রন গ্রহণ করে। এরকম আরো গ্রহীতা পরমাণু হল অ্যালুমিনিয়াম, বোরন এবং গ্যালিয়াম।

n-type সেমিকন্ডাক্টর

বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টরের সাথে প্রয়োজনমত পঞ্চযোজী অপদ্রব্য বা ভেজাল উপাদান মিশিয়ে যে সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা হয় তাকে n-type সেমিকন্ডাক্টর বলে।

বিশুদ্ধ সিলিকন পরমাণুর সাথে একটি পঞ্চ-যোজী পরমাণু ভেজাল বা অপদ্রব্য হিসেবে মিশানো হলে পঞ্চ-যোজী পরমাণুর চারটি ইলেকট্রন নিকটবর্তী চারটি সিলিকন পরমাণুর ভ্যালেন্স ইলেকট্রনের সাথে শেয়ারিং এর মাধ্যমে সমযোজী বা কো-ভ্যালেন্ট বন্ড সৃষ্টি করার মাধ্যমে তার ভ্যালেন্স ব্যান্ডকে আটটি ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ করে।

ফলে পঞ্চ-যোজী পরমাণুর একটি অতিরিক্ত ইলেকট্রন মুক্ত হয়ে যায়, তখন এই মুক্ত ইলেকট্রনটি কন্ডাকশন ব্যান্ডে চলে যায়। এভাবে যত বেশি অপদ্রব্য বা ভেজাল ডোপিং করা হয় কন্ডাকশন ব্যান্ডের ইলেকট্রন তত বেশি বৃদ্ধি পায়।

এজন্য এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরে মেজোরিটি চার্জ ক্যারিয়ার হল ইলেকট্রন এবং মাইনোরিটি চার্জ ক্যারিয়ার হল হোল বা ফাকা স্থান। আমরা জানি ইলেকট্রন নেগেটিভ চার্জ বহন করে, এজন্য এভাবে গঠিত ভেজাল সেমিকন্ডাক্টরকে এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলা হয়।

পঞ্চ-যোজী পরমাণুকে ডোনর বা দাতা পরমাণুও বলা হয়, কারণ এরা কন্ডাকশন ব্যান্ডে ইলেকট্রন উৎপন্ন করে। দাতা পরমাণু গুলো হল আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি এবং ফসফরাস।

ইনট্রিনসিক এবং এক্সট্রিনসিক সেমিকন্ডাক্টরের মধ্যে পার্থক্য

ইনট্রিনসিক সেমিকন্ডাক্টরএক্সট্রিনসিক সেমিকন্ডাক্টর
এটি প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টরে ত্রিযোজী কিংবা পঞ্চযোজী ভেজাল মিশিয়ে এটি তৈরি করা হয়
ইনট্রিনসিকে হোল এবং ইলেকট্রন সংখ্যা সমানp-type এ হোল সংখ্যা বেশি এবং n-type এ ইলেকট্রন সংখ্যা বেশি থাকে
ফারমি (Fermi) লেভেল ভ্যালেন্স ব্যান্ড এবং পরিবহন ব্যান্ড এর মাঝখানে থাকেফারমি (Fermi) লেভেল p-type এর ক্ষেত্রে ভ্যালেন্স ব্যান্ড এর কাছাকাছি থাকে এবং n-type এর ক্ষেত্রে পরিবহন ব্যান্ড এর কাছাকাছি থাকে

p-type এবং n-type সেমিকন্ডাক্টরের মধ্যে পার্থক্য

p-type n-type
অপদ্রব্যের টাইপত্রি-যোজী ভেজাল বা অপদ্রব্য মিশিয়ে তৈরি করা হয়পঞ্চ-যোজী ভেজাল বা অপদ্রব্য মিশিয়ে তৈরি করা হয়
ফারমি লেভেলফারমি (Fermi) লেভেল ভ্যালেন্স বা যোজ্যতা ব্যান্ডের কাছাকাছি থাকেফারমি (Fermi) লেভেল কন্ডাকশন বা পরিবহন ব্যান্ডের কাছাকাছি থাকে
মেজোরিটি ক্যারিয়ারমেজোরিটি ক্যারিয়ার হচ্ছে হোলমেজোরিটি ক্যারিয়ার হচ্ছে ইলেকট্রন
মাইনোরিটি ক্যারিয়ারমাইনোরিটি ক্যারিয়ার হচ্ছে ইলেকট্রনমাইনোরিটি ক্যারিয়ার হচ্ছে হোল

আপনার কাজে লাগতে পারে এমন আরো আর্টিকেলঃ


আজ এ পর্যন্তই ভাল লাগলে অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করে রাখবেন। ধন্যবাদ।

ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বা আইসি এর প্রকারভেদ এবং সুবিধা-অসুবিধা

আজকে আমরা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বা আইসি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC) কী?

সাধারণত বাইপোলার জংশন ট্রানজিস্টর, ডায়োড এবং ফিল্ড এফেক্ট ট্রানজিস্টর ইত্যাদি ইলেকট্রনিক সার্কিটে ইলেকট্রনিক্স উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই উপাদানগুলো একটি পূর্ণাঙ্গ বৈদ্যুতিক সার্কিট গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্যান্স এবং ক্যাপাসিটারগুলোর সাথে পরস্পর সংযুক্ত থাকে।

এই জাতীয় সার্কিট গুলো স্বতন্ত্র সার্কিট (discrete circuit) হিসাবে পরিচিত কারণ যখন প্রয়োজন হয় সার্কিট থেকে এর প্রতিটি উপাদান পৃথক করা যায়। আজকাল বৈদ্যুতিক সার্কিট উৎপাদন করার একটি নতুন প্রবণতা বা ট্রেন্ড দেখা যায় যেখানে সেমিকন্ডাক্টর, ডায়োড, ট্রানজিস্টর এবং ক্যাপাসিটারগুলো স্থায়ীভাবে বসানো থাকে।

এই জাতীয় বৈদ্যুতিক সার্কিটের উপাদানগুলো পৃথকযোগ্য না হওয়ায়, এই সার্কিটগুলো সাধারণত ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (Integrated circuit) হিসাবে পরিচিত। ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটগুলো চিপ (chip) বা মাইক্রোচিপ (microchip) নামেও পরিচিত।

আইসি

আমরা যেসকল ট্রানজিস্টরকে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটে ব্যবহার করতে সক্ষম এমন ট্রানজিস্টর সংখ্যা তাদের তৈরির পর থেকে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, প্রায় প্রতি 2 বছরে দ্বিগুণ হয়। এই ঘটনাটি Moore’s Law হিসাবে পরিচিত এবং এটি গত 50 বছরে প্রযুক্তির তাৎপর্যপূর্ণ বৃদ্ধির ব্যাখ্যা হিসাবে উদ্ধৃত হয়।

ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের (IC) ইতিহাসঃ

আইসি আবিষ্কারক

1950 সালে টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস ইউএস (Texas Instruments USA) এর জ্যাক কিলবি (Jack Kilby) এবং ফেয়ারচাইল্ড সেমিকন্ডাক্টর ইউএস (Fairchild Semiconductor USA) এর রবার্ট নয়েস (Robert Noyce) এই প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করেছিলেন। এই নতুন আবিষ্কারের প্রথম কাস্টমার ছিলেন মার্কিন বিমান বাহিনী।

2000 সালে জ্যাক কিলবি (Jack Kilby) মিনিয়েচারাইজড ইলেকট্রনিক সার্কিটে (Miniaturized Electronic Circuit) এর জন্য পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন।

জ্যাক কিলবি তার ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ডিজাইন প্রদর্শনের দেড় বছর পরে, ফেয়ারচাইল্ড সেমিকন্ডাক্টর লিমিটেডের রবার্ট নয়েস তার নিজস্ব ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট নিয়ে এসেছিল। রবার্ট নয়েস এর নতুন মডেল কিলবির ডিভাইসে থাকা অনেক ব্যবহারিক সীমাবদ্ধতার সমাধান করে।

তিনি এটি ডিজাইন করেছিলেন সিলিকন দিয়ে, যেখানে কিলবির ডিজাইনটি ছিল জার্মিনিয়াম দিয়ে। জ্যাক কিলবি এবং রবার্ট নয়েস উভয়ই ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের কাজের জন্য মার্কিন পেটেন্ট (US patents) পেয়েছিলেন। বেশ কয়েক বছরের আইনী সমস্যার পরে উভয় সংস্থা তাদের প্রযুক্তির ক্রস লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন এবং একটি বিশাল বৈশ্বিক বাজার তৈরি করেন।

ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের প্রকারভেদঃ

বিভিন্ন পরিমিতির উপর ভিত্তি করে (যেমন-ট্রানজিস্টর সংখ্যা, অ্যাক্টিভ ডিভাইস) আইসির শ্রেনিবিভাগ করা হয়েছে। তবে মূলত দুই ধরনের ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট রয়েছে। যথা-

১. এনালগ ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (Analog IC) এবং
২. ডিজিটাল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (Dogital IC)

১. এনালগ ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (Analog IC):

এই জাতীয় আইসিতে ইনপুট এবং আউটপুট উভয় সংকেতই অবিচ্ছিন্ন থাকে। এদেরকে লিনিয়াট আইসিও বলা হয়। এদের আউটপুট সিগন্যাল স্তর ইনপুট সিগন্যাল স্তরের উপর নির্ভর করে এবং আউটপুট সিগন্যাল স্তরটি ইনপুট সিগন্যাল স্তরের লিনিয়ার ফাংশন (Linear Function) হয়।

লিনিয়ার আইসি বা অ্যানালগ আইসিগুলি সাধারণত অডিও ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্ধক (audio frequency amplifier) এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্ধক (radio frequence amplifier) হিসাবে ব্যবহৃত হয়। Op amps, voltage regulators, comparators এবং Timer গুলো হলো লিনিয়ার আইসি বা এনালগ আইসির সুপরিচিত উদাহরণ।

২. ডিজিটাল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (Digital IC):

লজিক গেট যেমন AND gate, OR gate, NAND gate, XOR gate, flip flops এবং microprocessor গুলো হলো ডিজিটাল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের কিছু সুপরিচিত উদাহরণ। এই আইসিগুলো বাইনারি ডেটা যেমন 0 বা 1 নিয়ে অপারেট করে। সাধারণত ডিজিটাল সার্কিটে 0 মানে হলো 0 ভোল্ট এবং 1 মানে হলো 5 ভোল্ট। বর্তমানে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক প্রজেক্টে ডিজিটাল আইসি ব্যবহার করা হয়।

আইসি

ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের প্রধান উপাদান হলো ট্রানজিস্টর। আইসির এর ব্যবহার ভেদে এই ট্রানজিস্টর বাইপোলার বা ফিল্ড এফেক্ট ট্রানজিস্টর হতে পারে। যেহেতু দিন দিন প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে, সেই সাথে একটি একক আইসি চিপে অন্তর্ভুক্ত ট্রানজিস্টারের সংখ্যাও বাড়ছে।

একটি একক চিপে অন্তর্ভুক্ত ট্রানজিস্টারের সংখ্যার উপর নির্ভর করে আইসিগুলোকে পাঁচটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। যেমন-

Group-1: Small Scale Integration (SSI): যেখানে একটি একক আইসি চিপে ১-১০০ টি ট্রানজিস্টর অন্তর্ভুক্ত থাকে।

Group-2: Medium Scale Integration (MSI): যেখানে ১০০-১০০০ টি ট্রানজিস্টর একটি একক আইসি চিপে অন্তর্ভুক্ত থাকে।

Group-3: Large Scale Integration (LSI): এখানে ১০০০-২০,০০০ টি ট্রানজিস্টর একক আইসি চিপে অন্তর্ভুক্ত থাকে।

Group-4: Very Large Scale Integration (VLSI): ভিএলএসআই হয় যখন একটি একক আইসি চিপে ২০,০০ থেকে ১০,০০,০০০ ট্রানজিস্টর অন্তর্ভুক্ত থাকে।

Group-5: Ultra Large Scale Integration (ULSI): যেখানে একটি একক আইসি চিপে ১০,০০,০০০ থেকে ১,০০,০০,০০০ ট্রানজিস্টর অন্তর্ভুক্ত থাকে।

আইসি-তে ব্যবহৃত সক্রিয় ডিভাইসের উপর নির্ভর করে এটিকে আবার বাইপোলার আইসি (Bipolar IC) এবং ইউনিপোলার আইসি (Unipolar IC) হিসাবে শ্রেণীবিভাগ করা হয়েছে।

বাইপোলার আইসিগুলোতে প্রধান উপাদান হলো বাইপোলার জংশন ট্রানজিস্টর হয়, তবে ইউনিপোলার আইসিতে মূল উপাদান হলো ফিল্ড এফেক্ট ট্রানজিস্টর বা এমওএসএফইটি (MOSFET)।

ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের সুবিধা সমূহঃ

১. এটি আকারে বেশ ছোট্ট। প্রায় 20,000 ইলেক্ট্রনিক উপাদান আইসি চিপের একক বর্গ ইঞ্চি জায়গার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

২. অনেক জটিল সার্কিট একটি একক চিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং তাই এটি একটি জটিল বৈদ্যুতিক সার্কিটের নকশাকে সহজতর করে। এছাড়াও এটি সার্কিটের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৩. আইসিগুলোর নির্ভরযোগ্যতা বেশি।

৪. অধিক উৎপাদনের কারণে এগুলো কম খরচে পাওয়া যায়।

৫. আইসিগুলো খুব অল্প শক্তি গ্রহণ করে।

৬. প্যারাসাইটিক ক্যাপাসিট্যান্স প্রভাব না থাকায় এদের অপারেটিং গতি অনেক উচ্চ হয়।

৭. মূল সার্কিট থেকে খুব সহজেই প্রতিস্থাপন করা যায়।

ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের অসুবিধা সমূহঃ

১. এর আকার ছোট হওয়ায় কারেন্ট বৃদ্ধির সাথে সাথে এটি প্রয়োজনীয় হারে তাপ নিঃসরণ করতে সক্ষম হয় না। এজন্য প্রায়শই আইসিগুলো অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

প্রয়োজনীয় কয়েকটি আর্টিকেলঃ