সুইচ (Switch) কি? সুইচের সুবিধা ও অসুবিধা

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমে হাবের মত সুইচ একধরণের নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি ডিভাইস যা মিডিয়া সেগমেন্টগুলোকে একটি কেন্দ্রীয় অবস্থানে এনে একত্রিত করে। এটি একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস এবং একে LAN ডিভাইসও বলা হয়। একটি সুইচে কতগুলো ডিভাইস কানেক্ট করা যাবে তা সুইচের পোর্ট সংখ্যার উপর নির্ভর করে। সাধারণত LAN তৈরি করার ক্ষেত্রে এটি অধিক ব্যবহৃত হয়।

স্টার টপোলজির ক্ষেত্রে এটি হচ্ছে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী ডিভাইস। হাবের সাথে এর পার্থক্য হলো সুইচ প্রেরক প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত ডাটা প্রাপক কম্পিউটারের সুনির্দিষ্ট পোর্টটিতে পাঠিয়ে দেয়। অর্থাৎ, সুইচ প্রেরক হতে আগত সিগন্যালকে গ্রহণ করার পর সরাসরি টার্গেট কম্পিউটারে প্রেরণ করে। কিন্তু হাব ঐ ডাটা সিগন্যাল প্রাপক কম্পিউটারের সবগুলো পোর্টেই পাঠায়। সুইচ MAC অ্যাড্রেস নিয়ে কাজ করে।

আরও পড়ুন – হাব (Hub) কি? হাবের প্রকারভেদ, সুবিধা ও অসুবিধা

সুইচের সুবিধা

  • ডেটার কলিশন সম্ভাবনা কমায়।
  • ভার্চুয়াল ল্যান ব্যবহার করে ব্রডকাস্ট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
  • ডাটা ফিল্টারিং সম্ভব হয়।
  • পোর্ট হাবের তুলনায় বেশি থাকে।

পড়ুন – লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (ল্যান / LAN) কি? এর বৈশিষ্ট্য / সুবিধা ও প্রকারভেদ

সুইচের অসুবিধা

  • হাবের তুলনায় দাম কিছুটা কম।
  • কনফিগারেশন জটিল।
  • ডাটা ফিল্টারিং সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন – মোবাইল ফোন |মোবাইল ফোনের বৈশিষ্ট্য, সুবিধা ও অসুবিধা

4 thoughts on “সুইচ (Switch) কি? সুইচের সুবিধা ও অসুবিধা”

  1. আইসিটি ১ম ও ২য় অধ্যায় নিয়ে আরও অনেক লিখা চাই আপু।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *