লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের রাত সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা নিজেই উল্লেখ করিয়াছেন যে, এ রাত্রে কুরআন মাজীদ অবতীর্ণ করা হয়েছে। এ রাত হাজার মাসের রাতের চেয়েও উত্তম।
এ রাতটির জন্য মুমিনরা দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষা করে। প্রত্যেক বছর রোজার মাসের শেষ দশ রাতের যেকোনো বিজোড় রাতে এটি সংঘটিত হয়। কিন্তু এ রাতটি নির্ধারিত নয়।
শবে কদরের রাতের ইবাদাত বন্দেগী হাজার মাসের ইবাদাত বন্দেগীর সমান। এ রাতটি পাওয়ার জন্য আমাদের নবী (সাঃ) রমজানের শেষ দশকে ইবাদাতের নিয়তে মসজিদে ইতেকাফ করতেন। যাতে কোনভাবেই এ রাত মিস না হয়।
পড়ুন – সালাত বা নামাজ কি /কাকে বলে? সালাতের শিক্ষা
আর এ রাতে একটি বিশেষ দোয়ার কথা বলেছেন রাসূল (সাঃ)। এ বিশেষ দোয়া প্রসঙ্গে একটু গুরুত্বপূর্ণ হাদিসের বর্ণনা রয়েছে। হাদিসটি হলো –
হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেন, একবার আমি রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম – হে আল্লাহর রাসূল! আপনি বলে দিন, লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে আমি যদি তা জানতে পারি, তাতে আমি কি (দোয়া) পড়বো?
লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের দোয়া ???
নবী (সাঃ) বলেন, তুমি বলবে –
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
বাংলা উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফা’অফু আন্নি।’
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, অতএব আমাকেও ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
আরও পড়ুন – শিরক কি? শিরকের কুফল এবং শিরক থেকে বাঁচার উপায়
তাই মুমিন মুসলমানদের উচিত, রমজানের দেশ দশদিন প্রতি রাতে বেশি বেশি এ দোয়া পড়া।