Homeপ্রযুক্তিপ্রযুক্তি বিষয়ক তথ্যমেমোরি কার্ড কেনার আগে যে ৩ টি বিষয় জেনে রাখা উচিত

মেমোরি কার্ড কেনার আগে যে ৩ টি বিষয় জেনে রাখা উচিত

যেকোনো ডিভাইসে বাড়তি তথ্য সংরক্ষণের জন্য মেমোরি কার্ড খুবই প্রয়োজনীয়। যেমনঃ মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, টেলিভিশন, মিডিয়া প্লেয়ার ইত্যাদি ডিভাইসে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা যায়। মেমোরি কার্ডে প্রায় সব ধরনের ডাটা সংরক্ষণ করা যায়।

মেমোরি কার্ডের সুবিধা

  • সব ধরণের ডাটা স্টোর করা যায়।
  • মেমোরি কার্ডের আকারে ছোট বলে এটি সহজে বহনযোগ্য।
  • প্রায় সব ধরনের ডিভাইসে (মোবাইল,টিভি,ল্যাপটপ,কম্পিউটার, ট্যাবলেট ইত্যাদি) ব্যবহার করা যায়।
  • দাম তুলনামূলকভাবে কম ইত্যাদি।

মেমোরি কার্ড কেনার আগে যে ৩ টি বিষয় জেনে রাখা উচিত

তথ্য সংরক্ষণের জন্য একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে মেমোরি কার্ড। তবে মেমোরি কার্ড কেনার সময় আপনি হয়তো অনেক সময় দ্বিধার মধ্যে পড়ে যান। কেননা এর বিভিন্ন মডেল রয়েছে আর সঠিক মডেল এবং টার্মের দিকে বিশেষ গুরুত্ব রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেমন – তেমন কার্ড কিনলে তেমন পারফরম্যান্স পাওয়া যায় না। এ কারণে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাই মেমোরি কার্ড কেনার আগে তিনটি বিষয় জেনে রাখা উচিত। চলুন তাহলে জেনে নেই –

  • উপযুক্ত মেমোরি কার্ড সিলেক্ট করা।
  • মেমোরি কার্ডের স্পিড
  • নকল কার্ড হতে সাবধান

উপযুক্ত মেমোরি কার্ড সিলেক্ট করা

যেকোনো ধরনের মেমোরি কার্ড যেকোনো মাইক্রো SD স্লটে সহজে লাগানো গেলেও সব ফরম্যাট সব ধরনের ডিভাইসে কাজ করে না। জেনে রাখা উচিত , তিনটি আলাদা কার্ড ফরম্যাট রয়েছে। এগুলো ভিন্ন ভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড এবং ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপাসিটির উপর তৈরি। SD, SDHC এবং SDXC, Micro-SD এর ক্যাপাসিটি মাত্র 2 জিবি হয়ে থাকে। যেকোন SD কার্ড স্লটে এটি সাপোর্ট করে। Micro-SD ২-৩২ জিবি পর্যন্ত ক্যাপাসিটি সমর্থন করে। যে ডিভাইসগুলো একে সমর্থন করে শুধু সেখানে এই কার্ডটি চলে।

আরও পড়ুন – স্মার্টফোন কেনার আগে যে ৯ টি জিনিস অবশ্যই দেখবেন

SDXC স্ট্যান্ডার্ডে 32 জিবি থেকে ২ টেরাবাইট পর্যন্ত মেমোরি কার্ড বানানো সম্ভব।আর সাপোর্টেড ডিভাইসগুলো শুধু এই টাইপের কার্ড কাজে লাগাতে পারে। একারণে নতুন মেমোরি কার্ড কেনার সময় স্টোরেজ ক্যাপাসিটি জেনে রাখ উচিত। অনেক সময় একজন ইউজার কত ক্যাপাসিটি মেমোরি কার্ড কিভাবে সেটা সঠিকভাবে সিলেক্ট করতে পারেনা। এই কারণে প্রয়োজনের তুলনায় ক্যাপাসিটি মেমোরি কার্ড কিনে ব্যবহার করলে ডিভাইস স্লো হয়ে যায়।

মেমোরি কার্ডের স্পিড

SDHC এবং SDXC কার্ডগুলো আলট্রা হাই স্পিড বাস ইন্টারফেস সমর্থন করে। এ কার্ডগুলো খুব দ্রুত ডাটা রিড রাইট করতে পারে। আলট্রা হাই স্পিডকে প্রদানত UHS ধরা হয়। তবে এখান থেকে সুবিধা পেতে আপনার ডিভাইসকে অবশ্যই এটি সমর্থন করতে হবে।

একটা মেমোরি কার্ড কতটা ফাস্ট হবে তা এর ক্লাস রেটিং এর উপর নির্ভর করে। ৪ টি ক্লাস রেটিং রয়েছে। এগুলো হলো –

  • Class 2 – সর্বনিম্ন ২ মেগাবাইট/সেকেন্ড স্পিড
  • Class 4 – সর্বনিম্ন ৪ মেগাবাইট/সেকেন্ড স্পিড
  • Class 6 – সর্বনিম্ন ৬ মেগাবাইট/সেকেন্ড স্পিড
  • Class 10 – সর্বনিম্ন ১০ মেগাবাইট/সেকেন্ড স্পিড প্রদান করতে সক্ষম।

নকল কার্ড হতে সাবধান

কম টাকা দিয়ে অনেকে বড় বড় ক্যাপাসিটির মেমোরি কার্ড কিনে ফেলে। জেনে রাখা উচিত, এগুলোর ক্যাপাসিটি অনেক কম হয়ে থাকে। একইসাথে ক্লাস রেটিং ও ভুল থাকে।

মাত্র ২০০ টাকা দিয়ে ৩২ জিবি মেমোরি কিনলে দেখে থাকবেন ৪ জিবি ডাটা লোড করার পরে ক্যাপাসিটি শেষ দেখাবে। তাই নকল কার্ড কিনা থেকে সাবধান থাকবেন।


তাহলে আজ এখানেই থাকলো। আর মেমোরি কার্ড কিনার আগে অবশ্যই এ ৩ টি বিষয় খেয়াল রাখবেন। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Recent posts

Recent comments