মাতৃভাষা কাকে বলে?
মাতৃভাষা অর্থ মায়ের ভাষা। মায়ের কাছ থেকে আমরা যে ভাষা শিখি তাই হলো মাতৃভাষা (Mother Language)। অর্থাৎ, মানুষ জন্মের পর সাধারণত প্রথমে তার মায়ের কাছে লালিত-পালিত হয়, তারই কথা শেখে। তাই জন্মলগ্ন থেকে স্বাভাবিকভাবে মানুষ নিজের মায়ের কাছে যে শিক্ষা পায়, তাকেই তার মাতৃভাষা বলে।
তবে শিশু যে সবসময় মায়ের কাছ থেকে ভাষা শেখে তা নয়। এর ব্যতিক্রমও আছে। যে শিশুর মা তার জন্ম-মুহূর্তেই মারা যায়, সেই শিশু যখন তখন পিতা বা অন্য কোন অভিভাবকের দায়িত্বে বড় হলেও তার মুখের সাধারণ ভাষাকে মাতৃভাষা-ই বলে। অর্থাৎ মায়ের মতো যে শিশুকে প্রতিপালন করে বা জন্মের পর থেকে যার সেবা ও যত্নে শিশু ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে, তার কাছ থেকেই প্রথম ভাষা শেখে।
আরও পড়ুন – ভাষা কি বা কাকে বলে? ভাষার বৈশিষ্ট্য
বাঙালি মায়ের সন্তান যদি জন্মের পর থেকে জাপানি বা জার্মান ভাষী মায়ের সেবা যত্নে বড় হয় তাহলে তার প্রথম ভাষা বা মাতৃভাষা কখনো বাংলা হবে না, হবে জাপানি বা জার্মান। তাই বলা হয় শিশু প্রথম যে ভাষা শেখে তাই প্রথম বা মাতৃভাষা।
পড়ুন – পারিভাষিক শব্দ বা পরিভাষা কি? এর প্রয়োজনীয়তা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ২০০ পারিভাষিক শব্দ
যেমন – আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ জন্মের পর মায়ের কোলে এবং মায়ের বাংলা বোলে বড় হয়। বাঙালি মায়ের বুলি বাংলা। তাই বাঙালি জাতির মাতৃভাষা বাংলা। তেমনি ইংরেজ মায়ের শিশুর ইংরেজি, আরবি মায়ের শিশুর আরবি, জাপানি মায়ের শিশুর জাপানি ইত্যাদি।
আজ এতটুকুই। মাতৃভাষা কাকে বলে? আর্টিকেলটি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
Thank you