আজ আমরা মডেম কি? মডেম কিভাবে কাজ করে তা জানার চেষ্টা করব। এর পাশাপাশি আমি মডেমের বিভিন্ন প্রকারভেদ নিয়েও আলোচনা করব।
মডেম কি?
মডেম হলো এমন একটি ডিভাইস যেটি কম্পিউটার এবং টেলিফোন লাইনের মধ্যে লাগানো হয়। কম্পিউটারের ডাটা ডিজিটাল ফরম্যাটে এবং টেলিফোন লাইনের ডাটা এনালগ ফরম্যাটে এ অবস্থান করে।
মডেম কম্পিউটারের ডিজিটাল সিগনাল কে এনালগ সিগনালে কনভার্ট করে, টেলিফোন লাইনের মধ্য দিয়ে প্রবাহ করতে সাহায্য করে।
নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি গড়ে উঠার আগে টেলিফোন লাইন ( এবং কখনো কখনো টেলিভিশন ক্যাবলের লাইন) ব্যবহার করে নেটওয়ার্কিং করার করার জন্য মডেম আবিষ্কৃত হয়েছিল। Modulation শব্দের “Mo” এবং Demodulation শব্দের “Dem” নিয়ে Modem শব্দটি গঠিত হয়েছে। মডেম শব্দটি Modulator এবং Demodulator শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। যার মাধ্যমে কোন ডাটাকে স্থানান্তরের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়।
নেটওয়ার্কে তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথম দিককার মডেমগুলো মূলত টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত থাকার জন্য ব্যবহৃত হত।ডায়াল-আপ মডেম নামে পরিচিত এ মডেমগুলোর ডাটা ট্রান্সফার রেট কম বিধায় এগুলো ব্যবহার করা হয় না। বর্তমানে এগুলোর পরিবর্তে দ্রুতগতির DSL এবং ওয়াইফাই মডেম ব্যবহৃত হচ্ছে।
পড়ুন –
জিপিআরএস (GPRS) কি? জিপিআরএস এর বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, অসুবিধা বা সীমাবদ্ধতা
ডিজিটাল টেলিফোন কি? ডিজিটাল টেলিফোনের সুবিধা
মডেম কীভাবে কাজ করে?
এটি কীভাবে কাজ করে এ সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে Modulation এবং Demodulation সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন তাহলে এ সম্পর্কে জেনে নেই –
Modulation: ডিজিটাল ডাটাকে অ্যানালগ সিগন্যালে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া হলো মডুলেশন।
Demodulation: মডুলেটকৃত অ্যানালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তর করার কাজকে ডিমডুলেশন বলে।
পড়ুন – টেলিকনফারেন্সিং কি?টেলিকনফারেন্সিং এর সুবিধা
এটি টেলিফোন লাইন, কোএক্সিয়াল ক্যাব, ফাইবার অপটিকস ইত্যাদির মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করে।কোন কম্পিউটার হতে আগত তথ্যকে মডেম ডিজিটাল বিট হতে এনালগ সিগনাল রূপান্তর করে।এই কাজটিকে মডুলেশন বলা হয়। আবার এনালগ সিগন্যাল ও ডিজিটাল সিগনালের রূপান্তর করার কাজকে ডিমডুলেশন বলে। সিগন্যালকে মডুলেশন ও ডিমডুলেশন করাই হলো মডেমের কাজ।
একজন ইউজার যখন ডিজিটাল সংকেত এর মাধ্যমে কোন নির্দেশ প্রদান করে তখন তা মডুলেট হয়ে সার্ভারে নক করে তখন সার্ভার থেকে প্রক্রিয়াকরণের পর ডিমডুলেট হয়ে ইউজারকে প্রদর্শন করে। অর্থাৎ যখন কম্পিউটার হতে ইনফরমেশন মডেমের যায় তখন এটি ইনফর্মেশনকে ডিজিটাল বিট হতে এনালগ সিগন্যালে রূপান্তর করে। আর যখন রূপান্তরিত এনালগ সিগনাল অপরপ্রান্তে অন্য কম্পিউটারে যুক্ত মডেমে পৌঁছে তখন তা কম্পিউটারের বোধগম্য ডিজিটাল বিটসে রূপান্তর করে। এভাবেই দুটি কম্পিউটারের মধ্যে মডেমের মাধ্যমে কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
আরও পড়ুন – ই-মেইল কি? ই-মেইলের সুবিধা
- বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজ কি? বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজের সুবিধা ও অসুবিধা
- পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (প্যান/PAN) কি? এর বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা
মডেমের প্রকারভেদ
মডেম ২ প্রকার। যথাঃ
- ইন্টারনাল
- এক্সটারনাল
ইন্টারনাল মডেম: এ মডেম মূলত একটি কার্ড বিশেষ। এই কার্ড পিসির মাদারবোর্ডের এক্সপানশান স্লটে লাগানো থাকে অথবা ডিফল্ট যুক্ত থাকে।
এক্সটারনাল মডেম: যে মডেম তারের সাহায্যে অথবা তারবিহীনভাবে কম্পিউটারের বাইরে থেকে কাজ করে তাকে এক্সটারনাল মডেম বলে।
আজ এ পর্যন্তই। আশা করি মডেম / Modem কি? মডেম কীভাবে কাজ করে? ও প্রকারভেদ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা দিতে পেরেছি। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
আইসিটি নিয়ে অনেক লিখা আছে দেখলাম। এগিয়ে যান।
ধন্যবাদ ভাই
সুন্দর
This post is really a fastidіous one it assists new weЬ viewers,
ԝho arе wishing in favoг of blogging.