আপনি ভাবতে পারেন: ” ভিডিও এডিটিং শেখা কেন শুরু করবেন?” আপনি কীভাবে ভিডিওগুলি এডিটিং করবেন তা শেখার জন্য এটি আপনার কাছে উপযুক্ত সময় নয় বলে মনে হতে পারে। তবে আপনি কী জানেন ভিডিও, সংগীত, অ্যালবাম বা প্রোডাক্টকে ঘিরে সেরা মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম? এটি সর্বকালের সেরা মার্কেটিং এবং প্রচারমূলক সরঞ্জাম! তাই ভিডিও এডিটিং শেখা উচিত।
বর্তমানে মোবাইলে উন্নত ক্যামেরা থাকার কারণে ভিডিও রেকর্ডিং করা খুব সহজ। ভিডিও করা সহজ হলেও ভিডিও এডিটিং করা এখনো ততটা সহজ হয়ে ওঠেনি। ভিডিও এডিটিং শেখা একটু কমপ্লিকেটেড।
ঝামেলার জন্য অনেকে মনে করেন এডিটিং করার দরকার নেই, ভিডিও করে সরাসরি আপলোড দেব। এটা করলে ভুল করবেন কারণ এমন কিছু কারণ রয়েছে যেগুলো জন্য ভিডিও এডিটিং শেখা উচিত। আজ আমি তেমনি ৩ টি কারণ নিয়ে আলোচনা করব।
যেসব কারণে ভিডিও এডিটিং শেখা উচিৎ
ভিডিও দ্রুত সাড়া ফেলে
আপনি এটি আমাদের কাছ থেকে শোনেন নি, তবে ভিডিও হ’ল আপনার মার্কেটিং এবং ব্র্যান্ডিং গেম-চেঞ্জার। ছবি যেখানে হাজারো কথা বলতে পারে, ভিডিওগুলি সেখানে লক্ষ কথা বলতে সক্ষম। ছবিগুলোর বিপরীতে, ভিডিওগুলি আরও একটি “মানব” হৃদয়কে স্পর্শ করে এবং অন্য কোনও উদ্দীপনার মতো আবেগকে ট্রিগার করতে পারে। ভিডিও যে কারো আবেগ-অনুভূতিতে সাড়া ফেলে। এমনকি এটি যে কাউকে হাসাতে, কাঁদাতে এমনকি রাগাতেও পারে। তারা গুরুত্বপূর্ণ মেসেজগুলো চিত্রিত করতে পারে যা সততা, বিশ্বাস এবং আপনার ব্র্যান্ড এবং দর্শকদের মধ্যে একটি সত্য সংযোগ প্রকাশ করে।
যে পৃথিবী নিয়মিত পরিবর্তন হচ্ছে এবং আগের চেয়ে আরও বানোয়াট হয়ে উঠছে, সেখানে মানুষ সত্য চায়। তারা স্পিকারের সাথে সংযুক্ত বোধ করতে চায় এবং দেহের ভাষা এবং মুখের ভাবের মাধ্যমে আসল উদ্দেশ্যগুলি মূল্যায়ন করতে চায়। ভিডিওগুলি ব্র্যান্ডটি তাদের ধারণাগুলি এবং বিশ্বাসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এমন কিছু দাঁড় করায় কিনা তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করতে পারে, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে, রূপান্তর করতে পারে।
আপনার রেকর্ড করা ভিডিও দেখে অন্যদের হৃদয়ে কেমন সাড়া ফেলবে এটা মূলত নির্ভর করে আপনার এডিটিং টেকনিকের উপর। ভিডিওকে আপনি এডিটিং করে নিজের মত করে উপস্থাপন করতে পারবেন এবং মানুষের ভাললাগা, ভালবাসার অনুভূতি কেড়ে নিতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে ইনকাম
ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে ভালো ভিডিও বানাতে হবে এবং উপস্থাপনা ভালো থাকতে হবে। কারণ ভিডিওটি যতই তথ্য সমৃদ্ধ হোক না কেন, যদি ভাল উপস্থাপনা না থাকে তবে দর্শক পুরো ভিডিওটি দেখবে না আপনার চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবে না।
বিভিন্ন রকম ভিডিও বানিয়ে বিভিন্ন দেশের মানুষ অনেক আগে থেকেই ইউটিউবের মাধ্যমে প্রচুর ইনকাম করছে। এমন অনেকে আছেন যারা প্রতিমাসে লক্ষ কোটি টাকা ইনকাম করছেন। আমাদের পাশের দেশ ভারত সহ অন্যান্য দেশের লোকদের ইউটিউবে ইনকাম এর পরিমাণ দেখলে আপনি আকাশ থেকে পড়বেন।
আমাদের দেশের তরুণরাও মজার মজার ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করছে। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন যে, ইউটিউবে এখন অনেক বাংলা চ্যানেল রয়েছে । breaking-news থেকে শুরু করে, ফানি ভিডিও, শিক্ষণীয়, আকাশ, মহাকাশ, নাটক, মুভি নিয়েও বাংলায় প্রচুর ইউটিউব চ্যানেল গড়ে উঠেছে।
ভিডিও এডিটিং শিখে চাইলে আপনিও ইউটিউবে চ্যানেল খুলে, ভিডিও আপলোড করে, ভিউ বাড়িয়ে ইনকাম শুরু করতে পারেন। বর্তমানে স্মার্টফোনেই উন্নত মানের ক্যামেরা থাকে সেই ক্যামেরা ব্যবহার করে আপনি ভিডিও বানাতে পারেন। তবে ভিডিও এডিটিং ও উচ্চারণের দিকে খেয়াল রাখবেন কারণ ভালো ভিডিও হলেও অনেক সময় খারাপ এডিটিং এর জন্য নষ্ট হয়ে যায়। আপনি যদি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চান তবে নিচের আর্টিকেলগুলোও দেখতে পারেন-
ভিডিও গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং টুল
সঠিক রাস্তা আর এডিটিং সিক্রেট দিয়ে খুব সহজেই আপনি যে কাউকে যেকোনো মেসেজ দিতে পারবেন। সেটা হতে পারে কোন সচেতন মূলক মেসেজ বা হতে পারে আপকামিং কোন ইভেন্ট এর অগ্রিম মেসেজ। ম্যাচিং মিউজিকসহ ভিডিওর মতো পাওয়ারফুল মার্কেটিং টুল তেমন নেই বললেই চলে।
মানুষ এখন টিভি দেখে না বললেই চলে। তারা এখন কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব ও মোবাইলে ভিডিও দেখে অভ্যস্ত। এ কারণে ছোট-বড় প্রায় সব কোম্পানি এখন তাদের প্রোডাক্ট প্রচার ও প্রসারের জন্য শুধু টিভির উপর নির্ভরশীল নয়। তাই, প্রফেশনাল ভিডিও এডিটরদের দিয়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করছে।
আপনি যদি ভালো ভিডিও এডিটিং করতে পারেন অর্থাৎ ভিডিও এডিটিং এ দক্ষ হন তবে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট মার্কেটিং ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন এডভার্টাইজিং হাউসে মোটা বেতনের জব পেতে পারেন ।
ভিডিও এডিটিং শেখা কঠিন কিছু নয়
ভিডিও এডিটিং শেখা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তবে প্রযুক্তির অগ্রগতি ও সফট্ওয়ারের সহজ লভ্যতার কারণে ভিডিও এডিটিং শেখা এখন কোন কঠিন ব্যাপার নয়। ইচ্ছে করলে আপনি ঘরে বসে নিজেই ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন একটি ভালো মানের ভিডিও এডিটিং ল্যাপটপ। যার মাধ্যমে আপনি নিজ ইচ্ছেতে যে কোন সময় ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন। এছাড়াও আপনার প্রয়োজন হবে উন্নত মানের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এ ২ টি জিনিস থাকলে ভিডিও এডিটিং শিখা কোন ব্যাপারই না।
এছাড়াও ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে। ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা 5 টি ওয়েবসাইট হলো-
শেষ কথা
বর্তমানে ভিডিও এডিটিং একটি সম্মানজনক পেশা। আপনি যদি ভালো ভিডিও এডিটর হতে পারেন তাহলে আপনার জন্য কোথাও জব এর অভাব হবে না। এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তাই অবসর সময়টা কে কাজে লাগিয়ে ভিডিও এডিটিং শিখে নিন।
তাহলে আজ এখানেই রইল। ভিডিও এডিটিং কেন শেখা উচিত আশা করি সে সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা দিতে পেরেছি। ব্লগটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আর কোন কিছু জানার বা অভিযোগ থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমি যথাসম্ভব উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।
যে ৩টি কারণে অবশ্যই ভিডিও এডিটিং শেখা উচিত