পুরুষ একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ হলো ক্রিয়ার আশ্রয়। ব্যাকরণে এর সাথে স্ত্রী – পুরুষ লিঙ্গবেধে কোন সম্পর্ক নেই। ব্যাকরণের মতে, বিশ্বের সব ব্যক্তি বা বস্তু কোন না কোন ভাবে পুরুষ। যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পাদিত হয়, ব্যাকরণে তাকে পুরুষ বলে। সাধারণত বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সর্বনামগুলোকেই বিভিন্ন পুরুুষ বোঝায়। যেমন- আমি, তুমি, সে ইত্যাদি।
পড়ুন – ব্যাকরণ কি বা কাকে বলে? ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা
অর্থাৎ, যে সর্বনাম বা বিশেষ্য পদের দ্বারা বক্তা, শ্রোতা বা অন্য কোন উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়, তাকে পুরুষ বলে।
পুরুষের প্রকারভেদ / শ্রেণীবিভাগ
পুরুষ ৩ প্রকার। যথা-
- প্রথম / উত্তম পুরুষ
- দ্বিতীয় / মধ্যম পুরুষ
- তৃতীয় / নাম পুরুষ
প্রথম / উত্তম পুরুষঃ ব্যক্তা নিজের নামের পরিবর্তে যে সর্বনাম ব্যবহার করে অর্থাৎ, যে পদ দ্বারা উত্তম পুরুষ অর্থাৎ বক্তা নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে আমি, আমরা, আমাকে, আমাদের, আমার ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে, তাকে প্রথম / উত্তম পুরুষ বলে। যেমন – আমি প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই।
পড়ুন – শব্দ কাকে বলে? উৎপত্তি বা উৎস, গঠন ও অর্থানুসারে শব্দের শ্রেণীবিভাগ
দ্বিতীয় / মধ্যম পুরুষঃ বাক্যের বক্তা কর্তাকে সম্বোধন করতে যেসব সম্বোধনবাচক শব্দ ব্যবহার করে তাকে, দ্বিতীয় / মধ্যম পুরুষ বলে। যেমন – তুমি, তোমরা, তোমাকে, তোমার, তোমাদের ইত্যাদি।
পড়ুন – উদাহরণসহ “এ” ধ্বনি উচ্চারণের ৫ টি নিয়ম
তৃতীয় / নাম পুরুষঃ আমি বাচক ও তুমি বাচক পদ ব্যতীত অন্য সব বিশেষ্য পদ ও সর্বনাম পদকে তৃতীয় / নাম পুরুষ বলে। যেমন – সে, তারা, তার ইত্যাদি।
পড়ুন – উদাহরণসহ “অ” ধ্বনি উচ্চারণের ৫ টি নিয়ম
তাহলে আজ এখানেই থাকলো। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
Comments
Loading…