HomeUncategorizedফেসবুক অটো লাইক নেওয়ার ভয়ংকর ৩ টি ক্ষতিকর দিক

ফেসবুক অটো লাইক নেওয়ার ভয়ংকর ৩ টি ক্ষতিকর দিক

বেশি লাইক পেতে কে না পছন্দ করে বলুন? ছোট থেকে শুরু করে বুড়ো সবাই লাইক পেতে পছন্দ করে। এজন্য অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ফেসবুক পেইজে অটোলাইক নিয়ে থাকেন। কিন্তু তারা জানে না এ অটো লাইকের অনেক ক্ষতিকর দিক আছে। যা মাঝে মাঝে আপনার ফেসবুক পেইজের জন্য ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে।

যে কোন একটা পেইজের জন্য লাইক এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। কারণ যদি পেইজে লাইক না থাকে তাহলে পেইজ খোলার উদ্দেশ্য নষ্ট হয়ে যায়।

কমিউনিটি বিল্ড আপ বা বিজনেস পারপাসে অনেকে ফেসবুক পেইজ খুলে থাকে। তবে বিজনেস রিলেটেড কোন প্রয়োজনে ফেসবুক পেইজের গুরুত্ব অনেক। ফেসবুক বিজনেস পেইজের অনেক লাভ রয়েছে। যদি মানুষ পেইজে লাইক না দেয় তাহলে পোস্টগুলো মানুষের কাছে পৌঁছাবে না।

আর মানুষের কাছে পৌঁছাতে না পারলে পোস্টগুলো বৃথা হয়ে যায়। এতে করে যে কারণে আপনি পেইজ খুলেছেন সেটা পূরণ হবে না এবং আপনার ব্যবসাও হবে না। তাই পেইজে অধিক ডিজেবল করা, লাইক বাড়ানো, পোস্ট এর সঙ্গে ইউজার ইংগেজমেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক সিরিয়াস হতে হবে।

অর্থাৎ আপনি যদি আপনার পেইজের পোষ্টগুলো সকলের কাছে পৌছে দিতে চান অর্থাৎ ফেসবুক পেইজ থেকে ইনকাম করতে চান তবে আপনার প্রচুর লাইকের প্রয়োজন। ফেসবুক পেইজ থেকে আয় করতে পড়তে পারেন –

ফেসবুক গ্রুপ বা পেইজ থেকে আনলিমিটেড ইনকাম করুন সহজ ৫ উপায়ে!

তবে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সে লাইকগুলো যেন ন্যাচারাল উপায়ে হয়। অন্য কোন উপায় যাতে দেওয়া না হয়। অটো লাইক দেওয়া ইল্লিগাল,স্প্যামি এবং ক্ষতিকর। তাই অটো লাইক না দেওয়াই ভালো। কারণ অটোলাইকের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক রয়েছে।

ফেসবুক পেইজে অটো লাইক নেওয়ার ভয়ঙ্কর ৩ টি ক্ষতিকর দিক

ফেসবুক পেইজে অটো লাইক দেওয়ার ভয়ংকর তিনটি ক্ষতিকর দিক হলো –

  • পেইজের প্রাইভেসি থাকেনা
  • আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ও শত শত পেইজে লাইক যায়।
  • অ্যাকাউন্ট ব্যান্ড খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পেইজের প্রাইভেসি থাকেনা

প্রায় সবধরনের অটো লাইক দেওয়ার ওয়েবসাইট এবং অ্যাপসের সেটিংস রিকোয়্যারমেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় রিকোয়্যারমেন্ট হল আপনার পেইজের প্রাইভেসিকে পাবলিক করে দিতে হবে।

এর মূল উদ্দেশ্য হলো আপনার পেইজ থেকে অ্যাক্সেস নেওয়া। আপনার পেইজে স্পন্সর অ্যাড শো করার জন্য বেশিরভাগ ওয়েবসাইট ও অ্যাপ এ কাজ করে থাকে। আপনাকে অটো লাইক দেওয়ার বিনিময়ে তারা এড স্পন্সর দিয়েই লাভবান হয়। তবে এসব অ্যাড এর মধ্যে এমন কিছু অ্যাড থাকে যেগুলো দৃষ্টিকটু এবং আপনার ইমেজের সঙ্গে যায় না। যেমন –

  • Hot girls
  • Huge Boobs
  • Sex Pills
  • Sex Partners……. etc.

তাহলে আপনিই ভাবুন আপনার প্রোফাইল কিংবা পেইজে ঢুকে এমন ধরনের এড দেখলে লোকেরা আপনার সম্পর্কে কেমন ধারণা করবে!!!

আবার কিছু কিছু অ্যাপ রয়েছে যারা এই অ্যাকসেস করে নেয় অসৎ কাজ করার জন্য। বিভিন্নভাবে তারা আপনার পেইজ হ্যাক করার চেষ্টা করে। আর এ অটো লাইকের ফাঁদে পড়ে অনেকেই হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন এরকম অনেক উদাহরণ রয়েছে।

আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ও শত শত পেইজে লাইক যায়।

বর্তমান বিশ্ব নিউটনের থার্ড ল এর ওপর পুরোটাই নির্ভরশীল। তার থার্ড ল হলো – “প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে”।

এটা দ্বারা এটাই বুঝানো হয়েছে ফেসবুকে অটোলাইক আপনার পেজে হাজার হাজার লাইক কিনে দেয়ার বিনিময়ে আপনাকেও তাকে কিছু দিতে হবে। এজন্য তারা টোকেন রিকোয়্যার করে থাকে।

আর এ টোকেন ব্যবহার করা মানেই, অটো লাইকার ওয়েবসাইটগুলো বিশেষ একটা স্ক্রিপ্টের মাধ্যমে পেইজের সকল এডমিন, মডারেটর সহ সবার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের নেটওয়ার্কে থাকা সকল পেইজে লাইক দিয়ে নিচ্ছে।এ কারণে আপনি বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় পড়তে পারেন –

  • আপনার একাউন্ট থেকে প্রতিনিয়ত লাইক যাওয়ার কারণে আপনার একাউন্টটি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ফেসবুকের কাছে আপনার একাউন্টটি আস্তে আস্তে স্প্যামি অ্যাকাউন্ট হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। তাই যদি কোন কারণে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে, তখন ফেসবুকে একাউন্ট পুনরুদ্ধার করার রিকোয়েস্ট পাঠালেও কোন ধরণের কাজ হবে না।
  • তাছাড়া আপনার একাউন্ট থেকে যেসব পেইজে লাইক যায় সেগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই মানি লন্ডারিং, জুয়া বাজি বা পর্ণ পেইজ রয়েছে। আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা অনেকেই তখন এটি জানত পারে।
  • তাছাড়া আপনি যখন টোকেন নাম্বার সংগ্রহের জন্য তাদের সাইট বা অ্যাপে রিকোয়েস্ট পাঠাবেন, তখন এটি আপনাকে ফেসবুকে রিডাইরেক্ট করে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনি সাক্সেস মেসেজ দেখতে পাবেন কিন্তু নিচেই ফেসবুকের অটোমেটেড সিস্টেম থেকে আসা সতর্ক বার্তা দেখতে পাবেন।

Success WARNING:Please treat the URL above as you would your password and do not share it with anyone. See the Facebook Help Center for more information.

ভাববেন না এটি আপনার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনছে।বরং ফেসবুক তাদের সিকিউরিটির জন্য একসময় আপনার একাউন্ট ব্যান্ড করে দিতে পার।

অ্যাকাউন্ট ব্যান্ড খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অটো লাইকার ব্যবহার করার কারণে আপনি নিজের অজান্তেই ফেসবুকে পলিসি ব্রেক করছেন। রেন্ডম লাইকের মাধ্যমে আপনার অজান্তেই স্প্যামারের এর তালিকায় আপনার নাম উঠেছে। এ কারণে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় আপনার একাউন্টটি ব্যান্ড করে দিতে পারে। তারা আপনার বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত অ্যাকশনগুলো নিতে পারে –

  • কিছুদিনের জন্য আপনার অ্যাকাউন্টের এক্সেস অফ করে দিতে পারে।
  • নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান্ড করা হতে পারে।
  • কিছু কিছু পেইজ এবং গ্রুপে আপনার কনটেন্ট শেয়ার করা বন্ধ করে দিতে পারে।
  • অনেক কমিউনিটিতে আপনার লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট অপশন বন্ধ করে দিতে পারে ইত্যাদি।

শেষ কথা

তাহলে আজ এখানেই শেষ করছি। আপনি যদি উপরের সকল সম্ভাবনা থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে চান তাহলে অবশ্যই ফেসবুকে অটো লাইক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

আরও পড়ুন –

স্মার্টফোনে অটো অ্যাড বন্ধ করবেন কিভাবে?

ইন্টারনেট থেকে মোবাইলে ফ্রি এসএমএস (SMS) পাঠানোর জনপ্রিয় ৭ টি সাইট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Recent posts

Recent comments