প্রকৃতি কাকে বলে? প্রকৃতি কত প্রকার ও কি কি?

প্রকৃতি বাংলা ব্যকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাই আজ আমরা প্রকৃতি কাকে বলে? প্রকৃতি কত প্রকার ও কি কি? তা নিয়ে জানব।

প্রকৃতি কাকে বলে?

ধাতুর সাথে যখন কোন ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি যুক্ত হয়ে বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ তৈরি হয়, তখন ক্রিয়ামূল বা ধাতুকে ক্রিয়া প্রকৃতি বা প্রকৃতি বলে। যেমন – √চল্ (ক্রিয়া প্রকৃতি) +অন্ত = চলন্ত, √কৃ (ক্রিয়া প্রকৃতি) + তব্য = কর্তব্য ইত্যাদি।

পড়ুন – বচন কি বা কাকে বলে? বচনের প্রকারভেদ / শ্রেণীবিভাগ

প্রকৃতি কথাটি বুঝানোর জন্য প্রকৃতির আগে “√” এই চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যবহার করলে প্রকৃৃৃতি লিখার প্রয়োজন হয় না। যেমন – √ নী + আ = নেওয়া, √ গম্ + অন = গমন ইত্যাদি।

পড়ুন – বর্ণ (Letter) কাকে বলে? বর্ণ কত প্রকার ও কি কি?

ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ” ভাষায় যাহার বিশ্লেষণ সম্ভবপর নহে, এমন মৌলিক শব্দকে প্রকৃতি বলে।

এক কথায় বলা যায় , “যে ধাতু ও শব্দের শেষে প্রত্যয় যুক্ত হয়, তাকে প্রকৃতি বলে।”

পড়ুন – বর্ণমালা / বঙ্গলিপি কালে বলে? বাংলা বর্ণমালার পরিচয়

প্রকৃতির প্রকারভেদ / শ্রেণীবিভাগ

প্রকৃতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ-

  • নাম বা শব্দ প্রকৃতি
  • ক্রিয়া বা ধাতু প্রকৃতি

নাম বা শব্দ প্রকৃতিঃ- নাম শব্দের মূল অংশকে নাম বা শব্দ প্রকৃতি বলে। নামপদকে গঠনের দিক থেকে আর বিশ্লেষণ করা যাবে না কিন্তু তার অর্থ থাকবে, তখন তাকে নাম বা শব্দ প্রকৃতি বলা যাবে। যেমন – হাত, মাটি, বাতাস ইত্যাদি।

পড়ুন – ধাতু কি বা কাকে বলে? ধাতুর প্রকারভেদ / শ্রেণীবিভাগ

ক্রিয়া বা ধাতু প্রকৃতিঃ- ক্রিয়ার মূলকে ধাতু বা ক্রিয়া বা ধাতু প্রকৃতি বলে। একটি ক্রিয়াকে ভাঙতে ভাঙতে যখন আর বিশ্লেষণ করা যায় না, তখন তাকে ক্রিয়া বা ধাতু প্রকৃতি বলে। একে ক্রিয়ামূলও বলা হয়। যেমন – √ কর্, √ দেখ্, √ শো ইত্যাদি।

আরও পড়ুন –শব্দ কাকে বলে? উৎপত্তি বা উৎস, গঠন ও অর্থানুসারে শব্দের শ্রেণীবিভাগ


আজ এখানেই শেষ করছি। আশা করি প্রকৃতি কাকে বলে? প্রকৃতি কত প্রকার ও কি কি? আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *