কোন পদার্থ বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে যে প্রক্রিয়ায় তাপশক্তি উৎপন্ন করে, সে প্রক্রিয়ায় হলো দহন। অর্থাৎ, অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়ার ফলে রাসায়নিক পরিবর্তনে কোন পদার্থের তাপশক্তি উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় হলো দহন।
আবার বলা যায়, কোন মৌল বা যৌগকে বাতাসের অক্সিজেনের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে তার উপাদান মৌলের অক্সাইডে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে দহন বিক্রিয়া বলে। যেমন – মোমবাতির প্রজ্বলন।
পড়ুন – প্লাটিনাম | প্লাটিনামের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার
উদাহরণস্বরূপ জলন্ত মোমবাতির কথা বলা যায়। মোমবাতি জ্বালালে কিছু মোম গলে গিয়ে নিচে জমা হয় এবং কিছু মোম আগুনে পুড়ে যায়। এক্ষেত্রে মোমবাতি বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানিতে পরিণত হয়। এবং সাথে সাথে আলো ও তাপশক্তিত উৎপন্ন হয়। এ কারণে মোমবাতির প্রজ্বলনকে দহন বলা হয়।
পড়ুন – লোহা কি? লোহার বৈশিষ্ট্য ও রাসায়নিক ধর্ম
তাছাড়া চুলায় প্রাকৃতিক গ্যাস বা বিভিন্ন জ্বালানি পুড়িয়ে রান্না করার ক্ষেত্রে দহন প্রক্রিয়া ঘটে। আবার আমাদের গ্রহণকৃত খাবার অক্সিজেন দ্বারা দহন প্রক্রিয়ায় জারিত হয়ে তাপশক্তি উৎপন্ন করে।
CH₄ + O₂ ——–> CO₂ + H₂O + তাপ
অর্থাৎ, প্রতিটি জ্বালানি বিক্রিয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড, জলীয়বাষ্প ও তাপশক্তি উৎপন্ন হয়। আর এ তাপ শক্তি ব্যবহার করে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন, কলকারখানা চালনা, রান্না করা ইত্যাদি কাজ করতে পারি। দহন বিক্রিয়াগুলো একমুখী হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন – অক্সিজেন কি? অক্সিজেন এর বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহার
তাহলে আজ এখানেই থাকলো। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
I think this is one of the most important information for me.
And i am glad reading your article. But wanna remark on few general things, The
website style is ideal, the articles is really great.
Very nice post. Thanks for sharing this knowledge with us.
Awesome answer…. Thank you