বর্তমান বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর এক আধুনিক বিশ্বে পরিণত হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অভাবনীয় পরিবর্তন এনেছে। এটি মানুষের সামাজিক ক্ষেত্রে যেমন সুফল বয়ে এনেছে তেমনি কিছু কুফলও রয়েছে। চলুন তাহলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুফল ও কুফল সম্পর্কে জেনে নেই।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুফল
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার যেকোনো ধরনের অপচয় রোধ করে।
- এর প্রয়োগের মাধ্যমে যেকোনো কাজে আগের চাইতে অনেক কম সময় লাগে অর্থাৎ এর মাধ্যমে সময় সাশ্রয়ী ব্যবস্থা তৈরি করা যায়।
- এর ব্যবহার ও চর্চার ফলে ক্রমান্বয়ে সর্ব ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
- এর ব্যাপক প্রসারের ফলে যে কোন তথ্যের প্রাপ্যতা এখন সহজ হয়েছে। বিশেষ করে ইন্টারনেটের মত প্রযুক্তির কল্যাণে এখন বিশ্বটাকে পাওয়া যাচ্ছে হাতের মুঠোয়।
- এর উৎকর্ষতার কারণে এখন তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে। ফেক্স, ইন্টারনেট, ই-মেইল ,এসএমএস, এমএমএস ইত্যাদি এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
- ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে মতামত আদান-প্রদান করা যায়।
- ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনেক সাফল্য বয়ে এনেছে।
- শিল্প প্রতিষ্ঠানে এর ব্যবহার মনুষ্য শক্তির অপচয় কমায়।
- শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
- যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজতর, দ্রুত, নিরাপদ এবং আরামদায়ক করেছে।
- ঘরে বসেই চিকিৎসকদের কাছ থেকে সেবা নেওয়া যাচ্ছে।
- অনেক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে ইত্যাদি।
আরো পড়ুন – বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কুফল
- অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- ইন্টারনেটে এমন কিছু অশ্লীল সাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে মানুষের নৈতিক স্থলন ঘটতে পারে।
- এর ফলে প্রযুক্তিগত সুবিধা এখন এতটাই বেড়েছে যে এর অপব্যবহার করে ব্যক্তির গোপনীয়তা প্রকাশ হয়ে পড়ছে।
- বেকারত্ব সৃষ্টি হচ্ছে।
- অতিরিক্ত এর ব্যবহারের ফলে নানা রকম শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
- এর ব্যবহারের ফলে সব ধরনের সমস্যার সমাধান সহজে পাওয়ার কারণে চিন্তা ও গবেষণার মাধ্যমে নতুন কিছু আবিষ্কার হতে মানুষ দূরে থাকবে। ফলে আমাদের সমাজ ও জাতি মেধাবী প্রজন্ম হতে বঞ্চিত হবে।
- অনেক সময় মিথ্যা প্রচারণা করে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি করে ইত্যাদি।
বর্তমান সময়ে সারা দুনিয়া তথ্য প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল এবং আগামী বিশ্ব আরও বেশি নির্ভরশীল হতে চলেছ। তাই তথ্য প্রযুক্তিকে ভালভাবে জানা সকলের জন্যই জরুরী। তাহলে তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে একে মানব জাতির উপকারে কাজে লাগাতে পারবো। তাছাড়া তথ্য প্রযুক্তির কল্যানে বর্তমানে ঘরে বসে বিশ্বের যে কোন প্রান্তের অফিস বা ব্যাক্তির কোন কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে যাকে আউটসোর্সিং বলে। আউটসোর্সিং শিখতে হলেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে ভালভাবে বুঝতে হবে।