জায়নামাজের দোয়া আরবি, বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থ

নামাজের সময় মেঝেতে যে গালিচা ব্যবহার করা হয় তাকে জায়নামাজ বলে। সাধারণত এর উপর দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা হয়। তবে নামাজের সময় জায়নামাজ বিছানো বাধ্যতামূলক নয়। নামাজের জায়গায় ধুলো-বালি থেকে রক্ষা করার জন্যই এটি ব্যবহার করা হয়।

কারণ নামজের জায়গা পবিত্র থাকা ফরজ। এ কারণে জায়নামাজকেও পবিত্র রাখতে হয়। জায়নামাজ পবিত্র করার একটি দোয়া রয়েছে। চলুন তাহলে জায়নামাজ পবিত্র করার দোয়া সম্পর্কে জেনে নেই –

اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَالسَّمَوَتِ وَاْلاَرْضَ حَنِيْفَاوَّمَااَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ

আরবি উচ্চারণঃ ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন।

বাংলা অনুবাদ: নিশ্চই আমি তাঁহার দিকে মুখ ফিরাইলাম, যিনি আসমান জমিন সৃষ্টি করিয়াছেন । আমি মুশরিকদিগের দলভুক্ত নহি।

সাধারণত জায়নামাজ এমনভাবে বানানো হয় যাতে করে নামাযীরা স্বাচ্ছন্দে নামাজ পড়তে পারে। এটি এক অথবা একাধিক লোকের উপযোগী করে তৈরি করা হয়। একাধিক লোকের ব্যবহার উপযোগী জায়নামাজগুলো হলো : ১. মসজিদ, ২. ঈদগাহ এর জন্য বড় আকারের জায়নামাজ। আর একজন ব্যক্তির জন্য ব্যবহার উপযোগী জায়নামাজ সাধারণত ব্যক্তিগতভাবেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন – আছরের নামাজ কয় রাকাআত? এটি কীভাবে পড়তে হয়? এর নিয়ত

জায়নামাজ অলংকরণের জন্য এখানে নানা রকম নকশা (যেমন- বিভিন্ন লতাপাতা, ফুল,অপ্রাণীবাচক নকশা ইত্যাদি) অঙ্কন করা হয়। অনেক সময় মেহরাবের ছবিও দেওয়া হয়। এজন্য বিছানোর সময় মেহরাবের উপরের দিক কিবলামুখী করে রাখা হয়। মূলত এটি ইসলামি সংস্কৃতির অন্যতম নির্দশন।


আজ এখানেই শেষ করছি। আমার এ আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *