ঘরে বসেই ইনস্ট্যান্ট উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার ৫ টি টিপস!!!

উজ্জ্বল ত্বক পেতে কার না ভালো লাগে বলুন!! এ কারণে একটু উজ্জ্বল ত্বকের জন্য অনেকে অনেক কিছু করে থাকে। এসব করতে গিয়ে অনেক সময় অনেকে ত্বকের ক্ষতি করে ফেলে। তাই ঘরে বসেই যাতে ইনস্ট্যান্ট উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যায় সে নিয়ে আজ আমি কথা বলব।আর দেরি না করে, চলুন তাহলে জেনে নেই।

ইনস্ট্যান্ট উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার ৫ টি টিপস!

ঘরে বসেই ইনস্ট্যান্ট উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার ৫ টি টিপস হলোঃ

  • অয়েল ক্লেনজিং
  • জেল বা ফোম ক্লেনজিং
  • স্ক্রাবিং
  • টোনার বা রোজ ওয়াটার স্প্রে
  • ব্রাইটেনিং মাস্ক

অয়েল ক্লেনজিং

প্রতিদিনই আমরা বাইরে বের হওয়ার সময় মুখে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। ত্বক থেকে বের হওয়া সিবামে বাইরের ধুলোবালি মিশে স্কিন অনেক বেশি ময়লা হয়ে যায়। ফলে শুধু ফেসওয়াশ দিয়ে ক্লিক করলে তা ভালোভাবে পরিষ্কার হয় না। এ কারণে স্কিনের জন্য অয়েল ক্লেনজিং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা উপায়। আপনাদের স্ক্রিনের টাইপ অনুযায়ী ভালো ব্র্যান্ডের একটা ক্লিনজার বেছে নিতে হবে। ব্যবহার করার উপায় –

  • প্রথমে হাত ভালো করে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিন।
  • এরপর পরিমাণমতো ক্লিনজার নিয়ে সমস্ত মুখে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে নিন।
  • ম্যাসাজ করার ফলে স্কিনের ভেতর থেকে অয়েল বেজড ইমপিউরিটিস, ময়লা বের হয়ে আসবে।
  • এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন ব্যাস হয়ে গেল।

জেল বা ফোম ক্লেনজিং

ত্বকের সকল ধুলো-ময়লা এক নিমিষেই দূর করে দেয় জেল বা ফোম ক্লেনজিং। এছাড়ও এর আরেকটি গুণ হচ্ছে এটি ত্বকের অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণ কমিয়ে ত্বককে ঝকঝকে করে তোলে। এ কারণে যাদের ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত তাদের জন্য ফোম ক্লিনজার খুবই উপকারী।

ত্বকের অয়েল ক্লিনজার করার পর ফোম বেজড ক্লিনজার দিয়ে ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ফেলতে হবে। খুব জোরে ম্যাসাজ করা যাবেনা আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে।

স্ক্রাবিং

প্রাকৃতিক ভাবে আমাদের স্কিনে ডেড স্কিনসেলস তৈরি হয় যা স্কিনের ন্যাচারাল গ্লো কমিয়ে দেয়। তাই স্ক্রাবিং এর গুরুত্ব অনেক। তাই ঘরে বসেই চালের গুড়া, বেসন মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

অথবা স্কিনের ধরন অনুযায়ী যেকোনো ভালো ব্র্যান্ডের স্ক্রাব নিতে পারেন। তবে আপনার মুখে যদি পিম্পলস থাকে তাহলে স্ক্রাবিং করা যাবে না। এক্ষেত্রে আপনি কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করতে পারেন।

টোনার বা রোজ ওয়াটার স্প্রে

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য টোনার বা রোজ ওয়াটার স্প্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর টোনার ব্যবহার করলে স্কিন এর পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক থাকে, ত্বকের টেক্সচার ভালো থাকে, স্কিন হাইড্রেটেড থাকে।

টোনার হিসেবে রোজ ওয়াটার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। তবে এখন বিভিন্ন ধরনের টোনার পাওয়া যায়। আপনার মুখের ব্রণ থাকলে ট্রি বা গ্রিন ট্রি যুক্ত টোনার ব্যবহার করতে পারেন, ব্রাইটনেস চাইলে ফ্রুট যুক্ত টোনার ত্বকের জন্য ভালো হবে। তবে খেয়াল রাখবেন, সব সময় অ্যালকোহলযুক্ত ও ক্ষতিকর কেমিকেল আছে এমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করা থেকে এড়িয়ে চলবেন।

ব্রাইটেনিং মাস্ক

ত্বক ভালোভাবে ক্লিন করা ও টোনিং শেষে একটা ব্রাইটেনিং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে ১/২ দিন ফেইস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। স্কিন ক্যাফের ব্রাইটেনিং মাস্কের সাথে টক দই আর এলোভেরা জেল মিশিয়ে নিতে পারেন।

স্কিন নারিশমেন্ট করতে টক দই সাহায্য করে আর এলোভেরা জেল স্কিনকে সফট করে, সেই সাথে বয়সের চাপ কমায়।ফেইস মাস্ক লাগিয়ে ১৫/২০ পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সবশেষে আপনারা রেগুলার মায়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন আর দিনের বেলা মাস্ট সানস্কিন ব্যবহার করতে হবে।


তাহলে আজ এখানেই শেষ করছি। আপনি যদি এভাবে ত্বকের যত্ন নেন তাহলে ঘরে বসেই ইনস্ট্যান্ট উজ্জ্বল ত্বক ফিরে পেতে পারেন। অবশ্যই পড়ুন –

ত্বককে কোমল আর তরুণ রাখতে গ্লিসারিনের উপকারিতা!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *