Homeএকাডেমিকআইসিটি (ICT)কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার

১৯৫৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের MIT এর John McCarthy সর্বপ্রথম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শব্দটি উল্লেখ করেন। আস্তে আস্তে এটি বিস্তৃত লাভ করেছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার দ্রুত বেড়ে চলছে। এর ফলে কম্পিউটারের চিন্তাভাবনাগুলো মানুষের মতই হয়।কম্পিউটারের নিজের কোন বুদ্ধি নেই। এটি শুধু তার কাছে সংরক্ষিত তথ্য এবং প্রোগ্রামের আলোকে কাজ করতে পারে। নিজ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে কোন কাজ সমাধান করতে পারে না। এ কারণে কম্পিউটার যাতে কোনো সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তার জন্য এর ভেতরে অনেক সমস্যার সমাধান ঢুকিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একেই বলা হয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

অর্থাৎ এটি হলো মানুষের চিন্তা ভাবনাগুলোকে কৃত্রিম উপায়ে কম্পিউটার বা কম্পিউটার প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্রের মধ্যে রূপ দেওয়ার ব্যবস্থা। একটি কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফলে যন্ত্রের মধ্যে যৌক্তিক চিন্তা , পরিকল্পনা ,শিক্ষণ, যোগাযোগ, উপলব্ধি এবং যন্ত্র চলাচল করার সামর্থ্য পায়।

আরও পড়ুন – কম্পিউটার কি? কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার

প্রোগ্রামিং ভাষা LISP,PROLOG,C, C++ ইত্যাদি ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করা হয়। এর বাস্তব প্রয়োগ হলো রোবট।

পড়ুন – টেলিকনফারেন্সিং কি?টেলিকনফারেন্সিং এর সুবিধা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জ্ঞানের ক্ষেত্রসমূহ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জ্ঞানের ক্ষেত্রসমূহ কে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো –

  • বুদ্ধিবৃত্তিক বিজ্ঞান
  • রোবটিক্স
  • ন্যাচারাল ইন্টারফেস

বুদ্ধিবৃত্তিক বিজ্ঞান

এ বিজ্ঞানের আবার কয়েকটি শাখা আছে। এগুলো হলো-

  • এক্সপার্ট সিস্টেম
  • লার্নিং সিস্টেম
  • ফাজি লজিক
  • নিউরাল নেটওয়ার্ক
  • জেনেটিক অ্যালগরিদম
  • ইন্টেলিজেন্স এজেন্ট

রোবটিক্স

  • ভিজ্যুয়াল পারসেপশন
  • ট্যাকটিলি
  • ডেক্সটারিটি
  • লোকোমোশন
  • নেভিগেশন

ন্যাচারাল ইন্টারফেস

  • ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ
  • স্পিচ রিকগনিশন
  • মাল্টিসেন্সরি ইন্টারফেস
  • ভার্চুয়াল রিয়েলিটি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কয়েকটি ব্যবহার নিম্নে দেওয়া হল-

  • মনুষ্যবিহীন গাড়ি এবং বিমান চালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে।
  • চিকিৎসার ক্ষেত্রে।
  • বিনোদন ও গেইম খেলায়।
  • বিভিন্ন ধরনের কঠিন ও জটিল কাজে।
  • কাস্টমার সার্ভিস প্রদানে।
  • প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ খুঁজে বের করার জন্য।
  • বিভিন্ন ডিভাইসের ছোট ছোট ভুল শনাক্তকরণে ইত্যাদি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Recent posts

Recent comments