আপনি কি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন? বিশেষ করে আপনি যদি প্রযুক্তিবিদ না হন সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইট তৈরি আপনার জন্য একটি ভীতিকর ধারণা হতে পারে। তারপরও চিন্তা করবেন না, আপনার কোন কোডিং ধারণা না থাকলেও আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে অনায়াসে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করে ফেলতে পারেন। কারণ ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি অনেক সিম্পল এবং সহজ কাজ।
আমরা আপনাকে এখানে ধাপে ধাপে ওয়েবসাইট তৈরির প্রক্রিয়া দেখাব ।
ওভারভিউঃ
- কীভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করবেন
- আপনার সাইটের ডিজাইন পরিবর্তন করতে একটি টেম্পলেট ইনস্টল করা্র উপায়
- ওয়ার্ডপ্রেসে পেজ তৈরি করা
- অ্যাডোনস এবং এক্সটেনশনগুলির সাহায্যে ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজ করা
- এটিকে ভালভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও ফিচার যুক্ত করে ওয়েবসাইটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া
ওয়েবসাইট তৈরি শুরু করার আগে চলুন আমরা প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্নের উত্তর জেনে নেই।
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট এর দাম কত?
আপনি কী ধরণের ওয়েবসাইট বানাতে চাইছেন তার উপর এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে।একটি সাধারণ ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট প্রতি বছর হিসাবে সর্বনিম্ন ৭০০০ থেকে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। তবে আপনি চাইলে এর থেকেও কম দামে একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন।
ওয়েবসাইট তৈরির সেরা প্ল্যাটফর্ম কোনটি?
এমন অনেক ওয়েবসাইট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আছে যারা আপনাকে একটি ওয়েবসাইট সেটআপ করতে সহায়তা করবে। তবে আমরা আপনার ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম হিসাবে সেলফ-হোস্টেড (Self-hosted) ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছি।ওয়ার্ডপ্রেস বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম। এটি ইন্টারনেটের সমস্ত ওয়েবসাইটের প্রায় ৩০% ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা তৈরি।
ধাপ ১ঃ সেটআপ
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট সেটআপ করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ভাল ডোমেইন নেম নির্বাচন করতে হবে। এরপর একটি হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানির কাছ থেকে হোস্টিং নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশে বিভিন্ন হোস্টিং কোম্পানি আছে যাদের কাছে থেকে আপনি সহজেই হোস্টিং এবং ডোমেইন নিতে পারেন।
ধাপ ২. ইনস্টল ওয়ার্ডপ্রেস
হোস্টিং নেওয়ার পর হোস্টিং কোম্পানি আপনাকে একটি ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিবে এবং সেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ড্যাশবোর্ডে (সিপ্যানেল) লগইন করতে পারবেন। সেখানে আপনি প্রচুর আইকন দেখতে পাবেন যার 95% কখনো ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না।
সিপ্যানেলের সার্চ অপশনে wordpress লিখে সার্চ করুন এবং তারপরে ওয়ার্ডপ্রেস আইকনে ক্লিক করুন। এরপর পরবর্তি নির্দেশনা গুলো মেনে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করুন।
অভিনন্দন!আপনার প্রথম ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে গেছে।আপনি এখন ওয়ার্ডপ্রেস লগইন পৃষ্ঠায় যেতে পারেন। আপনার লগইন ইউআরএল দেখতে পাবেন: http://yourdomain.com/wp-admin/
আশা করি উপরের অংশটুকু বুঝতে পেরেছেন।
এবার আসুন পরবর্তী ধাপে চলে যাই এবং আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি থিম নির্বাচন করা যাক।
ধাপ ৩. থিম নির্বাচন
আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইট টি আসলে একটি ওয়ার্ডপ্রেস থিম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ডিফল্টভাবে প্রতিটি ওয়ার্ডপ্রেস সাইট একটি বেসিক থিম নিয়ে আসে। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটটিতে যান, তবে প্রায় এটি এর মতো দেখতে পাবেন:
এটি বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর জন্য খুব বেশি উপযুক্ত নয়। তবে চিন্তা করবেন না, এমন হাজার হাজার ফ্রি এবং পেইড ওয়ার্ডপ্রেস থিম রয়েছে যা আপনি আপনার সাইটে ইনস্টল করতে পারেন।
আপনি ওয়ার্ডপ্রেস অ্যাডমিন ড্যাশবোর্ড থেকে আপনার থিম পরিবর্তন করতে পারেন। Appearance » Themes পেইজে যান। সেখানে আপনি প্রায় ৪৫০০ ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস থিমগুলি থেকে অনুসন্ধান করতে সক্ষম হবেন। আপনি এগুলিকে জনপ্রিয়, সর্বশেষ, বৈশিষ্ট্যযুক্ত, পাশাপাশি অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ফিল্টারগুলি (যেমন শিল্প, বিন্যাস ইত্যাদি) অনুসারে বাছাই করতে পারেন। এবং তারপর ‘Add New’ বাটনে ক্লিক করুন।
পরবর্তী স্ক্রিনে, আপনি প্রায় ৪৫০০ এর বেশি ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস থিম দেখতে পাবেন।
এখানে আমরা ডেমো থিম হিসেবে Bento ব্যবহার করব । এটি সকল ধরণের ওয়েবসাইটের জন্য নমনীয় এবং বহুল জনপ্রিয় একটি ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস থিম।
আপনি যে ফ্রি থিমটি ইনস্টল করতে চান তার নামটি যদি আপনি জানেন তবে আপনি এখানে সার্চ করে সেটি ইনস্টল করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস আপনাকে অনুসন্ধানের ফলাফলগুলিতে থিমটি প্রদর্শন করবে। এবার আপনার মাউসটিকে থিমের উপরে নিয়ে ইনস্টল বাটনে ক্লিক করুন।
একবার আপনি আপনার থিমটি ইনস্টল করার পরে, আপনি Appearance » Customize তে এটিকে ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করতে পারেন।
আপনার এখনই সমস্ত থিম সেটিংস ঠিক করার দরকার নেই। আপনার ওয়েবসাইটটিতে কিছু বিষয়বস্তু (Content ) থাকলে আপনি এটি আরও ভালভাবে কাস্টমাইজ করতে সক্ষম হবেন।
আসুন দেখুন কীভাবে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে বিভিন্ন বিষয়বস্তু যুক্ত করা যায়।
ধাপ ৪. আপনার সাইটে কনটেন্ট ( Content ) যুক্ত করুন
ওয়ার্ডপ্রেস পোস্ট এবং পেইজেজ নামক দুটি ডিফল্ট কন্টেন্ট এড করার সিস্টেম থাকে । পোস্টগুলি একটি ব্লগের অংশ ।অন্যদিকে, পেইজগুলি সাধারণত about page, contact page, privacy policy, ইত্যাদি হয়ে থাকে।
ডিফল্টভাবে, ওয়ার্ডপ্রেস আপনার ওয়েবসাইটের প্রথম পৃষ্ঠায় আপনার ব্লগ পোস্টগুলি দেখায়। আপনি চাইলে এটি পরিবর্তন করতে পারেন এবং যে কোন পেইজকে ফ্রন্ট পেইজ হিসাবে দেখাতে পারেন (আমরা আপনাকে পরবর্তী নির্দেশিকাতে কীভাবে এটি করতে হয় তা দেখাব)।
আপনি আপনার ব্লগ বা নিউজের জন্য একটি পৃথক পেইজ তৈরি করতে পারেন । আসলে, আপনি কোনও ব্লগ অপশন না রেখেও একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
এখন আপনি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে কয়েকটি পৃষ্ঠা যুক্ত করে শুরু ক্রুন। এই মুহুর্তে আপনার এই পেইজগুলোতে পর্যাপ্ত কনটেন্ট না থাকলেও ঘাবড়ানর কিছু নেই। আপনি সর্বদা এগুলি এডিট এবং আপডেট করতে পারবেন।
এবার এডমিন এরিয়া থেকে Pages » Add New ক্লিক করুন। এবার আপনি নিজের পেইজের মত একতি স্ক্রিন দেখতে পাবেনঃ
প্রথমে আপনাকে আপনার পেইজের একটি টাইটেল দিতে হবে, চলুন টাইটেল হিসেবে এটিকে আমরা “Home” নাম দেই।
এর পরে আপনি আপনার ইচ্ছামত কন্টেন্ট যুক্ত করতে পারেন। আপনি text, links, images, embed videos, audio ইত্যাদি যোগ করতে পারেন
আপনার পেইজে কন্টেন্ট যুক্ত করার পরে, এটি আপনার ওয়েবসাইটে লাইভ দেখতে Publish বাটনে ক্লিক করুন।
এভাবে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রয়োজনমত পেইজ যুক্ত করে নিতে পারেন।উদাহরণস্বরূপ, about পেইজ, contact us পেইজ , এবং একটি blog পেইজ যেখানে আপনার ব্লগ পোস্টগুলো থাকবে।
এবার আসুন কয়েকটি ব্লগ পোস্ট যুক্ত করা যাক।
এবার ওয়ার্ডপ্রেস এডমিন এরিয়া থেকে Posts » Add New ক্লিক করুন।
উপরে পেইজ যুক্ত করার সময় আপনি যেমনটা দেখেছিলেন প্রায় সেরকম কিছুই এখানে দেখতে পাবেন।
এখন আপনি আপনার পোস্টে একটি টাইটেল (Title) যুক্ত করতে পারেন এবং তারপরে ভিজ্যুয়াল পোস্ট এডিটরের মাধ্যমে কন্টেন্ট যুক্ত করুন। ডানপাশের দিকে আপনি post formats, categories and tags এর মতো কিছু অতিরিক্ত অপশন দেখতে পাবেন।
আপনি আপনার পোস্টটি Draft হিসেবে সেভ করতে Save Draft বাটনে ক্লিক করতে পারেন বা Publish বাটনে ক্লিক করে এটি আপনার ওয়েবসাইটে দৃশ্যমান করতে পারেন।
ধাপ ৫. আপনার ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করুন
এখন আপনি নিজের ওয়েবসাইটে কিছু কন্টেন্ট তৈরি করেছেন, এবার আপনি সেগুলো কাস্টমাইজ করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারবেন।
আসুন আগে ফন্ট পেইজটা সেটআপ করে ফেলি।
ফন্ট পেইজ সেটআপ
এবার ওয়ার্ডপ্রেস এডমিন এরিয়া থেকে Settings » Reading এ ক্লিক করুন । ‘Front page displays’ অপশনের আন্ডারে থাকা অপশন গুলো থেকে A static page সিলেক্ট করুন এবং তারপরে Front page এর জায়গায় Home পেইজ এবং posts page এর জায়গায় Blog পেইজ দিয়ে দিন।
এবার একটু নিচে গিয়ে ‘Save Changes’ বাটনে ক্লিক করে যা যা পরিবর্তন করলেন সেগুলো সেভ করে নিন।
ওয়ার্ডপ্রেস এখন আপনার ফ্রন্ট পেইজে Home পেইজ এবং Blog পেইজে আপনার পোস্টগুলি দেখাবে।
সাইটের টাইটেল এবং ট্যাগলাইন পরিবর্তন করুন
ইনস্টলেশন চলাকালীন আপনি আপনার সাইটের শিরোনাম ঠিক করে নিতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার সাইটে ‘Just another WordPress site’ নামে একটি ট্যাগ লাইন যুক্ত করে রাখে।
আপনি যে কোনও সময়ে Settings » General পেইজে গিয়ে আপনার সাইটের শিরোনাম এবং ট্যাগলাইন উভয়ই পরিবর্তন করতে পারবেন।
আপনার সাইটের টাইটেল হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের নাম আর ট্যাগ লাইনটি সাধারণত একটি ছোট লাইন যা আপনার ওয়েবসাইটকে বর্ণনা করে। আপনি চাইলে ট্যাগ লাইন অপশন ফাঁকাও রাখতে পারেন।
এবার একটু নিচে গিয়ে ‘Save Changes’ বাটনে ক্লিক করে যা যা পরিবর্তন করলেন সেগুলো সেভ করে নিন।
Comments Settings সেট আপ করুন
ওয়ার্ডপ্রেসে রয়েছে একটি বিল্ট-ইন কমেন্ট সিস্টেমচ যা আপনার সাইট ব্যবহারকারীদের আপনার পোস্টগুলিতে মন্তব্য করার সুযোগ করে দেয়। এটি আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর সাথে কানেক্টেড থাকার জন্য একটি দুর্দান্ত ব্যবস্থা তবে এটি স্প্যামারদের দ্বারাও আক্রান্ত হতে পারে।
এটি মোকাবেলা করার জন্য, আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে কমেন্ট মডারেশন এনাবল (enable) করতে হবে।
এটি করতে ওয়ার্ডপ্রেস এডমিন এরিয়া থেকে Settings » Discussions এ যান। রবার নিচের দিকে স্ক্রল করে ‘Before a comment appears’ সেকশনে গিয়ে ‘Comment must be manually approved’ অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন।
এবার একটু নিচে গিয়ে ‘Save Changes’ বাটনে ক্লিক করে যা যা পরিবর্তন করলেন সেগুলো সেভ করে নিন।
নেভিগেশন মেনু ( Navigation Menu ) তৈরি করুন
নেভিগেশন মেনুর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন Page বা সেকশন ব্রাউজ ঙ্করতে পারবে।চলুন নেভিগেশন মেনু সেট করা শিখে ফেলি।
প্রথমে আপনাকে Appearance » Menus পেইজে যেতে হবে। আপনার নেভিগেশন মেনুর একটি নাম দিন এবং Create Menu বাটনে ক্লিক করুন। সম্পূর্ণ ব্ল্যাঙ্ক একটি নেভিগেশন মেনু তৈরি হয়ে গেল।
এরপরে, আপনি আপনার মেনুতে যে পেইজগুলি প্রদর্শন করতে চান তা নির্বাচন করতে হবে এবং তারপরে ‘Add to Menu’ বাটনটিতে ক্লিক করুন।
আপনার নির্বাচিত পেইজগুলি আপনার নেভিগেশন মেনু এর খালি অংশে যুক্ত হবে। আপনি মেনুতে পেইজগুলির পজিশন মাউসের লেফট বাটনে চাপ দিয়ে ধরে উপরে নিচে করতে পারবেন।
এবার আরেকটু নিচের Menu Settings এর Display Location এ গিয়ে ‘Primary Menu’ তে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন। এবার এই মেনুটি আপনার ওয়েবসাইটের একদম শীর্ষে দেখাবে।
সবশেষে, আপনার নেভিগেশন মেনুটি সেভ করতে ‘Save Menu’ বাটনে ক্লিক করুন।মেনুটি কার্যকর অবস্থায় দেখতে আপনি এখন আপনার ওয়েবসাইটটিতে যেতে পারেন।ৎ
ধাপ ৬. প্রয়োজনীয় প্লাগইন ইনস্টল করা
ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইনগুলিকে এক কথায় ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য অ্যাপ (Apps) বলা যেতে পারে যা আপনাকে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে দুর্দান্ত সব ফিচার যুক্ত করার সুযোগ দেয়। মোবাইলের ShareIt,Blutooth এগুলাকে ওয়ার্ডপ্রেসের ভাষায় মোবাইলের প্লাগিন বলা যেতে পারে।
ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য বর্তমানে ৪৯,০০০ এরও বেশি ফ্রি প্লাগিন রয়েছে। এছাড়াও হাজার হাজার পেইড (Paid) প্লাগইন রয়েছে যেগুলো টাকার বিনিময়ে কিনতে হয়।
এখানে আবশ্যক কিছু ফ্রি প্লাগইন এর তালিকা রয়েছে যা আপনার সাইটে ইনস্টল করা উচিত।
স্পেশাল ফিচারস
- Contact Form 7 – ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কন্টান্ট ফর্ম তৈরি করার জন্য। যেমন, Contact Us ফরম।
- MonsterInsights – ব্যবহারকারীরা আপনার ওয়েবসাইটটি কিভাবে খুজে পায় এবং কেমন ব্যবহার করে তা জানতে গুগল অ্যানালিটিক্সের সাথে আপনার ওয়েবসাইটটি সংযুক্ত করুন যাতে করে পরে আবার তাদের সহজেই আপনার ওয়েবসাইটে ফিরিয়ে আনতে পারেন।
ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজেশন
- Yoast SEO – গুগল থেকে আরও বেশি ট্র্যাফিক পেতে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস এসইও উন্নত করুন।
- WP Super Cache– ক্যাশ করা পেজগুলি পরিবেশন করে আপনার ওয়েবসাইটের গতি বাড়ান।
নিরাপত্তা (Website Security)
- Updraft Plus – আপনার ওয়েবসাইটের স্বয়ংক্রিয় সময় নির্ধারিত ব্যাকআপগুলি তৈরি করুন
- Sucuri – ওয়েবসাইট সুরক্ষা নিরীক্ষণ এবং ম্যালওয়্যার স্ক্যানার
সেরা ১০ ধরণের ওয়েবসাইট যা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে করা সম্ভব তালিকাটি দেখুন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
নীচে একটি ওয়েবসাইট তৈরি সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আছে।
ওয়ার্ডপ্রেস কি কোনও ওয়েবসাইট তৈরির একমাত্র উপায়?
না, ওয়েবসাইট তৈরির জন্য আরও অনেক ওয়েবসাইট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আছে । তবে আমি মনে করি যে ওয়ার্ডপ্রেস একটি ওয়েবসাইট তৈরির সেরা এবং সহজ প্ল্যাটফর্ম।
আমি কীভাবে আমার ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জন করব?
এটি হচ্ছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করা প্রশ্ন। আপনার ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের অনেকগুলি উপায় রয়েছে।আমাদের কাছে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে অনলাইনে অর্থোপার্জনের ১০ টি কার্যকরী উপায়ের একটি তালিকা রয়েছে যা কিছুদিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
আমি কীভাবে এমন ওয়েবসাইট শুরু করব যেখানে আমি পণ্য বিক্রি করতে পারি?
আপনি সহজেই আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে একটি অনলাইন স্টোর যুক্ত করতে পারেন। আমরা ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য সেরা ইকমার্স প্লাগইনগুলির একটি তালিকা তৈরি করেছি । কীভাবে একটি অনলাইন স্টোর শুরু করতে হয় সে সম্পর্কে অন্য একদিন সময় করে জানাব।
ওয়েবসাইট তৈরি এবং কাস্টমাইজ করতে আমার কি html/css জানা দরকার?
না আপনার ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে html/css জানা দরকার নেই। ওয়ার্ডপ্রেসে এমন কিছু প্লাগিন আছে যার মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইট সহজেই কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
আমি কি eBay এর মতো কোন ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারি?
হ্যাঁ, আপনি সহজেই বিভিন্ন প্লাগিন ব্যবহার করে ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে eBay এর মতো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারেন।
আমি কি Facebook এর মতো ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারি?
হ্যাঁ, আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বানিয়ে ফেলতে পারেন।