চিকিৎসাজনিত কারণে শরীরের ভেতরের কোন অঙ্গ বা গহ্বরকে বাইরে থেকে সরাসরি দেখার নাম এন্ডোসকপি। এটি একটি পরীক্ষা যা দ্বারা শরীরের খাদ্যনালির সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন অর্গান পর্যবেক্ষণ করা হয়। এটি দিয়ে শরীরের ফাঁপা অঙ্গগুলোর ভেতরে পরীক্ষা করা যায়।
এন্ডোসকপির মাধ্যমে খুব দ্রুত রোগ নির্ণয় করা যায়। এ যন্ত্রে দুটি নল থাকে। একটি দিয়ে বাইরে থেকে রোগীর শরীরের নির্দিষ্ট অঙ্গের ভেতরে তীব্র আলো ফেলা হয়। অর্থাৎ একটি ফ্লেক্সিবল টিউবের মাথায় লাইট ও ক্যামেরা লাগানো থাকে যা রোগীর শরীরের ভিতরে প্রবেশ করানো হয়। শরীরের ভেতরের অবস্থা বা ছবি ডাক্তাররা পর্যবেক্ষণ করে।
পড়ুন – রেডিওথেরাপি কি? রেডিওথেরাপির ধরণ ও সাইড ইফেক্ট
বিভিন্ন রোগের জন্য বিভিন্ন ধরণের এন্ডোসকপি করা হয়। এটি ব্যবহার করে ডাক্তাররা যেকোন ধরণের অস্বস্তিবোধ, ক্ষত, প্রদাহ এবং অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধি পরীক্ষা করে থাকেন।
শরীরের যেসব অঙ্গে এন্ডোসকপি করা হয়
যে অঙ্গগুলো পরীক্ষা করার জন্য এ যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলো –
- খাদ্যনালী
- ফুসফুস ও বুকের কেন্দ্রীয় বিভাজন অংশ
- স্ত্রী প্রজনন অঙ্গ
- উদর ও পেলভিস
- নাক
- স্টোমাক
- শ্বসনতন্ত্র
- কান
- মূত্রনালীর অভ্যন্তর ভাগ
- জয়েন্ট
- তলপেট ইত্যাদি।
এন্ডোসকপি কখন করা হয়?
যেসব কারণে এন্ডোসকপি করা হয় তা সেগুলো হলো –
- পেটব্যথা
- আলসার
- গিলতে অসুবিধা
- খাদ্যনালীতে রক্তপাত
- পেটের অভ্যাসে পরিবর্তন আসা ইত্যাদি।
এন্ডোসকপি করার প্রস্তুতি
- ৮-১০ ঘন্টা খালি পেটে থাকতে হবে
- টেস্ট করার সময় চেতনানাশক স্প্রে বা ঔষধ খাওয়ানো হয়। আপনার কোন ঔষধে এলার্জি থাকলে ডাক্তারকে আগেই জানিয়ে নিন।
- ঢোলা কাপড় পড়ে আসতে হয় ইত্যাদি।
এন্ডোসকপির সাইড ইফেক্ট
- বমি বমি ভাব হতে পারে।
- পেটে অল্প সময়ের জন্য ব্যথা হতে পারে।
- ঘুম ঘুম লাগতে পারে।
- অল্প ব্লিডিং হতে পারে।
- মাইর ইনফেকশন হতে পারে ইত্যাদি।
এটি করার সময় যেহেতু একটি নল সরাসরি ক্ষত স্থানে প্রবেশ করানো হয় তাই সেটি দিয়ে সেই ক্ষত স্থানের সেম্পল নিয়ে আসা সম্ভব। প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করে কিছু কিছু সার্জারিও করা সম্ভব।
ত আজ এ পর্যন্তই। আশা করি এন্ডোসকপি সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা দিতে পেরেছি। আর আমার এ আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।