ইসলাম কি বা কাকে বলে? ইসলামের রুকন / ভিত্তি কয়টি ও কি কি?

আল্লাহ পাকের মনোনীত একমাত্র দীন হলো ইসলাম। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, আন্তজার্তিক জীবনের প্রয়োজনীয় সকল বিধানই ইসলামে রয়েছে। আর যিনি ইসলামের বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করেন, তিনি মুসলিম বা মুসলমান। চলুন ইসলাম সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেই।

পড়ুন – কুফর কী? কাফের কারা? কুফরের পরিনাম ও কুফল

ইসলাম কি বা কাকে বলে?

ইসলাম একটি আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হলো –

  • অনুগত হওয়া
  • আনুগত্য করা
  • মেনে চলা
  • আত্মসমর্পণ করা
  • প্রকাশ্য আনুগত্য ইত্যাদি।

পারিভাষিক সঙ্গা –

ইমাম আবু হানীফা (রহ.) এর মতে, “আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশসমূহ মেনে চলাই হলো ইসলাম।”

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “ইসলাম হলো আল্লহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল বলে সাক্ষ্য দেওয়া, সালাত আদায় করা, যাকাত প্রদান করা, রমজান মাসের রোজা পালন করা এবং সামর্থ্য থাকলে বায়তুল্লাহ শরীফে হজ্জ আদায় করা।”

পড়ুন – শিরক কি? শিরকের কুফল এবং শিরক থেকে বাঁচার উপায়

আহমাদুর রহমান বলেছেন, “Islam is a complete surrender to Allah will and guidence.”

মুফতী আমীরুল ইহসান বলেছেন, “হযরত আদম (আঃ) থেকে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত সকল নবী ও রাসূল মানবজাতির পথপ্রদর্শনের জন্য যে বিধান নিয়ে এসেছেন, তাকেই ইসলাম বলে।”

আল্লামা আইনী (রহ.) বলেছেন, “রাসূলের আদেশ মান্য করে আল্লাহকে স্বীকৃতি দেওয়া, কালিমায়ে শাহাদাত উচ্চারণ করা এবং আবশ্যকীয় কার্যসমূহ পালন করা, আর নিষিদ্ধ কাজসমূহ বর্জন করা।”

পড়ুন – ঈমান কি বা কাকে বলে? কী কী বিষয়ের প্রতি ঈমান আনতে হয়?ঈমানের গুরুত্ব

এককথায়, আল্লাহর অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা ও তার নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পণ করা এবং বিনা দ্বিধায় আল্লাহর সকল আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তাঁর দেওয়া বিধান অনুসারে জীবন পরিচালনা করায় হলো ইসলাম।”

ইসলামের ভিত্তি / রুকন

ইসলামের ভিত্তি বা রুকন ৫ টি। যথাঃ-

  • কালেমা / সাক্ষ্য দেওয়া
  • নামাজ
  • রোজা
  • হজ্জ ও
  • যাকাত

আরও পড়ুন – মুমিন কাকে বলে? মুমিনের কি কি বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলি থাকা আবশ্যক?

এ সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “ইসলামের ভিত্তি ৫ টি। 1. এ সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ব্যতীত আর কোন মাবূদ নেই এবং মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল। 2. নামাজ প্রতিষ্ঠা করা, 3. যাকাত প্রদান করা, 4. হজ্জ করা এবং 5. রমজান মাসে রোজা রাখা।”


ত আজ এ পর্যন্তই। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *