Homeইসলামআরবি বারো মাসের নাম এবং নামকরণের কারণ

আরবি বারো মাসের নাম এবং নামকরণের কারণ

আপনি কি আরবি ১২ মাসের নাম অর্থসহ জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে এখনি মুখস্থ করে ফেলেন। বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের এগুলো দরকার হয়। আর আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে এ নামগুলো অবশ্যই মনে রাখতে হবে। কারণ বিভিন্ন ইবাদাত ও উৎসবে এ নামগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম।

আরবি বারো মাসের নাম
আরবি বারো মাসের নাম

ত আজকের আর্টিকেলে আমরা আরবি ১২ মাসের নাম অর্থ সহ এবং নামকরণের কারণ সহ আলোচনা করব। তাহলে আর দেরি না করে চলুন এ সম্পর্কে জেনে নেই।

আরবি বার মাসের নাম

ক্রমআরবি
নাম
বাংলা
উচ্চারণ
ইংরেজি
নাম
محرمমহররমMoharram
০২.صفرসফরSofor
০৩.ربيع الاولরবিউল আউয়ালRobiul Awal
০৪.ربيع الثانيরবিউস সানিRabius Sani
০৫.جمادى الاولজমাদিউল আউয়ালJamadiul Awal
০৬.جمادي الثانيজমাদিউস সানিJamadius Sani
০৭.رجبরজবRajab
০৮.شعبانশাবানShaban
০৯.رمضانরমজান
১০.شوالশাওয়ালShawal
১১.ذي القدজিলক্বদJelkad
১২.ذي الحجজিলহজ্জJilhaj
আরবি ১২ মাসের নাম
আরবি ১২ মাসের

আরবি ১২ নাম নামকরণের কারণ

মহররমঃ এ মাসে জাহেলি যুগে যেকোনো ধরণের যুদ্ধবিগ্রহ ও রক্তপাত করা হারাম ও অবৈধ ছিল। তাই এই মাসকে মুহাররমুল হারাম নামকরণ করা হয়েছে।

সফর : সফর শব্দটি মূলত সিফর থেকে নির্গত। এর অর্থ হলো শূন্য হওয়া। জাহেলি যুগে এ মাসে লোকেরা যুদ্ধের জন্য বের হয়ে গেলে বাড়ি-ঘর খালি হয়ে যেত, তাই সফরের মাসের নাম রাখা হয়েছে সফর।

রবিউল আউয়াল : এই রবিউল আউয়াল মাসের নামকরণকালে ফসলে রবি, অর্থাৎ বসন্তকাল ছিল। তাই মাসের নামকরণ হয়েছে রবিউল আউয়াল।

রবিউস সানি : এর নামকরণকালে বসন্তের শেষার্ধে পড়ার কারণে রবিউল আখের বা শেষ বসন্ত নাম রাখা হয়।

জমাদিউল আউয়াল : জুমাদা শব্দটি এসেছে জুমুদ থেকে। এর অর্থ হলো জমে যাওয়া, স্থবির হওয়া। যখন এই মাসের নাম রাখা হয়, তখন ঠাণ্ডার মৌসুম আরম্ভ হয়, কেননা ঠাণ্ডার কারণে বেশির ভাগ জিনিস জমে যায়। এ জন্য এ মাসের নাম এভাবে রাখা হয়েছিল।

জমাদিউস সানি : এই মাসের নাম রাখার কারণ হলো, এই মাসের শেষে শীতের প্রচণ্ডতায় পানি পর্যন্ত জমে যেত। তাই এর নাম রাখা হ জমাদিউস সানি।

রজবঃ রজিব শব্দ থেকে রজব শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে। এর অর্থ সম্মান করা। যেহেতু এ মাসকে আরবরা সম্মান করত এবং শাহরুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর মাস বলত, তাই এ মাসের নাম রজব বা সম্মানিত মাস রাখা হয়।

শাবান : শাব শব্দ থেকে শাবান শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। এর অর্থ হলো বের হওয়া, প্রকাশ হওয়া, বিদীর্ণ হওয়া। এ মাসে বিপুল কল্যাণ প্রকাশিত হয়, মানুষের রিজিক উৎপাদন ও বণ্টিত হয় এবং তাকদিরের ফয়সালাগুলোও বণ্টন করে দেওয়া হয়। তাই এ মাসের নাম শাবান রাখা হয়েছে।

রমজান : রমজান শব্দের মূল অর্থ হচ্ছে জ্বালানো-পোড়ানো। যেহেতু এই মাসে মুমিনের গুনাহগুলো জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়া হয়। তাই এ মাসের নাম রমজান।

শাওয়াল : শাওয়াল শব্দটি ‘শাওল’ মূলধাতু থেকে নির্গত। এর অর্থ হলো বাইরে গমন করা। এখানে আরববাসী নিজ ঘরবাড়ি ত্যাগ করে ভ্রমণে যেত। তাই এর নামকরণ করা হয় শাওয়াল।

জুলকদ/জিলকদ : ‘জুল/জিল’ অর্থ ওয়ালা আর ‘কাদাহ’ অর্থ হলো বসা। এ মাস সম্মানিত মাসের একটি। আরবরা এ মাসে যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করে বাড়িতে বসে থাকত।

জুলহজ্ব/জিলহজ্ব : জুলহজ্ব/জিলহজ্ব শব্দটি সম্ভবত হাজ্জাহ থেকে নেওয়া হয়েছে। এর অর্থ একবার হজ করা। অথবা শব্দটি ‘হিজ’ শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে। এর মানে অর্থবছর। যেহেতু এই মাস বছরের শেষাংশে আসে এবং এর দ্বারাই পূর্ণ বছরের সমাপ্তি ঘটে, তাই এই মাসের নামকরণ হয়েছে জুলহজ্ব/জিলহজ্ব।


আজ এখানেই থাকলো আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন : তারাবির নামাজের নিয়ত, দোয়া, ও মোনাজাত | অর্থসহ বাংলা উচ্চারণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Recent posts

Recent comments