ইন্টারনেটের এই যুগে এখন মানুষ ঘরে বসেও একজন মানুষ অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ পাচ্ছে। এজন্য আপনি অনলাইনে কিছু পার্ট টাইম জব পেতে পারেন যার মাধ্যমে কিছু এক্সট্রা টাকাও কামাই করতে পারেন।
ইন্টারনেটে আপনি অনেক প্ল্যাটফর্ম পাবেন যেগুলো ব্যবহার করে সহজেই অনলাইনে জব খুজে নিতে পারেন। কখনও কখনও মানুষ পার্টটাইম হিসেবে অনলাইনে কাজ শুরু করার পর আস্তে আস্তে তা ফুল টাইম হিসেবে বেছে নেন।
তাই আপনি যদি অনলাইনে কাজ করে কিছু টাকা অনলাইনে আয় করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে অনলাইনে কাজ করার জন্য আপনার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
আপনার সুবিধার্থে এখানে আমি বাংলাদেশের সেরা ১০ টি অনলাইন জব সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছি যাতে আপনার ডিসিশন নিতে সুবিধা হয়।
সেরা ১০ অনলাইন পার্ট-টাইম জব যেগুলো আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন
যারা আসলে পার্টটাইম জব খুজেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই এমন জব খুজেন যেগুলো ঘরে বসে করা যায়। তাই আপনি যদি যদি ঘরে বসে পার্ট টাইম জব করার কথা ভেবে থাকেন তবে আপনি সথিক জায়গাতেই এসেছেন।
আমরা আপনার সুবিধার্থে সেরা ১০ অনলাইন জবের তালিকা সাজিয়ে রেখেছি। এতে করে আপনার আয়ের পথ যেমন সুগম হবে তেমনি অনেক তাড়াতাড়ি টাকা আয় করার সুযোগ পাবেন।
এখানে আমরা এমন সব অনলাইন জবের কথা বলব, যেগুলো আপনি পার্ট টাইম বা ফুল টাইম উভয় ভাবেই করতে পারবেন।
১. ব্লগিং (Blogging)
অনলাইনে ইনকামের প্লাটফর্ম হিসেবে প্রথমেই আমরা ব্লগিংকে রেখেছি। পার্টটাইম কিংবা ফুলটাইম উভয় ক্ষেত্রেই আপনি ব্লগিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। প্রচুর পরিমান ছাত্রছাত্রী, গৃহিণীরা ব্লগিং এর কাজ করে ইনকাম করতেছেন এবং তারা মাসে প্রায় ১০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা অনায়াসে আয় করে নিচ্ছেন। কেউ কেউ তো আবার ব্লগিং করে লাখ লাখ টাকা আয় করেন।
ব্লগিং শুরুর ক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে নিজের নামে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে। সেখানে আপনি আপনার দক্ষতা,জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের উপর টিউটোরিয়াল তৈরি করে কিংবা আর্টিকেল লিখে পোস্ট করতে পারেন। আপনার আর্টিকেল গুলি ভাল হলে আস্তে আস্তে আপনার ব্লগে ভিজিটর বাড়বে এবং আপনি টাকা আয় শুরু করতে পারবেন।
আপনার ব্লগে যদি দিনে মাত্র ১০০০ বা ২০০০ ইউনিক ভিজিটর আসে তাহলে আপনি সহজেই গুগল এডসেন্সের মাধমে মোটামুটি ভাল মাপের টাকা আয় করতে পারবেন।ভালভাবে আপনি যদি ব্লগিং করেন তবে ৫০০০ থেকে ৭০০০ টাকা প্রথম দিকেই আয় করতে পারবেন।
এটি ছাড়াও ব্লগ থেকে আরো কিছু উপায়ে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন যেমন, এফিলিয়েট মার্কেটিং, এডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক, প্রোডাক্ট সেল ইত্যাদি। তবে, ব্লগিং সম্পর্কে সকল জরুরি তথ্য জানার জন্য ও ব্লগিং শেখার জন্য কিছু সময় তো আপনার লাগবেই।
বর্তমানে অনলাইনের প্রত্যেকটি জায়গায় প্রচুর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই, ব্লগিং বা যে কোন অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে পার্ট টাইম ইনকাম করার জন্য আপনাকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে।
তবে আপনি যদি সেরা অনলাইন জব এর খুজ করেন তবে ব্লগিং আপনার জন্য সবচেয়ে লাভজনক হতে পারে।
২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনার যদি অনলাইনে ইনকাম করার ইচ্ছা থাকে তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য পারফেক্ট সমাধান। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম করার প্রচুর সুযোগ সুবিধা রয়েছে। বর্তমানে অনেকেই অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন এক অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে আপনি নামিদামী অনলাইন কোম্পানিগুলোর “affiliate program” অপশনে গিয়ে সেখানে জয়েন করে তাদের products ও services গুলি প্রচার করে দিবেন। আপনার প্রচারকৃত প্রোডাক্ট বা সার্ভিসগুলো যদি কেউ নেয় তবে সেখান থেকে আপনি ভাল পরিমাণ একটা অংশ আপনি কমিশন পাবেন।
এক্ষেত্রে আপনার শুধু একটাই কাজ। সেটি হল অনলাইন কোম্পানিগুলোকে গ্রাহক এনে দেওয়া, বাকি কাজ কোম্পানি নিজেই করে নিবে। এভাবে অনেকে Amazon, eBay, flipkart এবং ইন্টারনেটে থাকা হাজার হাজার affiliate network গুলিতে যুক্ত হয়ে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসগুলো অনলাইনে বিক্রি করিয়ে দিচ্ছেন। যার বিপরীতে, ভালো পরিমানের টাকা তারা ইনকাম করে নিতে পারছেন।
৩. অনলাইন পেইড সার্ভে (Online paid survey)
এটা এমন একটা অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে আপনার বেশি সময় দেওয়ার প্রয়োজন পড়বেনা। যে সময় টুকু আপনি ফ্রি থাকবেন সে সময়টুকুতে আপনি অনলাইনে সার্ভের কাজ করতে পারেন। অনলাইন সার্ভে মানে হচ্ছে আপনাকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসগুলোতে নিজের মতামত ব্যক্ত করবেন। তাই অবসর সময়ে সার্ভের কাজকে অনলাইন পার্ট টাইম জব হিসেবে চাইলে করতেই পারেন।
এখানে, আপনাকে খুব বেশি সময় দিতে হবেনা। শুধুমাত্র নিজের ফ্রি সময় গুলোতেই এই অনলাইন সার্ভের কাজ করে অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করলে আপনি অনেক অনলাইন সার্ভে ওয়েবসাইট পাবেন যারা আপনাকে সত্যি সত্যি টাকা দিবে।
৪. ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে কাজ করুন
অনলাইনে ইনকাম করার আরেকটি ভাল মাধ্যম হচ্ছে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট। এইসব সাইটগুলিতে বিভিন্ন এমপ্লয়ার বা ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন রকমের কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করানোর জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন এবং অপরদিকে ফ্রিল্যান্সাররা এই সাইট গুলিকে ব্যবহার করেন নতুন নতুন কাজ খোঁজার জন্য।
যেমন ধরুন, আপনি খুব ভালভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন।
এই ক্ষেত্রে, যারা তাদের ব্যবসার জন্য ভালো একটি ওয়েবসাইট বানাতে চাচ্ছেন এবং সেটি বানানোর জন্য ফ্রীল্যান্সার খুঁজছেন, আপনি তাদের ওয়েবসাইট বানিয়ে দেওয়ার জন্য আপনার চাহিদা অনুযায়ী টাকা নিতে পারেন।
এরকম যেকোনো কাজ যদি আপনি জানেন যেমন, আর্টিকেল রাইটিং, ওয়েব ডিজাইনিং, এনিমেশন মেকিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও ইত্যাদি কাজের জন্য অনায়াসে ক্লায়েন্ট পেয়ে যাবেন।
চলুন এবার আমরা দেখে নেই, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আমরা কোন কোন সাইট ব্যবহার করতে পারি।
- Freelancer – এই ওয়েবসাইটে আপনি প্রায় সব রকম কাজের জন্য ক্লায়েন্ট পেয়ে যাবেন। ১৩৫০ টিরও বেশি সংখ্যক আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে এখানে মানুষজন তার কাজ খুজে নিচ্ছেন। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ক্যাটাগরি হল হলো – একাউন্টিং, ফিন্যান্স, এসইও, ফটোশপ, ইন্টারনেট মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, মোবাইল আপ ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি। এসব ছাড়াও আরো অনেক অনেক জনপ্রিয় বিষয়ের উপর এখানে কাজ পেয়ে যাবেন।
- Fiverr – Fiverr হল অনেক পুরোনো, বিশ্বাসী ওয়েবসাইট। এখানে আপনি অনেক কাজ খুজে পাবেন। প্রত্যেকটি কাজের শুরু এখানে ৫ ডলার থেকে। এখানে আপনি গ্রাফিক ডিজাইনিং থেকে শুরু করে ডিজিটাল মার্কেটিং,ভিডিও বা এনিমেশন রিলেটেড কাজ, কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করতে পারবেন।
- Upwork – Upwork অনেক নাম করা একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট। এই সাইটে ১২ মিলিয়নেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার কাজ করে প্রতিনিয়ত টাকা আয় করছেন। প্রতি বছর এখানে ৩ মিলিয়নের বেশি কা্জের বিজ্ঞাপন দিয়ে পোস্ট করা হয়। এই সাইটে প্রায় প্রায় সব ধরনের কাজই পাওয়া যায়।
- Guru – Guru ওয়েবসাইটে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ কানেক্টেড আছে এবং এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষাধিক কাজ এই সাইটের মাধ্যমে করান হয়েছে। এখানেও আপনারা নিজের পছন্দের প্রায় সব রকম বিষযইয়ের উপর কাজ খুঁজে নিতে পারবেন।
তাই, আপনি যদি নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার কথা ভেবে থাকেন,তাহলে উপরের ওয়েবসাইটগুলিতে গিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। এবং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের পোস্টটি অবশ্যই পড়ুনঃ
ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে চাইলে যা অবশ্যই জানা উচিৎ
৫. কনটেন্ট রাইটিং
অনলাইনে করার আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল কনটেন্ট রাইটিং। যদি আপনি ভাল আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে কনটেন্ট রাইটিং কে আপনি সেরা পার্টটাইম জব হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।
অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি পার্ট টাইম জব খুজতে পারেন। তারমধ্যে কয়েকটি প্লাটফর্ম হলঃ fiverr, freelancer.com, upwork, hirewriters.com, iwriter.com ইত্যাদি। এই ওয়েবসাইতগুলোতে গিয়ে আপনি সহজেই কনটেন্ট লেখার কাজ খুঁজতে পারবেন।
যদি আপনার ভাল লেখার অভিজ্ঞতা থাকে আর ভালভাবে এই কাজ করতে পারেন তাহলে কম করে হলেও ঘন্টায় ৫ থেকে ২০ ডলার করে আয় করতে পারবেন।
৬. ক্যাপচা সমাধান (Captcha solving)
যারা ইন্টারনেট চালান তারা প্রায় ক্যাপচা (captcha) মানে বুঝেন। কারণ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারনে আমাদের এটির সম্মুখীন হতে হয়। ক্যাপচা হল এমন কিছু ইমেজ বা সংখ্যার মিশ্রণ যা বিভন্ন ওয়েবসাইটে একাউন্ট খোলার সময় দেখানো হয়ে থাকে। তাছাড়া বাংলাদেশের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার রেজাল্ট দেখার সময় আপনাকে ক্যাপচার সম্মুখীন হতে হয়।
এই ক্যাপচা ব্যবহারের মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে রোবটের হাত থেকে বাচা। অনেকে খারাপ উদ্দেশ্যে কিংবা ওয়েবসাইট স্লো ডাউন করে ফেলার জন্য বট দিয়ে ওয়েবসাইট ভারি করে ফেলে এবং একের পর এক অপ্রয়োজনীয় একাউন্ট খুলতে পারে। এসব সমস্যা থেকে বাচার জন্যই ইন্টারনেট দুনিয়ায় ক্যাপচার আভির্ভাব।
ক্যাপচা সলভিং কোম্পানিগুলো প্রায় ১০০০ ক্যাপচা সঠিক ভাবে টাইপ করার বিনিময়ে আপনাকে ১ থেকে ২ ডলার এর মত টাকা দেয়। যদি আপনার টাইপিং স্পিড অনেক ভালো থাকে তবে কেবল ১ থেকে ২ ঘন্টার মধ্যেই ১০০০ ক্যাপচা সল্ভ করে ফেলতে পারবেন।
আপনার সুবিধার্থে আমরা নিচে কিছু ক্যাপচা সলভিং ওয়েবসাইটের সন্ধান দিচ্ছি যেখান থেকে আপনি ক্যাপচা সলভিং এর পার্ট টাইম জব খুজতে পারবেন।
- 2captcha.com (প্রায়
0.35 থেকে
0.45 থেকে
0.45 থেকে $1 ডলার )
৭. গেম খেলে আয়
এটা দেখে হয়তো অবাক হতে পারেন। কিন্তু এটাই সত্যি। আপনি চাইলে গেম খেলেও টাকা আয় করতে পারেন। ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট এবং মোবাইল এপ আছে যেগুলোতে আপনি গেম খেলার বিনিময়ে টাকা পাবেন।
এভাবে কিছু কিছু গেমস খেলার মাধ্যমে আপ্নি অনলাইনে টাকা আয় করতে পারেন।
৮. পার্ট টাইম ফটগ্রাফি (Part time photography)
আপনার শখ যদি ফটোগ্রাফি হয়ে থাকে সেটা আপনার বাড়তি কিছু ইনকামের মাধ্যম হতে পারে। কারণ বর্তমানে ইন্টারনেটে এমন অনেক অনলাইন কোম্পানি রয়েছে, যারা আপনার তোলা ফটো নিয়ে আপনাকে তার বিনিময়ে টাকা দিবে।
অর্থাৎ, আপনি আপনার তোলা ফটো গুলো অনলাইন বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়া আপনি নিজে একটি স্টক ফটো ওয়েবসাইট তৈরি করে, সেগুলোও অনলাইন বিক্রি করতে পারবেন।
আর আপনার ফটোগ্রাফির মান যদি অনেক ভাল হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে আপনি shutterstock, iStockphoto, fotolia ইত্যাদি ওয়েবসাইট গুলোতে নিজের ছবি বিক্রি করতে পারবেন।
৯. ইউটিউব থেকে আয় (Earn from YouTube)
ইউটিউব থেকে যে আয় করা যায় এটা এখন কে না জানে। ইউটিউবে প্রতিদিন হাজার হাজার ভিডিও আপলোড হয়। আর ভিডিও যে কেউ আপলোড করতে পারে। শুধু যেটা প্রয়োজন ভিডিও মেকিং আগ্রহ, ভাল কনটেন্ট এবং দক্ষতা।
যখন আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখেন তখন নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন যে, ভিডিও শুরু হওয়ার আগেই এবং ভিডিওর মাঝখানে কিছুক্ষন পর পর বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এই বিজ্ঞাপনগুলো মানুষকে দেখানোর মাধ্যমেই ইউটিউব এবং চ্যানেলের মালিক টাকা আয় করে থাকে।
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার জন্য প্রথমেই আপনার যা লাগবে তা হল একটি “ইউটিউব চ্যানেল। ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা কোন কঠিন কাজ নয়। খুব সহজেই আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সুন্দর সুন্দর ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে পারবেন।
কিছুদিন পর যখন আপনার চ্যানেলে কিছু সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে, তখন আপনি “YouTube monetization” এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। এরপর যখন আপনার মনিটাইজেশন এপ্রুভ হয়ে যাবে তখন ইউটিউব থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন। আর প্রতিনিয়ত আপনি কাজ করে গেলে দিন দিন আপনার ইনকাম বাড়তেই থাকবে।
আমাদের দেশেও অনেক ইউটিউবার আছেন, যারা নিজের ইউটিউবের চ্যানেলের মাধ্যমে, ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ মানুষ প্রথমে অনলাইন পার্ট টাইম জব হিসেবেই ইউটিউব শুরু করেন। কিন্তু পরে দেখা যায় তাদের অনেকেই এটাকে ফুল টাইম ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেন।
১০. এনড্রয়েড অ্যাপ বানিয়ে আয় (Earn money from Android App)
আপনার যদি কোডিং এর প্রতি তুমুল আগ্রহ থাকে তাহলে একজন অ্যাপ ডেভেলপার হতে আপনার বিশেষ পরিশ্রম করা লাগবেনা। সেক্ষেত্রে একটি এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করে পার্ট টাইম ইনকাম করার মাধ্যমটি আপনার জন্য কিন্তু অনেক লাভজনক হতে পারে।
বর্তমানে অনেকেই এনড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করে “Google admob” এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে “Google play store” এ আপলোড করে তারপর সেখান থেকে টাকা ইনকাম করছে।
যখন আপনার অ্যাপ কেউ ডাউনলোড করে মোবাইলে ওপেন করবেন, তখন তাদেরকে কিছু বিজ্ঞাপন দেখানো হবে এবং যতজন আপনার অ্যাপে বিজ্ঞাপন দেখবে সেই হিসাব অনুসারে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।
এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে এতসব করব কিভাবে?
সেক্ষত্রে আমি বলব এটি খুব কঠিন কোন কাজ নয়। একটি সাদাসিধা অ্যাপ তৈরি করেও অনেক টাকা আয় করা যায়। অ্যাপ তৈরির পর মাত্র ২৫ ডলার খরচ করে আপনি নিজের অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করতে পারবেন।
একবার আপনার অ্যাপ কিছু সংখক মানুষ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা শুরু করলেই অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনার ইনকাম চালু হয়ে যাবে এবং আপনি আস্তে আস্তে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আরো কিছু আর্টিকেল যেগুলো আপনার উপকারে আসতে পারেঃ
- ব্লগ মানে কি? কিভাবে ব্লগিং করে টাকা আয় করবেন?
- গুগল থেকে টাকা আয় করার ৩ টি কার্যকরী উপায়
- এনড্রয়েড অ্যাপ বানিয়ে ফেলুন কোডিং না শিখেই!
- অনলাইন ইনকাম সাইট থেকে সার্ভে করে কিভাবে আয় করবেন?
- পিটিসি সাইট থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন?
আজ এ পর্যন্তই থাকুক। আশা করি অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে মোটামুটি ভাল একটা ধারণা পেয়েছেন। ভাল থাকবেন আর যদি এই লেখাটি সম্পর্কে আপনার কোন মতামত বা প্রশ্ন থেকে থাকে তবে নিচের কমেন্ট বক্সে আমাদের জানাবেন, ধন্যবাদ।